অ্যাপশহর

Ayurveda Tips: আয়ুর্বেদ মতে এই উপায়ে জল খান, পান হাজারটা রোগের দাওয়াই!

Ayurvedic Water: আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞ তামা বা মাটির পাত্রে জল ধরে রেখে পান করার কথা বলেছেন। আমাদের দেশে তামার পাত্রে জল খাওয়ার রীতি অনেকদিন আগে থেকেই চলে আসছে। সময়ের সঙ্গে এই অভ্য়েস এখন অনেকটাই ফিকে হয়ে এসেছে বটে। তবে এই অভ্যেস ফিরিয়ে আনতে পারলে নিঃসন্দেহে একাধিক উপকারিতা পাবেন।

Produced byশ্রাবণী অধিকারী | EiSamay.Com 12 May 2022, 2:35 pm
মানুষের শরীরে ৬০ থেকে ৭০ শতাংশই জল। পরিমিত জল না খেলে ক্ষতি হতে পারে বলে জল খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। একজন সুস্থ মানুষের সাধারণত ৮ গ্লাস জল খাওয়া উচিত বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। শরীরের তাপমাত্রা ধরে রাখা থেকে হজমে সাহায্য করে জল। আয়ুর্বেদে জল খাওয়ার ব্যাপারে কিছু নিয়ম রয়েছে।
EiSamay.Com according to ayurveda keep drinking water filled in these utensils know many benefits
Ayurveda Tips: আয়ুর্বেদ মতে এই উপায়ে জল খান, পান হাজারটা রোগের দাওয়াই!


আমরা যে ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকের তৈরি বোতলে অফিস-বাড়িতে দিনের-পর-দিন জল পান করি তাতে শরীরে উপকার তো হয় না উল্টে ক্ষতির আশঙ্কা অনেকটাই বেড়ে যায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, প্লাস্টিক বোতল তৈরিতে ব্যবহৃত হয় বিসফেনল A যা আমাদের শরীরে জন্য বিষাক্ত। বৈজ্ঞানিক গবেষণায় এটা প্রমাণিত হয়েছে যে তামার মধ্যে ব্যাকটিরিয়া ধ্বংস করার ক্ষমতা রয়েছে। জলের মধ্যে বিভিন্ন রকমের জার্ম ও ভাইরাস থাকে। তামার পাত্রে জল রেখে তা পান করলে স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। আয়ুর্বেদ চিকিৎসকের থেকে জনে নিন কী ভাবে উপকার পাবেন।

​আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ

তামার পাত্রে রাখা জল অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর। তবে, এটি কেবল গরমের সময়ই নয় সব ঋতুতেই উপকারী। বিশেষ করে যাঁদের অ্যাসিডিটি, প্রদাহ, মাইগ্রেন, সমস্যা আছে তাঁরা এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন। চিকিৎসক Dr. Rekha Radhamony পানীয় জল রাখার জন্য সেরা পাত্র হয় মাটির কিংবা তামার। এখন তামার পাত্রে জল রেখে অনেকেই খান, কিন্তু সেটি যদি সারা রাত তামার পাত্রে রেখে খালি পেটে খাওয়া যায় তাহলে এর উপকার অনেক।

মেটবলিজম বাড়াতে সাহায্য করে

মাটির পাত্রে রাখা জলে টেস্টরন ব্যালেন্স করার ক্ষমতা রয়েছে। এটি শরীরের মেটবলিজম বাড়াতে সাহায্য করে। এমনকি মাটির কলসির জল রুখে দিতে পারে সানস্ট্রোক। গরমের সময় আমাদের শরীরে ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থের অভাবে সানস্ট্রোক হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। কিন্তু মাটির পাত্র জলে ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থ বজায় রাখতে সাহায্য করে। ফলে এই জল পান করলে সানস্ট্রোকও আটকানোর সম্ভাবনা রয়েছে।

আরও পড়ুন: Ayurveda: পিরিয়ডের সমস্যা থেকে ওজন কমানো, আয়ুর্বেদের পথে খুঁজে নিন স্বাস্থ্য রক্ষার মূল চাবিকাঠি!


​মাটির পাত্রে জল রেখে খেলে কী কী উপকার পাওয়া যায়?

আয়ুর্বেদের মতে মাটির পাত্র থেকে জল পান করার অনেক সুবিধা রয়েছে। তবে এখনকার মানুষ সেই সত্য সম্পর্কে এখনও জানেন না। মাটির পাত্রে যা বৈশিষ্ট্যও রয়েছে তা জলের মধ্যে ছড়িয়ে যায়। এই জলের মধ্যে যে খনিজ পাওয়া যায় তা হজম উন্নত করতেও সহায়তা করে। এই পাত্রে রেখে জল পান করলে কোষ্ঠকাঠিন্য এবং গলা ব্যথার মতো সমস্যা হবে না। শরীর আরও বেশি শক্তিশালী হয়ে ওঠে।

দেখে নিন পরামর্শ

View this post on Instagram A post shared by Dr. Rekha Radhamony, Ayurveda (@doctorrekha)

​তামার পাত্রের উপকারিতা

হজম ক্ষমতা বাড়ায় তামার পাত্রে রেখে জল খেলে। আপনি যদি খুব তাড়াতাড়ি কয়েক কিলো ওজন কমাতে চান তামার পাত্রে জল খাওয়া অভ্যেস করুন। আপনার শরীরে জমে থাকা মেদ ভাঙতে সাহায্য করবে। আয়ুর্বেদ মতে শরীরের তিন দোষের (পিত্ত, কপ এবং বায়ু) প্রবণতা কমায়। তবে মাথায় রাখতে হবে, তামার পাত্রে গরম জল রাখা যাবে না।

ডিসক্লেইমার: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, আরও বিস্তারিত জানতে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

লেখকের সম্পর্কে জানুন
শ্রাবণী অধিকারী
"শ্রাবণী অধিকারী সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে ১২ বছরেরও বেশি অভিজ্ঞতা রয়েছে। তিনি একজন বিশিষ্ট লেখক এবং সম্পাদক। তাঁর কর্মজীবন শুরু হয় একজন সাব এডিটর হিসাবে। শ্রাবণীর ব্যতিক্রমী লেখা এবং সম্পাদনা নৈপুণ্যতার প্রকাশ পায়। সংবাদ এবং লাইফস্টাইল-সহ বিভিন্ন বিভাগ পরিচালনায় তাঁর যথেষ্ট দক্ষতা রয়েছে। সহজ ও মনোগ্রাহী শব্দের ব্যবহারে শ্রাবণীর লেখা পাঠকের কাছে আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে। যে কোনও বিষয়কে পাঠকদের কাছে আকর্ষণীয় করে তুলতে তিনি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। তাঁর লেখা বহুমুখী যা পাঠকের হৃদয় স্পর্শ করে। লেখার মাধ্যমে কী ভাবে পাঠকের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করা যায় তা তাঁর লেখনীতে প্রকাশ পায়। শ্রাবণী গত ৩ বছর ধরে একটি শীর্ষস্থানীয় প্রকাশনার লাইফস্টাইল বিভাগ পরিচালনা করে আসছেন। এই বিভাগে তাঁর অভিজ্ঞতা এবং সৃজনশীলতার প্রকাশ পাওয়া যায়। এই সংস্থার লাইফস্টাইল বিভাগটিতে পাঠকদের জন্য আরও প্রাসঙ্গিক এবং চিত্তাকর্ষক লেখনী দিয়ে ভরিয়ে তুলেছেন। লেখার প্রতি তাঁর আবেগ প্রতিটি নিবন্ধেই স্পষ্ট, যা প্রকাশনার জন্য অমূল্য সম্পদ করে তুলেছে।"... আরও পড়ুন

পরের খবর