এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: আজ দেবশিল্পী বিশ্বকর্মার পুজো। বিশ্বকর্মা পুজোর সঙ্গে জড়িয়ে থাকে অনেক স্মৃতি— সুতোয় মাঞ্জা দেওয়া, নানান রঙের ঘুড়ি কেনা। বিশ্বকর্মা পুজোর দিনে পুজো সেড়েই ঘুড়ি-লাটাই নিয়ে মাঠে-ঘাটে-ছাদে ছুট। এদিক ওদিক থেকে ধেয়ে আসত ভো কাট্টার গুঞ্জন। এখন এই উন্মাদনা কমেছে অনেক। হিন্দু ধর্মে সমস্ত দেবী-দেবতাদের পুজোর তিথি স্থির হয় চন্দ্রের গতির ভিত্তিতে। কিন্তু বিশ্বকর্মার পুজোর তিথি নির্ভর করে সূর্যের গতি প্রকৃতির ওপর। সূর্য সিংহ রাশি থেকে কন্যায় গমন করলে উত্তরায়ণের সূচনা হয়। হিন্দু পঞ্জিকার সূর্যসিদ্ধান্ত এবং বিশুদ্ধসিদ্ধান্তও এ বিষয়ে সহমত পোষণ করে। ভাদ্র মাসের শেষ তারিখে বিশ্বকর্মা পুজোর দিন নির্ধারিত হয়। কলকারখানা, ওয়ার্কশপ আর বিভিন্ন অফিস-কাছারিতে কাজের সঙ্গে সঙ্গে পুজোর কাজেও হাত লাগান কর্মচারীরা। পশ্চিমবঙ্গ, অসম, ত্রিপুরা, ওড়িশা, বিহার, ঝাড়খণ্ড, উত্তরপ্রদেশ এবং কর্নাটকে এই পুজো সাড়ম্বরে পালন করা হয়।
আর বিশ্বকর্মা পুজো মানেই বাঙালির উৎসব শুরু হয়ে যাওয়া। উৎসব চলছে আর বাঙালি খাবে না এ আবার হয় না কি? আর কিছু না হোক, হাঁড়ির খবরে এই জাতি এগিয়ে থাকতেই পছন্দ করে। তাই আপনাদের জন্য রইল বাসন্তী পোলাও আর গোলবাড়ির মটন কষা। লাল টকটকে ঝোলটা বাসন্তী পোলাওয়ের সঙ্গে মিলেমিশে একাকার হয়ে যাবে। সেটা আঙুল দিয়ে তুলে নিয়েই মুখে পুরে দেবেন। যেন স্বর্গীয় আনন্দ! তাই না।
বাসন্তী পোলাও
উপকরণ
চাল, কাজু বাদাম, কিসমিস, দারচিনি, এলাচ, লবঙ্গ, তেজপাতা, হলুদ গুঁড়ো, আদা, চিনি, ঘি, তেল।
পদ্ধতি
চাল নিয়ে ভালো করে ধুয়ে নিন। জল ঝরিয়ে নিয়ে ঘি আর হলুদ দিয়ে চালটাকে ভালো করে মেখে আধ ঘণ্টা ঢেকে রাখুন। কড়াইতে ঘি দিয়ে কাজু আর কিসমিস হালকা করে ভেজে নিন। তাতে একটু তেলও মিশিয়ে নেবেন। ভাজা কিসমিস আর কাজু তুলে একপাশে সরিয়ে রাখুন। পাত্রে আরও একটু তেল দিয়ে তাতে তেজপাতা, লবঙ্গ, এলাচ আর দারচিনি দিয়ে দিন।
এর পর আদা বাটা দিয়ে হালকা ভাজুন। এর পর চাল দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। চাইলে একটু সুগন্ধীও দিতে পারেন। আন্দাজ মতো জল পাত্রে দিয়ে নুন আর চিনি দিয়ে দিন। জল শুকিয়ে আসার পর চাল ভাল সিদ্ধ হয়েছে কিনা দেখে নিন। নুন-চিনি ঠিক মতো পড়েছিল কিনা তাও দেখে নেবেন। তারপর ভাজা কাজু আর কিসমিসগুলো মিশিয়ে দিলে তৈরি হয়ে যাবে বাসন্তা পোলাও।
মটন কষা
উপকরণ
মটন, বড় পেঁয়াজ কুঁচানো, রসুন বাটা, আদা বাটা, কাঁচা লঙ্কা বাটা, জিরে গুঁড়ো, লাল লঙ্কার গুঁড়ো, দই ভালো করে ফেটানো, এলাচ, দারচিনি, লবঙ্গ, তেজপাতা, সরষের তেল, পাকা পেঁপে বাটা, পাঁচফোড়ন।
পদ্ধতি
মাংস পাকা পেঁপে বাটা দিয়ে ম্যারিনেট করে ৪ থেকে ৬ ঘণ্টা ঢেকে রেখে দিন। কড়াইতে সরষের তেল দিয়ে তাতে গোটা শুকনো লঙ্কা, তেজপাতা, পাঁচফোড়ন, এলাচ, লবঙ্গ, দারচিনি দিয়ে দিন। একটু গন্ধ বের হলেই পেয়াজ কুঁচানোটা দিয়ে দিন। পেঁয়াজের রং কালচে হতে শুরু করলে তাতে ম্যারিনেট করা মাংস দিয়ে দিতে হবে। তারপর ভালো করে নাড়তে হবে যাতে তলায় লেগে না যায়। কষা হয়ে গেলে এক কাপ গরম জল দিয়ে ঢাকা দিন। মাঝে মাঝে ঢাকা খুলে নাড়বেন। এবার একটি পাত্রে আদা বাটা, রসুন বাটা, লঙ্কা বাটা, জিরে গুঁড়ো একসঙ্গে মিশিয়ে নুন। অন্য একটি পাত্রে দু’চামচ সরষের তেল গরম করে তাতে মশলাগুলো কষিয়ে নিন। এর ওই কষানো মশলা মাংসের উপর ঢেলে দিয়ে ভালো করে নেড়ে নিন। এবার একটু লঙ্কা গুঁড়ো আর দই মিশিয়ে দিতে হবে। আধা ঘণ্টা মতো রান্না করার পর মাংস থেকে তেল ছাড়তে শুরু করবে। এবার একটু গরম মশলা দিয়ে গরম গরম পরিবেশ করতে পারেন।
আর বিশ্বকর্মা পুজো মানেই বাঙালির উৎসব শুরু হয়ে যাওয়া। উৎসব চলছে আর বাঙালি খাবে না এ আবার হয় না কি? আর কিছু না হোক, হাঁড়ির খবরে এই জাতি এগিয়ে থাকতেই পছন্দ করে। তাই আপনাদের জন্য রইল বাসন্তী পোলাও আর গোলবাড়ির মটন কষা। লাল টকটকে ঝোলটা বাসন্তী পোলাওয়ের সঙ্গে মিলেমিশে একাকার হয়ে যাবে। সেটা আঙুল দিয়ে তুলে নিয়েই মুখে পুরে দেবেন। যেন স্বর্গীয় আনন্দ! তাই না।
বাসন্তী পোলাও
উপকরণ
চাল, কাজু বাদাম, কিসমিস, দারচিনি, এলাচ, লবঙ্গ, তেজপাতা, হলুদ গুঁড়ো, আদা, চিনি, ঘি, তেল।
পদ্ধতি
চাল নিয়ে ভালো করে ধুয়ে নিন। জল ঝরিয়ে নিয়ে ঘি আর হলুদ দিয়ে চালটাকে ভালো করে মেখে আধ ঘণ্টা ঢেকে রাখুন। কড়াইতে ঘি দিয়ে কাজু আর কিসমিস হালকা করে ভেজে নিন। তাতে একটু তেলও মিশিয়ে নেবেন। ভাজা কিসমিস আর কাজু তুলে একপাশে সরিয়ে রাখুন। পাত্রে আরও একটু তেল দিয়ে তাতে তেজপাতা, লবঙ্গ, এলাচ আর দারচিনি দিয়ে দিন।
এর পর আদা বাটা দিয়ে হালকা ভাজুন। এর পর চাল দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। চাইলে একটু সুগন্ধীও দিতে পারেন। আন্দাজ মতো জল পাত্রে দিয়ে নুন আর চিনি দিয়ে দিন। জল শুকিয়ে আসার পর চাল ভাল সিদ্ধ হয়েছে কিনা দেখে নিন। নুন-চিনি ঠিক মতো পড়েছিল কিনা তাও দেখে নেবেন। তারপর ভাজা কাজু আর কিসমিসগুলো মিশিয়ে দিলে তৈরি হয়ে যাবে বাসন্তা পোলাও।
মটন কষা
উপকরণ
মটন, বড় পেঁয়াজ কুঁচানো, রসুন বাটা, আদা বাটা, কাঁচা লঙ্কা বাটা, জিরে গুঁড়ো, লাল লঙ্কার গুঁড়ো, দই ভালো করে ফেটানো, এলাচ, দারচিনি, লবঙ্গ, তেজপাতা, সরষের তেল, পাকা পেঁপে বাটা, পাঁচফোড়ন।
পদ্ধতি
মাংস পাকা পেঁপে বাটা দিয়ে ম্যারিনেট করে ৪ থেকে ৬ ঘণ্টা ঢেকে রেখে দিন। কড়াইতে সরষের তেল দিয়ে তাতে গোটা শুকনো লঙ্কা, তেজপাতা, পাঁচফোড়ন, এলাচ, লবঙ্গ, দারচিনি দিয়ে দিন। একটু গন্ধ বের হলেই পেয়াজ কুঁচানোটা দিয়ে দিন। পেঁয়াজের রং কালচে হতে শুরু করলে তাতে ম্যারিনেট করা মাংস দিয়ে দিতে হবে। তারপর ভালো করে নাড়তে হবে যাতে তলায় লেগে না যায়। কষা হয়ে গেলে এক কাপ গরম জল দিয়ে ঢাকা দিন। মাঝে মাঝে ঢাকা খুলে নাড়বেন। এবার একটি পাত্রে আদা বাটা, রসুন বাটা, লঙ্কা বাটা, জিরে গুঁড়ো একসঙ্গে মিশিয়ে নুন। অন্য একটি পাত্রে দু’চামচ সরষের তেল গরম করে তাতে মশলাগুলো কষিয়ে নিন। এর ওই কষানো মশলা মাংসের উপর ঢেলে দিয়ে ভালো করে নেড়ে নিন। এবার একটু লঙ্কা গুঁড়ো আর দই মিশিয়ে দিতে হবে। আধা ঘণ্টা মতো রান্না করার পর মাংস থেকে তেল ছাড়তে শুরু করবে। এবার একটু গরম মশলা দিয়ে গরম গরম পরিবেশ করতে পারেন।