কমপ্লিট ব্লাড কাউন্ট (CBC)
অ্যানিমিয়া, ইনফেকশন বা কোনও রকম ক্যান্সার শরীরে থাবা বসাতে পারে কিনা তা বোঝা যায় এই রক্তপরীক্ষা করলেই। এমনিই মেয়েদের অ্যানিমিয়ার একটা ধাত থাকে। কারণ কমবেশি সব মেয়েই আয়রনের স্বল্পতায় ভোগেন। তাই বছরে একবার নিয়মমাফিক এই পরীক্ষা করাবেন।
ব্লাড প্রেসার
প্রতি ছ'মাস অন্তর প্রেসার অবশ্যই মাপিয়ে নেবেন। অনেকের প্রেসার লো থাকে। আবার পারিবারিক কারণেই অনেকের উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থাকে। এছাড়াও ভেতরে কোনও টেনশন থাকলেও রক্তচাপ বেড়ে যায়। তাই এই ব্যাপারে প্রথম থেকেই যত্নবান হতে হবে। প্রেসার কম থাকলে সেই রকম খাওয়া দাওয়া করতে হবে আর বেশি থাকলে মেনে চলতে হবে কিছু বিধি নিষেধ।
ব্লাড সুগার টেস্ট
এখন খুব কম বয়সেই ডায়াবিটিস আসছে। আর তাই ২৫ পেরোলেই সবার সুগার টেস্ট করানো দরকার। ১২ ঘন্টা খালিপেটে থাকার পর এবং ভাত খেয়ে এই দুই পদ্ধিতেই সুগার টেস্ট করুন। ১২ ঘন্টা খালিপেটে থাকার পর সুগার যদি ৯৯ এর মধ্যে থাকে তাহলে চিন্তার কিছু নেই। কিন্তু কিন্তু ১০০ থেকে ১১০ এর মধ্যে থাকামানেই আপনি ডায়াবিটিসে আক্রান্ত। তবে চিন্তার কিছু নেই। ওষুধ ছাড়াই নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবেন ব্লাডসুগার। এরকম সমস্যায় প্রতি তিনমাস অন্তর টেস্ট করাবেন।
লিপিড প্রোফাইল
হার্ট কেমন আছে, ট্রাইগ্লিসারাইড, কোলেস্টেরল, HDL ও LDL ঠিকঠাক আছে কিনা, তা জানতেই কিন্তু লিপিড প্রোফাইল পরীক্ষার কথা বলা হয়। মনে করে বছরে একবার অবশ্যই এই পরীক্ষা করান।
লিভার ফাংশন টেস্ট
জীবনযাত্রার কারণেই এখন লিভারের সমস্যা আসছে। অনিয়মিত খাওয়া, অনিয়ন্ত্রিত খাওয়া, তেল-মশলা ঝাল বেশি খাওয়া এসব কারণে এখন ফ্যাটি লিভার আসছে। যাঁদের অ্যালকোহল খাওয়ার অভ্যেস রয়েছে তাঁদের ক্ষেত্রে এই সমস্যা আরও বেশি। এছাড়াও হেপাটাইটিস সি, বি হওয়ারও সম্ভাবনা থেকে যায়।
থাইরয়েড টেস্ট
থাইরয়েডের সমস্যা অনেকেরই হয়, কিন্তু কেউ বুঝতে পারেন না। অনিয়মিত ঋতুচক্র, চুল পড়ে যাওয়া, চামড়া খসখসে হয়ে যাওয়া এই সবই কিন্তু থাইরয়েডের লক্ষণ। খাওয়া কন্ট্রোল করেও যদি ওজন বেড়ে যায় তাহলে আগেভাগেই সতর্ক হতে হবে। তাই বছরে একবার T3, T4, TSH এর পরীক্ষা অবশ্যই করাবেন।
ভিটামিন ডি ডেফিসিয়েন্সি
পায়ে ব্যথা, কোমর ব্যথা, অতিরিক্ত ঠান্ডা লাগা এসব মেয়েদের লেগেই থাকে। কিন্তু এর পেছনে কারণ কি জানেন? তা হল ভিটামিন ডি-এর অভাব। শরীরে ভিটামিন ডি এর অভাব হলে কিন্তু অনেক রকম সমস্যা আসে। যা আপাতদৃষ্টিতে বোঝা দায়। আর তাই বছরে একবার এই টেস্ট করান। ৩০ পেরোলে এই সমস্যা আসবেই।
প্যাপ স্মেয়ার টেস্ট
৩০ পেরোলেই সব মেয়েদের এই পরীক্ষা অত্যাবশ্যকীয়। Pap Smear Test করার কারণ হল জরায়ুমুখ ক্যানসারের সম্ভাবনা আছে কিনা। আজকাল মেয়েদের মধ্যে এই ক্যানসারের প্রবণতা অনেক বেশি। চিকিৎসকদের মতে বর্তমানে মেয়েদের ২১ বছর জীবনেই যৌন জীবন (sexually-active) শুরু হয়ে যায়। যা খুবই স্বাভাবিক। আর তাই ২১ পেরোলেই এই পরীক্ষা করানো দরকার। এছাড়াও প্রতি তিনবছর অন্তর এই পরীক্ষা করান। সেই সঙ্গে HPV টেস্টও প্রয়োজন।