করিনা কাপুর, আলিয়া ভাট, সারা আলি খানের মতো তারকারা রুজুতার পরামর্শ মেনে ডায়েট করেন। সকলে যখন কিটো ডায়েট নিয়ে মেতে উঠেছিলেন, তখন বিদেশী ডায়েট বাদ দিয়ে দেশী শাক-সবজি খাওয়ার পরামর্শ প্রথম দিয়েছিলেন রুজুতাই। অনেক তারকাই তাঁর ডায়েটে উপকৃত হয়েছেন এবং প্রয়োজন মতো মেদও ঝরিয়ে ফেলেছেন।
রুজুতার পরামর্শ
শীতে কী খাবেন?
পুষ্টিবিদ রুজুতা সম্প্রতি শীতে খাওয়ার জন্য এমন ৫টি খাবারের কথা জানিয়েছেন। যেগুলো আপনাকে শীতের সময় গরম রাখতে এবং রোগ-ভোগ থেকে রক্ষা করতে কাজ করতে পারে। এই তালিকায় তিনি তিলের লাড্ডুও অন্তর্ভুক্ত করেছেন। আপনি যদি মিষ্টি খেতে পছন্দ করেন তবে এটি আপনার জন্য ভালো উপায় হতে পারে। এই তিলেপ লাড্ডু আপনাকে কী ভাবে রক্ষা করতে পারে দেখে নিন।
তিলের তৈরি লাড্ডু আসলে কী?
এই তিলের লাড্ডু হল তিলের বীজ থেকে তৈরি একটি মিষ্টি। যা উত্তরাঞ্চলে মিষ্টি হিসেবে খাওয়া হয়। বিশেষ করে মহারাষ্ট্রে সংক্রান্তির সময় এটি সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়। এই লাড্ডু তৈরি করতে দু'টি প্রধান উপাদান ব্যবহার করা হয়। যার মধ্যে একটি তিল এবং অন্যটি গুড়। এই দুটি উপাদানই শীতের মরশুমে আপনাকে উষ্ণ ও সুস্থ রাখতে বিশেষ সাহায্য করে।
দেখে নিন রেসিপি
তিলের লাড্ডু শীতকালে সব চেয়ে জনপ্রিয়।
- এ ক্ষেত্রে পাত্রে ক্যানোলা তেল দিয়ে তাতে তিল দিয়ে দিন
- তিল যখন না বাদামি হয়ে যাচ্ছে, ততক্ষণ নেড়ে যেতে হবে।
- গরম দুধে কেশর ভিজিয়ে রাখতে হবে।
- তার মধ্যে তিল আর গুড় দিয়ে ফুটিয়ে নিতে হবে।
- এই মিশ্রন যেন শুকিয়ে শক্ত না হয়ে যায় খেয়াল রাখা দরকার।
- প্রয়োজনে একটু দুধ মিশিয়ে দেওয়া যায়।
- এর মধ্যে খোয়া ক্ষীর আর তিল দিতে হবে।
- হাতে তেল মেখে নিয়ে লাড্ডুর মতো গড়ে নিতে হবে।
শীতকালে কেন খাওয়া হয় এই লাড্ডু
তিলের ভিতরে উপস্থিত তেল শরীরকে সম্পূর্ণ উষ্ণ রাখতে সাহায্য করে এবং শরীরের তাপমাত্রা কমিয়ে রাখে। এছাড়াও তিলে উপস্থিত অসম্পৃক্ত চর্বি কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। এর পাশাপাশি তিলের বীজে প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেসিয়ামের মতো গুণ রয়েছে যা শুধু হাড়কেই মজবুত করে না। এর পাশাপাশি এটি চুলের গুণমানও উন্নত করে এবং ত্বককেও উজ্জ্বল করে। এছাড়াও, তিলের অন্তর্ভুক্ত বৈশিষ্ট্যগুলি আপনার হজমশক্তি উন্নত করে এবং শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে আয়রন সরবরাহ করে। যার কারণে আপনি অ্যানিমিয়ার মতো রোগ থেকেও দূরে থাকেন।
তবে, কিছু সতর্কতাও প্রয়োজন
আমরা সকলেই জানি যে গুড় শুধুমাত্র চিনির একটি দুর্দান্ত বিকল্প নয়, এটি অনেক গুণের রাজাও। কিন্তু আমাদের এটাও মনে রাখতে হবে যে গুড় খেতে খুব মিষ্টি এবং এটি ডায়াবেটিস রোগীর ক্ষেত্রে বিপজ্জনক হতে পারে। আপনি যদি এটি অতিরিক্ত পরিমাণে গ্রহণ করেন তবে এটি রক্তে শর্করার মাত্রাকে প্রভাবিত করতে পারে। এছাড়া এটি ওজন বৃদ্ধি এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও বাড়িয়ে দিতে পারে। এএমন পরিস্থিতিতে শুধুমাত্র নির্ধারিত পরিমাণে তিল খান এবং আপনার যদি কোনো ধরনের সমস্যা থাকে তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে তবেই সেবন করুন।
এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য। এটি কোনওভাবেই কোনও ওষুধ বা চিকিৎসার বিকল্প হতে পারে না। আরও বিস্তারিত জানার জন্য সর্বদা আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।