সহজেই রেগে যাচ্ছেন? ভয় পাবেন না! সতর্ক থাকুন ১০ টোটকায়...
রাগের মাথায় কোনও কিছু বলে ফেলা খুব সোজা। তারপরে সেই কথা নিয়ে অনুশোচনার শেষ থাকে না। কথায় কথায় রাগ হয় যাঁদের, তাঁদের শরীরে স্ট্রেস হরমোনের রমরমা। এর প্রভাবে হৃদস্পন্দনের হার অর্থাৎ হার্ট রেট ও রক্তচাপ যেমন বাড়ে, বাড়ে প্রদাহের প্রবণতাও।
EiSamay.Com 23 Oct 2020, 3:17 pm
এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: আপনার কি কথায় কথায় রাগ হয়? রাগের মাথায় ভুলভাল কাজকর্ম করেন, যাতা কথা বলে পরে নিজেই পস্তান? এই রাগের চোটেই কি বন্ধু বিচ্ছেদও হয়েছে? বারোটা বেজেছে শরীরেরও? এবার একটু সতর্ক হোন রাগ করে নিজের রক্তচাপ না বাড়িয়ে বরং রাগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে শিখুন। যাঁদের, তাঁদের শরীরে স্ট্রেস হরমোনের রমরমা। এর প্রভাবে হৃদস্পন্দনের হার অর্থাৎ হার্ট রেট ও রক্তচাপ যেমন বাড়ে, বাড়ে প্রদাহের প্রবণতাও। সবে মিলে হৃদরোগের আশঙ্কা বাড়ে, কমে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা। এই করনাকালে রোগ প্রতিরোধক্ষমতার কমতি হলে ক্ষতি হতে পারে মারাত্মক। অকারণে রেগে যাওয়ার অন্তরালে থাকতে পারে নানান শারীরিক জটিলতা! কিংবা নেপথ্যে থাকতে পারে কোনও দৈনন্দিন অভ্যাস যা ঠেলে দিচ্ছে এই দিকে৷
বিশেষজ্ঞমহল বলছে, বেশিক্ষণ না খেয়ে থাকলেও আপনি অকারণে রাগ হতে পারে৷ কাজ করার জন্য মানুষের মস্তিষ্কের নির্দিষ্ট মাত্রায় গ্লুকোজ প্রয়োজনীয়৷ দীর্ঘক্ষণ খালি পেটে থাকলে সেই মাত্রা কমে যায়৷ ফলে অকারণেই খিটখিটে হয়ে উঠতে হয়৷ তাই অল্প অল্প করে সবসময় কিছু না কিছু খেতে থাকুন, এতে মন আর মেজাজ দুটোই ভালো থাকবে৷ কিন্তু তা বলে জাঙ্ক ফুড খাবেন না৷ কারণ জাঙ্ক ফুড মস্তিষ্কের কোষগুলিকে একে অপরের থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেয়, যার থেকে মেজাজ বিগড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে৷ এমনকী বিশেষজ্ঞমহল বলছে, চর্বিযুক্ত খাবার বিষণ্ণতা বোধ জাগিয়ে তোলে৷
রাগ কমানোর ১০ টোটকা আপনাদের জন্য-
১. রাগের মাথায় কোনও কিছু বলে ফেলা খুব সোজা। তারপরে সেই কথা নিয়ে অনুশোচনার শেষ থাকে না। কিছু বলার আগে কয়েক মুহূর্ত সময় নিন। একটু ভাবুন। অন্যদেরও ভাবার সুযোগ দিন।
২. মাথা ঠাণ্ডা হলে তবেই রাগের প্রকাশ করুন। যখন আপনি পুরো ব্যাপারটা ভাবতে পারছেন, তখনই রাগ প্রকাশ করুন। বিরক্তি প্রকাশ করুন, কিন্তু যুদ্ধের মেজাজে নয়। যত রাগই হোক, অন্যকে অপমান করা কাজের কথা নয়।
৩. শরীর চর্চা মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। রাগও নিয়ন্ত্রণে রাখে। কিছু ব্যায়াম করুন। যদি দেখেন রাগের পারদ চড়ছে, তাহলে বরং কয়েক চক্কর হেঁটে আসুন।
৪. দিনের যে সময়টা ভয়ানক স্ট্রেসের সে সময় নিজেকে কিছুটা ব্রেক দিন। নিজের জন্য শান্ত কিছু সময় বিরক্তিকর অনেক কিছু থেকে মুক্তি দেয়। রাগ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। টাইমআউট শুধু ছোটদের জন্য নয়।
৫. ক্ষমা করতে শিখুন। মনের মধ্যে রাগ পুষে রেখে সবসময় খারাপ কথাই ভাবলে আখেরে ক্ষতি আপনারই। নিজের এই এক পেশে চিন্তায় ডুবে থাকলে ভালো কিছু ভাবার ক্ষমতাটাই না চলে যায়। ক্ষমা করতে শিখুন। নিজের ব্যবহার নিয়েও খুঁটিয়ে ভাবুন। সবাই সব সময় আপনার মতই ভাববে এতটাও আশা করা বোধহয় ঠিক নয়। হাসি ঠাট্টার জুরি মেলা ভার। তবে নিজের চাপ বা রাগ কমাতে গিয়ে অন্যের অনুভূতিকে আঘাত করে ব্যঙ্গ না করাই ভালো।
আরও পড়ুন: রোজ সকালে এক গ্লাস ছাতু শরবত, সহজেই ঝরবে মেদ!
৬. যদি কোনও ভাবেই আপনার রাগ নিয়ন্ত্রণে না আসে, যদি আপনার রাগ আপনার বা অন্যদের লাগাতার ক্ষতির কারণ হয়, তাহলে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
৭. যদি আপনার চড়া মেজাজ নিয়ন্ত্রণে আনতে অসুবিধা হয়, তাহলে জোরে জোরে গভীর নিঃশ্বাস ফেলুন। মজার কোনও দৃশ্য ভাবুন। গান শুনুন, বই পড়ুন, আপনার আদতে যা যা করতে ভাল লাগে সে দিকে বেশি করে মন দিন।
৮. অন্যের নিন্দা বা সমালোচনা না করে নিজের পছন্দ-অপছন্দ পরিস্কার করে জানান। নির্দিষ্ট করে আপনার চাহিদাটা জানান।
৯. কী কারণে আপনি রেগে যাচ্ছেন সে বিষয়ে মাথা না ঘামিয়ে কীভাবে সমস্যার সমাধান হবে তা নিয়ে মনোযোগী হোন।
১০. মন ভালো রাখুন সব সময়। খোলামেলা মেজাজে থাকুন। দেখবেন, নিজের চাপ বা রাগ কমে গিয়েছে। নত হতে হয়েছে বলে যদি খারাপ লাগে, ভেবে দেখুন এর বিনিময়ে আপনার শরীর, মানসিক শান্তি, সম্পর্ক সবই কিন্তু রক্ষা পেল।
এই সময় ডিজিটালের লাইফস্টাইল সংক্রান্ত সব আপডেট এখন টেলিগ্রামে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন এখানে।
বিশেষজ্ঞমহল বলছে, বেশিক্ষণ না খেয়ে থাকলেও আপনি অকারণে রাগ হতে পারে৷ কাজ করার জন্য মানুষের মস্তিষ্কের নির্দিষ্ট মাত্রায় গ্লুকোজ প্রয়োজনীয়৷ দীর্ঘক্ষণ খালি পেটে থাকলে সেই মাত্রা কমে যায়৷ ফলে অকারণেই খিটখিটে হয়ে উঠতে হয়৷ তাই অল্প অল্প করে সবসময় কিছু না কিছু খেতে থাকুন, এতে মন আর মেজাজ দুটোই ভালো থাকবে৷ কিন্তু তা বলে জাঙ্ক ফুড খাবেন না৷ কারণ জাঙ্ক ফুড মস্তিষ্কের কোষগুলিকে একে অপরের থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেয়, যার থেকে মেজাজ বিগড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে৷ এমনকী বিশেষজ্ঞমহল বলছে, চর্বিযুক্ত খাবার বিষণ্ণতা বোধ জাগিয়ে তোলে৷
রাগ কমানোর ১০ টোটকা আপনাদের জন্য-
১. রাগের মাথায় কোনও কিছু বলে ফেলা খুব সোজা। তারপরে সেই কথা নিয়ে অনুশোচনার শেষ থাকে না। কিছু বলার আগে কয়েক মুহূর্ত সময় নিন। একটু ভাবুন। অন্যদেরও ভাবার সুযোগ দিন।
২. মাথা ঠাণ্ডা হলে তবেই রাগের প্রকাশ করুন। যখন আপনি পুরো ব্যাপারটা ভাবতে পারছেন, তখনই রাগ প্রকাশ করুন। বিরক্তি প্রকাশ করুন, কিন্তু যুদ্ধের মেজাজে নয়। যত রাগই হোক, অন্যকে অপমান করা কাজের কথা নয়।
৩. শরীর চর্চা মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। রাগও নিয়ন্ত্রণে রাখে। কিছু ব্যায়াম করুন। যদি দেখেন রাগের পারদ চড়ছে, তাহলে বরং কয়েক চক্কর হেঁটে আসুন।
৪. দিনের যে সময়টা ভয়ানক স্ট্রেসের সে সময় নিজেকে কিছুটা ব্রেক দিন। নিজের জন্য শান্ত কিছু সময় বিরক্তিকর অনেক কিছু থেকে মুক্তি দেয়। রাগ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। টাইমআউট শুধু ছোটদের জন্য নয়।
৫. ক্ষমা করতে শিখুন। মনের মধ্যে রাগ পুষে রেখে সবসময় খারাপ কথাই ভাবলে আখেরে ক্ষতি আপনারই। নিজের এই এক পেশে চিন্তায় ডুবে থাকলে ভালো কিছু ভাবার ক্ষমতাটাই না চলে যায়। ক্ষমা করতে শিখুন। নিজের ব্যবহার নিয়েও খুঁটিয়ে ভাবুন। সবাই সব সময় আপনার মতই ভাববে এতটাও আশা করা বোধহয় ঠিক নয়। হাসি ঠাট্টার জুরি মেলা ভার। তবে নিজের চাপ বা রাগ কমাতে গিয়ে অন্যের অনুভূতিকে আঘাত করে ব্যঙ্গ না করাই ভালো।
আরও পড়ুন: রোজ সকালে এক গ্লাস ছাতু শরবত, সহজেই ঝরবে মেদ!
৬. যদি কোনও ভাবেই আপনার রাগ নিয়ন্ত্রণে না আসে, যদি আপনার রাগ আপনার বা অন্যদের লাগাতার ক্ষতির কারণ হয়, তাহলে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
৭. যদি আপনার চড়া মেজাজ নিয়ন্ত্রণে আনতে অসুবিধা হয়, তাহলে জোরে জোরে গভীর নিঃশ্বাস ফেলুন। মজার কোনও দৃশ্য ভাবুন। গান শুনুন, বই পড়ুন, আপনার আদতে যা যা করতে ভাল লাগে সে দিকে বেশি করে মন দিন।
৮. অন্যের নিন্দা বা সমালোচনা না করে নিজের পছন্দ-অপছন্দ পরিস্কার করে জানান। নির্দিষ্ট করে আপনার চাহিদাটা জানান।
৯. কী কারণে আপনি রেগে যাচ্ছেন সে বিষয়ে মাথা না ঘামিয়ে কীভাবে সমস্যার সমাধান হবে তা নিয়ে মনোযোগী হোন।
১০. মন ভালো রাখুন সব সময়। খোলামেলা মেজাজে থাকুন। দেখবেন, নিজের চাপ বা রাগ কমে গিয়েছে। নত হতে হয়েছে বলে যদি খারাপ লাগে, ভেবে দেখুন এর বিনিময়ে আপনার শরীর, মানসিক শান্তি, সম্পর্ক সবই কিন্তু রক্ষা পেল।
এই সময় ডিজিটালের লাইফস্টাইল সংক্রান্ত সব আপডেট এখন টেলিগ্রামে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন এখানে।