অ্যাপশহর

Blue Jeans Banned: নীল জিন্স পরাই নিষিদ্ধ এই ১টা মাত্র দেশে, কেন? উত্তর শুনলেই চোখ কপালে উঠবে আপনার!

Jeans Banned in North Korea: উত্তর কোরিয়ায় জিন্স পরা নিষিদ্ধ? নাকি কোনও বিশেষ ধরনের জিন্সের উপর বিধি নিষেধ চাপানো হয়েছে। নীল জিন্স পরা পৃথিবীর কোন দেশে বেআইনি? কোথায় স্কিনি জিন্স পরা নিষিদ্ধ? কেন এই সিদ্ধান্ত? জেনে নিন

Produced byইন্দ্রাণী বসু | EiSamay.Com 29 Oct 2022, 3:46 pm
North Korea Fashion Ban: জিন্স সবার খুব প্রিয় একটা পোশাক। এই ক্য়াজুয়াল আউটফিটটি(Casual Outfit) যেরকমভাবে ইচ্ছে স্টাইল করা যায়। হালে তো ফ্যাশন ইনফ্লুয়েন্সাররা শাড়ি দিয়েও জিন্স স্টাইল করে ফেলছেন। আর এত সুন্দর একটা আউটফিটকে স্টাইল করবেন না কেন বলুন দেখি? পুরুষ থেকে মহিলা ও নানা বয়সের মানুষ সবাই জিন্সে(Jeans) খুবই কম্ফোর্ট বোধ করেন। দেখতেও চমৎকার লাগে। স্কিনি থেকে নন স্কিনি, বেল বটমস এবং ইন্ডিগো ব্লু থেকে নানা প্যাস্টেল শেড, সব ধরনের জিন্সই খুব জনপ্রিয়।
EiSamay.Com wearing blue jeans is banned in north korea and the reason behind it
Blue Jeans Banned: নীল জিন্স পরাই নিষিদ্ধ এই ১টা মাত্র দেশে, কেন? উত্তর শুনলেই চোখ কপালে উঠবে আপনার!


কিন্তু পৃথিবীতে এমন একটি দেশ আছে, যেখানে ইন্ডিগো ব্লু জিন্স পরা নিষিদ্ধ! এমনকী স্কিনি জিন্স পরাও নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কথা হচ্ছে উত্তর কোরিয়ার(North Korea)। সেখানে এমন কিছু অদ্ভুত ফ্যাশন ব্যান(Fashion Ban) আছে, যা শুনলে আপনার চোখ কপালে উঠতে পারে। (ছবি- istock)

এই কথা জানতেন কি?

উত্তর কোরিয়ায় নানা ধরনের নিষিদ্ধকরণের কথা আমরা জানতে পেরেছি। পোশাক নিয়েও নানা ধরনের নিয়ম সেখানে চালু আছে। বিশেষ করে, মেয়েদের উপরেই নানা নিয়মের ভার যেন চাপিয়ে দেওয়া হয়। সেই উত্তর কোরিয়াতেই একবার নীল জিন্স পরা নিষিদ্ধ করা হয়। নীল রঙের জিন্স বা ইন্ডিগো ব্লু জিন্স উত্তর কোরিয়ার বাসিন্দারা পরতে পারেন না।

এমনকী অন্যান্য ক্ষেত্রেও নানা বিধি নিষেধ আনা হয়। যেমন একইসঙ্গে পিয়ারসিং করা বন্ধ করা হয়। অনেক ধরনের হেয়ারস্টাইলও ব্য়ান করা হয় সেখানে।

কেন নিষিদ্ধ নীল জিন্স(Blue Jeans Banned)?

কিন্তু কেন? এই প্রশ্নই সবার প্রথমে আপনার মনে আসছে তাই তো। কারণ, স্টাইলিং বা ফ্যাশনের মতো বিষয় একদমই নিজস্ব পছন্দের উপর নির্ভর করে। এখানে অন্য কারও চাপিয়ে দেওয়া নিয়ম মানতে ইচ্ছে করে না। আর জিন্সের মতো একটা আউটফিট তো যে কোনও ফ্যাশনিস্তারই খুব প্রিয়। কিন্তু উত্তর কোরিয়াতে কেন ব্যান করা হয়েছিল নীল জিন্স?

উত্তর কোরিয়ার শাসকের মতে, এটি আমেরিকার সাম্রাজ্যবাদের প্রতীক। তাই এই নীল জিন্সকে নিষিদ্ধ করা হয়। পাশাপাশি পশ্চিমী ইনফ্লুয়েন্স রুখে দেওয়ার জন্য নানা ধরনের হেয়ারস্টাইল ও পিয়ারসিংয়ের উপরেও ব্যান লাগানো হয় সেবার।

স্কিনি জিন্স পরাও নিষেধ

ব্যান করা হয় স্কিনি জিন্সও। নীল জিন্সের পরে এই স্কিনি জিন্স পরাও বন্ধ করা হয় উত্তর কোরিয়ায়। উত্তর কোরিয়ায় একটি সংবাদপত্রের রিপোর্টে ঠিক এই উল্লেখ করা হয়েছিল। সেই রিপোর্টে এই উল্লেখও করা হয় যে, জিন্স ও কিছু বিশেষ হেয়ারস্টাইলের উপর নিষেধ আরোপ করেছেন কিম। শুধুমাত্র জামাকাপড়েই এই নিষেধাজ্ঞা আছে তা নয়, আরও অনেক জিনিসের উপরেই নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন তিনি।

রিপোর্ট অনুযায়ী, কিম জং উন উত্তর কোরিয়ায় স্কিনি জিন্স পরা নিষিদ্ধ করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, এই পোশাক ক্যাপিটালিজম দ্বারা উদ্বুদ্ধ। যুব সম্প্রদায় এই পশ্চিমী পোশাকের উপর বেশি আগ্রহী হয়ে পড়ছে। এই নিয়ে বেশ চিন্তিত তিনি।

মহিলাদের পোশাকে ফতোয়া

বিশেষ করে, উত্তর কোরিয়ায় মহিলাদের পোশাক নিয়েও বেশ কিছু নিয়ম ফতোয়া রয়েছে। কিমের বোন ও স্ত্রীকে সেই ধরনের নিয়ম মেনে চলতে দেখা যায়। মহিলারা টাইট ফিট প্যান্ট বা স্কিনি জিন্স পরতে পারেন না। তাঁদের সবরকম পোশাক পরার অধিকার নেই।

তাঁরা শুধুই ট্র্যাডিশনাল ড্রেস ও স্কার্ট পরতে পারেন। স্কার্টের ঝুল কতটা হবে, তা ঠিক করে দেওয়া আছে। হাঁটু বা হাঁটুর নিচ পর্যন্ত স্কার্ট পরতে পারেন মেয়েরা। স্কার্ট যেন খুব চাপা না হয়। বরং, ঢিলেঢালা স্কার্ট পরতে হয়। একইসঙ্গে টপ ও ব্লেজারও যেন খুব চাপা না হয়। ঢিলে টপ বা ব্লেজারে স্টাইলিং করতে হয় তাঁদের।

হিলসেও আছে বিধি নিষেধ

কিম জং উনের বোন এবং স্ত্রীকে কখনও হাই হিলস পরতে দেখা যায় না। তাঁরা বেশিরভাগ সময়েই কিটেন হিলস পরেন। কারণ, তাঁদের হাই হিলস পরার অনুমতি নেই। তাঁরা পাম্প বা স্ট্র্যাপ হিলস পরতে পারেন। তাঁদের ব্লক হিলসও পরার অনুমতি আছে। কিন্তু লেডি রি সোল জু বা কিম ইয়ো জংকে এই ধরনের জুতো পরে খুব বেশি দেখা যায় না। তাঁরা ৩ ইঞ্চির হিলস পরতে পারেন। এই নিয়মই রয়েছে তাঁদের জন্য।

উত্তর কোরিয়ায় এইরকম নানা ধরনের ফ্যাশন ব্যান আছে। জিন্স থেকে শুরু করে স্কার্ট, নানা পোশাকেই অদ্ভুত ধরনের বিধি নিষেধ জারি করা হয়েছে।

প্রবন্ধের যাবতীয় তথ্য ইন্টারনেট থেকে নেওয়া হয়েছে। এর সত্যতা যাচাই করে দেখেনি এই সময় ডিজিটাল।

ফিনফিনে পাতলা শাড়িতে ৪২-এর রাইমা সেন বলে বলে টেক্কা দিলেন তরুণীদের! ডিপনেক ব্লাউজের এদিকেই গেল সবার নজর

পরনে নেই ব্লাউজ, শুধুই বেনারসি ও শাঁখা-পলায় মোহময়ী স্বস্তিকা দত্ত, সীতাহারের পাশাপাশি আর কোন গয়নায় সাজলেন?

লেখকের সম্পর্কে জানুন
ইন্দ্রাণী বসু
"ইন্দ্রাণী বসু একজন সুলেখিকা এবং সাংবাদিক। ডিজিটাল মিডিয়ায় তাঁর হাতেখড়ি। প্রায় ৪ বছর ধরে তিনি ডিজিটাল মিডিয়ায় কর্মরত। সাংবাদিক হিসেবে কাজ শুরু করার পর খুব অল্প সময়ের মধ্যে তিনি এই পেশায় তাঁর দক্ষতার স্বাক্ষর রেখেছেন। তাঁর চর্চিত প্রিয় বিষয়গুলো হল বিউটি, ফ্যাশন এবং লাইফস্টাইল। এই সমস্ত বিষয়ে তিনি অনেক লেখালেখিও করেছেন। ইন্দ্রাণী এই সময় ডিজিটালের বিউটি, ফ্যাশন এবং সম্পর্ক বিভাগ সামলাচ্ছেন। তাঁর লেখার মধ্যে সর্বদাই এই বিষয়গুলো নিয়ে তাঁর বিশেষ ভাবনার প্রতিফলন পাওয়া যায়। তিনি যে লিখতে ভালোবাসেন তার প্রমাণ তাঁর কাজেই খুঁজে পাওয়া যায়। তাঁর পাঠকসংখ্যা প্রচুর। তাঁরা প্রতিদিন নিয়ম করে ইন্দ্রাণীর তথ্যসমৃদ্ধ লেখা পড়েন এবং আরও পড়তে চান। পেশার পাশাপাশি ইন্দ্রাণীর নিজস্ব কিছু ভালোলাগা রয়েছে। তিনি কবিতা পড়তে এবং লিখতে ভালোবাসেন। তাঁর লেখা কবিতা অনেক পত্রিকাতে ইতিমধ্যে প্রকাশিত হয়েছে। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করতেও ভালো লাগে ইন্দ্রাণীর। বইয়ের প্রতি তাঁর বিশেষ ভালোবাসা রয়েছে। এই ভালোবাসা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে তিনি নিশ্চয় একদিন কোনও উপন্যাস লিখবেন। ইন্দ্রাণী ছবি দেখতেও ভালোবাসেন। এছাড়া তিনি ‘বটল আর্ট’ করেন এবং গাছের পরিচর্যা করেন। ‘গাছের সংসার’ সামলাতে সামলাতে তাঁর অনেকটা অবসর কেটে যায়। তিনি একজন ‘প্ল্যান্ট পেরেন্ট’!"... আরও পড়ুন

পরের খবর