অ্যাপশহর

পায়েস থেকে পাটিসাপটা, জানুন নলেন গুড়ের উপকারিতা...

শীত মানেই পিঠেপুলি আর নলেন গুড়ের পায়েস। তবে এই গুড়ের কিন্তু অনেক উপকারিতাও আছে।

EiSamay.Com 22 Dec 2020, 8:30 pm
এই সময় জীবনযাপন ডেস্ক: অঘ্রাণের শেষ থেকেই নতুন গুড়ের সুঘ্রাণে ভরে ওঠে গ্রাম বাংলা। ভোরবেলা খেজুরের রস আর দুপুরের পর সেই রসে জ্বাল দিয়ে তৈরি করা হয় খেজুর গুড়। তৈরি হয় পাটালি। পৌষের শুরুতেই নতুন ধানে ভরে ওঠে গোলা। আর তাই দিয়ে হয় নবান্ন। এদিন থেকেই পিঠে-পুলি শুরু হয়ে যায় গ্রাম বাংলার বাড়িতে বাড়িতে। আর নতুন গুড়ের পায়েস, রসগোল্লা এসব তো আছেই। এছাড়াও নলেন গুড়ের কিন্তু প্রচুর উপকারিতা রয়েছে। নলেন গুড় হজম ভালো করায়। শীতে সবারই মিষ্টির প্রতি ঝোঁক বাড়ে। কিন্তু যাঁরা ডায়াবেটিক, তাঁদের চিনি খাওয়া বার। সেক্ষেত্রে নলেন গুড় খেতে পারলে কোনও অসুবিধে হয় না। সেই সঙ্গে মিষ্টির স্বাদপূরণও হয়। বিশেষজ্ঞরা বলেন, যখন কোনও খাবারের জন্য খুব বেশি ক্রেভিং হয়, তাহলে জোর করে তা চেপে না রেখে খেয়ে ফেলা উচিত। তেমনই হল মিষ্টি। সবারই মিষ্টির প্রতি লোভ থাকে। আর বছরে মাত্র দুমাস ঠান্ডার আমেজ থাকে। এই কদিন কি আর মিষ্টি না খেয়ে থাকা যায়! তাই মুশকিল আসান হয়ে আসে নলেন গুড়। প্রতিদিন ১৫ থেকে ২০ গ্রাম খেজুর গুড় খাওয়ার কথা বলছেন বিশেষজ্ঞরা। জানুন নলেন গুড়ের উপকারিতা।
EiSamay.Com from digestion to weight loss know the health benefits of nolen gur
পায়েস থেকে পাটিসাপটা, জানুন নলেন গুড়ের উপকারিতা...


সংক্রমণ ঠেকাতে

শীতে বাড়ে রোগজ্বালার প্রকোপ। এমনকী ভাইরাস-ব্যাকটেরিয়াও সক্রিয় হয় এই শীতকালেই। ফলে সর্দি, কাশি, হজমের সমস্যা, গ্যাস, অম্বল এসব লেগেই থাকে। তাই সকালে খালিপেটে গুড়-আদা খেলে যেমন সমস্যার সমাধান হয় তেমনই খাবার পর গুড়ের গরম রসগোল্লা কিংবা সামান্য পায়েস খেলেও হজম ক্ষমতার উন্নতি হয়। দেহে হজমে সাহায্যকারী উৎসেচক তৈরি হয়।

আয়রনের ঘাটতি পূরণ

খেজুর গুড়ে থাকে প্রচুর পরিমাণ আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম। যা আমাদের শরীরে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বাড়ায়। যাঁদের অ্যানিমিয়া থাকে, তাঁদের তাই প্রতিদিন একটু করে গুড় খেতে বলা হয়।

অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর

নলেন গুড়ে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। যা আমাদের শরীরকে রক্ষা করে, শরীর থেকে বিষাক্ত টক্সিন বের করে দিয়ে। এতে শরীর থাকে সুস্থ। সেই সঙ্গে ভালো থাকে আমাদের ত্বক।

এনার্জি দেয়

কার্বোহাইড্রেট জাতীয় কোনও খাবারই আমাদের শরীরে এনার্জি দেয়য। চিনিও তার ব্যতিক্রম নয়। কিন্তু চিনি খেলে আমাদের শরীরে অল্প সময়েই মধ্যেই গ্লুকোজ তৈরি হয়। আর হঠাৎ তৈরি হওয়া এই জটিল কার্বস দেহের অন্যান্য অঙ্গের উপর প্রভাব ফেলে। কিন্তু গুড়ের মিষ্টি খেলে এই সমস্যা হয় না। কারণ গুড়ের রক্তের সঙ্গে মিশে গ্লুকোজ উৎপাদন করা এই প্রক্রিয়াতে বেশ কিছুটা সময় লাগে। ফলে অন্য অঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হয় না।

হরমোনের ক্ষরণ ঠিক রাখে

নলেন গুড়ে রয়েছে আয়রন, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম-সহ প্রয়োজনীয় ভিটামিন। যা আমাদের দেহে হরমোনের সঠিক ক্রিয়া বজায় রাখতে সাহায্য করে। বিশেষত মেয়েদের। অনেক মহিলাই পিএমএসে ভোগেন। প্রতিদিন গুড় খেলে হ্যাপি হরমোনের ক্ষরণ হয়য়। ফলে মন মেজাজ ভালো থাকে।

পরের খবর

Lifestyleসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল