মোতিচুরের লাড্ডু
দিওয়ালির প্রসাদ থেকে মিষ্টিমুখ, অন্যতম হল মোতিচুরের লাড্ডু। আর মোতিচুরের লাড্ডু খেতে ভালোবাসেন না এমন কেউ নেই। দেখে নিন এই লাড্ডু বানাতে কি কি লাগছে
বেসন-২ কাপ
সুজি-১/২ কাপ
নুন, চিনি পরিমাণ মতো
হলুদ ফুড কালার
বাদাম ভাঙা- হাফ কাপ
ঘি- এক চামচ
সিরার জন্য
চিনি-২ কাপ
জল-১ কাপ
এলাচ-২টি
প্রণালী- সুজি, বেসন একসঙ্গে মিশিয়ে নিন। সামান্য নুন দিন। পরিমাণ মতো জল দিয়ে ব্যাটার বানিয়ে নিন। এবার হলুদ ফুড কালার মিশিয়ে ১৫ মিনিট রাখুন। সাদা তেল মাঝারি আঁচে গরম করে নিন। এবার ছান্তাতে ওই মিশ্রণ দিয়ে বোঁদে ভেজে নিন। এবার অন্য একটি পাত্রে জল, চিনি, ঘি দিয়ে গরম করুন। সিরাপ তৈরি হলে বুন্দি ছাড়তে থাকুন। বাদাম ভাঙা দিন। ১৫ থেকে ২০ মিনিট রেখে নামিয়ে নিন। এবার হাসকা গরম অবস্থাতেই লাড্ডু গড়ে নিন। উপর থেকে পেস্তা কুচি ছড়িয়ে পরিবেশন করুন।
মালাই চমচম
মালাই চমচম সবার খুব প্রিয় একটি মিষ্টি। স্বাদে গন্ধে এই মিষ্টি অপূর্ব। মিষ্টিটি বানাতে যা যা লাগছে
চমচমের জন্য
ছানা - ২ কাপ
চিনি - ২ কাপ
জাফরান - ১ চিমটি
মালাইয়ের জন্য
দুধ - ২-৩ কাপ
চিনি - ২ কাপ
এলাচ গুঁড়ো - ১ চা চামচ
পরিবেশনের জন্য
পেস্তা কুচি
আলমন্ড কুচি
প্রণালী
একটি বাটিতে ভাল করে ছানা মেখে নিন। যতক্ষণ না নরম ও মসৃণ হচ্ছে ততক্ষণ আটা মাখার মতো করে মাখতে থাকুন। মাখা হয়ে গেলে মাঝারি মাপের লেচি কেটে নিন। এবার আঙুল দিয়ে ডিম্বাকৃতি চমচমের আকারে গড়ে নিন। একটি পাত্রে জল গরম করতে বসান।
যখন জল ফুটতে শুরু করবে তখন তাতে চিনি ও জাফরান দিয়ে দিন। ভাল করে মিশিয়ে মিডিয়াম আঁচে চিনির রস তৈরি করে নিন। এবার আগে থেকে তৈরি করে রাখা কাঁচা চমচমগুলি ছেড়ে দিন। ৪ / ৫ মিনিট গ্যাসের আঁচ বাড়িয়ে ফুটিয়ে নিন।তারপরগ্যাসের আঁচ মিডিয়াম করে ঢাকা দিয়ে ১০ মিনিট চমচমগুলি রান্না করুন ।চমচম নরম হয়ে এলে আঁচ বন্ধ করে দিন। এবার এই চমচমগুলি রস থেকে তুলে ঠান্ডা হতে দিন। একটি অন্য পাত্রে মালাইয়ের জন্য কম আঁচে দুধ বসান। যতক্ষন না দুধ ঘন হয়ে অর্ধেক হয়ে যাচ্ছে ততক্ষণ ফোটান। এই দুধের মিশ্রণে চিনি ও এলাচগুঁড়ো মেশান। মাঝে মাঝে নাড়তে থাকুন।একটু পাতলা থাকার সময়ই নামিয়ে নিন দুধটা।
কারণ ঠান্ডা হলে মালাই আরও টেনে যাবে। এবার চমচম দুধে ফেলুন। উপর থেকে পেস্তা ছড়ালেই রেডি।
গোলাপ জামুন
ইনস্ট্যান্ট গোলাপ জামুন মিক্স পাওয়া গেলেও বাড়িতে বানানো গোলাপ জামুনের স্বাদই আলাদা। বানানোও খুব সহজ। দেখে নিন পদ্ধতি। যা যা লাগছে
খোয়া-৩০০ গ্রাম
ময়দা-৩ চামচ
চিনি-৩ চামচ
জল-হাফ লিটার
জাফরান-সামান্য
রিফাইন তেল-২০০ গ্রাম
প্রণালী
একটি বাটিতে খোয়া ও ময়দা মিশিয়ে নিন। গোলাপ জামের মতো গোলা পাকিয়ে নিন। এরপর চিন চামচ চিনি ও আফ লিটার জল গরম করে চিনির সিরা বানিয়ে নিন তাতে জাফরান মিশিয়ে নিন। একটি পাত্রে তেল নিয়ে গোলপ জাম ভেজে নিন লাল করে। এরপর চিনির সিরায় ভিজিয়ে রাখুন গোলাপ জাম। উপর থেকে আমন্ড আর পেস্তা কুচি ছড়িয়ে পরিবেশন করুন।
কাজু বরফি
বাঙালির দিওয়ালি মানেই কাজু বরফি। কাজু বরফি ছাড়া মোটেই সম্পূর্ণ হয় না দিওয়ালি। যা যা লাগছে বরফি বানাতে
গোটা কাজু-১ কাপ
চিনি-১/২ কাপ
ঘি-১ চামচ
জল-১/২ কাপ
রুপোলি রাংতা- ২টো
প্রণালী
চিনি আর জল কড়াইতে ফুটিয়ে ভালো করে সিরা বানিয়ে নিন। চিনি আঠা হয়ে এলে কাজুগুঁড়ো করে মিশিয়ে নিন। এর মধ্যে ভালো করে ঘি মিশিয়ে নিন। সব মিশলে ঠান্ডা করুন। চৌকো প্লেটে ঘি লাগিয়ে কাজুর মিশ্রণ সমান ভাবে ঢেলে নিন। উপর থেকে রাংতা লাগিয়ে নিন। ছুরি দিয়ে চৌকো করে কেটে নিন। ফ্রিজে ৩০ মিনিট রেখে পরিবেশন করুন।
রসগোল্লা
এই লকডাউনে সবাই বাড়িতে প্রচুর রসগোল্লা বানিয়েছেন। বাঙালির উৎসব মানেই রসগোল্লা মাস্ট। দেখে নিন কীভাবে বানাবেন। যা যা লাগছে
দুধ-১ লিটার
লেবুর রস- ২ চামচ
ময়দা-২ চামচ
ছোট এলাচ- ২টো
চিনি-১ কাপ
জল-২ কাপ
যেভাবে বানাবেন
প্রথমে দুধ গরম করে লেবুর রস দিয়ে ছানা কাটিয়ে নিন। এবার একটা সুটির কাপড়ে ছানা রেখে ভালো করে জল ছেঁকে নিন। এবার ছানা হাত দিয়ে ভালো করে মাখুন। ১০ মিনিট রেখে ওর সঙ্গে ময়দা মিশিয়ে ভালো করে মেখে ১৫ মিনিট রেখে দিন। এবার গোল করে লেচি কেটে নিন। এবার চিনি আর জল দিয়ে সিরাপ বানিয়ে নিন। ওই সিরাপ ১০ মিনিট ফোটার পর ছানার বল ছেড়ে দিন। ১৫ মিনিট রেখে পরিবেশন করুন।
নাড়ু
উৎসবে বাঙালির ঘরে একটু নাড়ু হবে না তা হয় নাকি। প্রসাদ থেকে মিষ্টিমুখ কালীপুজোয় নাড়ু থাকবেই। নারেল নাড়ু তিলের নাড়ুর পাশাপাশি বানিয়ে নিন খইয়ের নাড়ু। যা যা লাগছে
গুড়-৩০০ গ্রাম
খই-৫০০ গ্রাম
যেভাবে বানাবেন
কড়াইতে গুড় পাক করতে দিন। এবার পাক হয়ে এলে ওর মধ্যে খই মিশিয়ে নিন। এবার গরম অবস্থাতেই নাড়ু পাকিয়ে নিন। একই ভাবে নারকেল কোরা আর তিল মিশিয়েও নাড়ু বানিয়ে নিন।
জিলিপি
দেখতে প্যাঁচালো, কিন্তু বানানো বেশ সোজা। দেখে নিন কী কী লাগছে।
ময়দা- এক কাপ
বেকিং পাউডার- ১/৩ চামচ
টক দই- ১/৩ কাপ
জাফরান রং
সিরাপের জন্য
চিনি- দেড় কাপ
জল- এক কাপ
দুধ- তিন চামচ
এলাচ- ২ টো
প্রণালী
ময়দা আর বেকিং পাউডার ভালো ভাবে মিশিয়ে নিতে হবে। এবার তাতে টকদই মিশিয়ে পরিমাণ মতো জল মিশিয়ে ভালো করে মিশ্রণ তৈরি করে নিতে হবে। এই মিশ্রণ কিন্তু বেশ স্মুথ হবে। বেশি পাতলা করবেন না। সামান্য পরিমাণ জাফরান রং মিশিয়ে নিন। এবার কড়াইতে দেড় কাপ চিনি আর এক কাপ জল দিয়ে চিনির সিরাপ তৈরি করুন। চিনি ফুটলে তিন চামচ দুধ দিন। এরপর এলাচ আর সামান্য জাফরান রং দিয়ে বেশ ঘন করে সিরাপ বানান। জিলিপি কিন্তু সবসময় মাঝারি আঁচে ভাজতে হয়। জিলিপির মিশ্রণটা ফাঁকা সসের বোতল কিংবা পাইপিং ব্যাগে ভরে ফেলুন। এবার তেল গরম হলে সুন্দর করে তেলে জিলিপি ছাড়ুন। ভাজা হলে চিনির সিরাপে ফেলুন। পাঁচ মিনিট রেখে তুলে নিলেই রেডি জিলিপি।