অ্যাপশহর

Alia Bhatt: লহেঙ্গায় ছিল আসল সোনা ও তৈরি হয়েছিল ৩০০০ ঘণ্টায়! আলিয়ার বিয়ের সাজের যে যে বিষয় বেশিরভাগই জানেন না

সুখবর শুনিয়েছেন। আলিয়া ভট্ট মা হতে চলেছেন। রণবীর কাপুর ও আলিয়ার বিয়ের কয়েক মাস হয়েছে। এই সুসময়ে চলুন ফিরে দেখা যাক, আলিয়ার মেহেন্দির লেহেঙ্গার(Alia Bhatt Mehendi Look) সাজটি। জেনে নিন কী কী বিশেষত্ব ছিল?

Produced byইন্দ্রাণী বসু | EiSamay.Com 27 Jun 2022, 3:05 pm
মা হতে চলেছেন আলিয়া ভট্ট(Alia Bhatt Pregnancy)। ইনস্টাগ্রামে সেই খবর জানিয়েছেন অভিনেত্রী নিজেই। আলিয়া ভট্ট প্রেগনেন্ট, এই খবর শুনতেই অনুরাগীরা ভালোবাসায় ভরিয়ে দিয়েছেন। সবাই শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। চলতি বছরেই সাত পাক ঘুরেছিলেন রণবীর কাপুর ও আলিয়া ভট্ট। কয়েক মাসের মধ্য়েই সুখবর শোনালেন। এর চেয়ে আনন্দের আর কী বা হতে পারে?
EiSamay.Com story behind alia bhatt fuchsia pink mehendi lehenga by manish malhotra
Alia Bhatt: লহেঙ্গায় ছিল আসল সোনা ও তৈরি হয়েছিল ৩০০০ ঘণ্টায়! আলিয়ার বিয়ের সাজের যে যে বিষয় বেশিরভাগই জানেন না


এই সময়েই চলুন ফিরে দেখি সেই সময়ে। যে সময়ে, কনের সাজে আলিয়া সেজেছিলেন(Alia Bhatt Wedding)। আলিয়ার ব্রাইডাল লুক নিয়ে ইতিমধ্যেই আলোচনা করেছি আমরা। আজ চলুন, তাঁর মেহেন্দি লুকের বিশেষ কয়েকটি দিক আলোচনা করি। জেনে নিন আপনার প্রিয় অভিনেত্রীর লুকের বিষয়ে…(ছবি- ইনস্টাগ্রাম @manishmalhotra05, aliaabhatt)

আলিয়ার মেহেন্দি লুক মনে পড়ে? কেমন ছিল?

আলিয়ার বিয়ের সাজের মতোই মেহেন্দি লুকও ছিল সাধারণ অথচ অসাধারণ। তা আর বলতে বাকি থাকে না। তিনি একটি টু-পিস সেট পরেছিলেন। এই সেটে ছিল একটি ক্রপ টপ ও একটি স্কার্ট। লহেঙ্গা-চোলিতে অসাধারণ দেখতে লাগছিল আলিয়াকে। তাঁর এই লহেঙ্গাটি ডিজাইন করেছিলেন বিখ্যাত ফ্যাশন ডিজাইনার মনীশ মলহোত্রা।

আলিয়ার বিয়ের লহেঙ্গাটি ডিজাইন করেছিলেন বাঙালি ফ্যাশন ডিজাইনার সব্যসাচী মুখোপাধ্যায়। কিন্তু আলিয়ার মেহেন্দি অনুষ্ঠানের লুকটিও ছিল দেখার মতোই। মনীশ মলহোত্রার হাতে সেজে উঠেছিল সেই লহেঙ্গা-চোলি সেট। অপূর্ব দেখতে লাগছিল অভিনেত্রীকে। আলিয়ার পছন্দের কথা মাথায় রেখেই লহেঙ্গা ডিজাইন করেছিলেন মনীশ মলহোত্রা।

স্মৃতি নিয়েই তৈরি হয়েছিল লহেঙ্গা, জানুন

এই কথা অনেকেই জানেন যে, আলিয়ার ব্রাইডাল আউটফিটে তাঁদের সম্পর্কের নানা সিম্বলিক ডেপিকশন ছিল। একইভাবে আলিয়ার মেহেন্দির আউটফিটেও সেই উল্লেখই ছিল। আলিয়ার জার্নির এক একটি স্মৃতির সিম্বলিক উল্লেখ ছিল মেহেন্দি লেহেঙ্গা।

মা হতে চলেছেন আলিয়া ভট্ট, এই সময়ে দাঁড়িয়ে সেই কথাগুলো ভাবলেই ভালো লাগছে। তাই না? আলিয়া ভট্টের মনের মতো করেই ডিজাইন করা হয়েছিল এই বিখ্যাত লহেঙ্গা। তাঁর সম্পূর্ণ জার্নি ও গুরুত্বপূর্ণ স্মৃতির উল্লেখ ছিল এই লহেঙ্গায়। সিম্বলিক এলিমেন্টস ব্যবহার করে আলিয়ার ভট্টর মেহেন্দির লহেঙ্গা ডিজাইন করেছিলেন এই ডিজাইনার।

সম্পূর্ণ ভারতের ছোঁয়া ছিল সেই লহেঙ্গায়?

কাশ্মীরি ও চিকনকারি কারুকার্য ছিল। সারা দেশের সুতো, ফ্যাব্রিক ও এমব্রয়ডারি কারুকার্য ছিল আলিয়ার লহেঙ্গায়। কাশ্মীর থেকে বারাণসী, গুজরাত ও কাচিপুরমেরও কারুকার্য ছিল লহেঙ্গা জুড়ে।

সারা দেশ থেকে ১৮০ টেক্সটাইলের প্যাচেস ছিল এই লহেঙ্গায়। গোলাপির এই বিশেষ শেডের ট্র্যাডিশনাল আউটফিটে যখন সেজেছিলেন আলিয়া, তাঁর দিক থেকে চোখ ফেরানো যাচ্ছিল না। রণবীরের সঙ্গে মিষ্টি মুহূর্তের সাক্ষী ছিল নেটপাড়াও।

৩ হাজার ঘণ্টা সময় লেগেছিল!

আলিয়ার লেহেঙ্গা তৈরি করতে ৩০০০ ঘণ্টা সময় লেগেছিল। মিজওয়ানের মহিলারা আলিয়ার লহেঙ্গা হাতে তৈরি করেছিলেন। মিজওয়ান একটি ওয়েলফেয়ার সোসাইটি। যারা মহিলা ও শিশুদের জন্য কাজ করে। তাঁদের মহিলারাই হাতে তৈরি করেছিলেন আলিয়ার লহেঙ্গাটি। এই লহেঙ্গার রং ছিল ফুশিয়া পিংক। গোলাপির এই বিশেষ শেডের লহেঙ্গা চোলি সেটে আলিয়াকে অসাধারণ দেখতে লাগছিল

আসল সোনা ও রুপোর কাজ! কীরকম?

আসল সোনা ও রুপোর কারুকার্য করা হয়েছিল সম্পূর্ণ লহেঙ্গা-চোলি সেটে। আসল সোনা ও রুপো ব্যবহার করে নকশি ও কোরার ফুলের ডিজাইন করা হয়েছিল।

কচ থেকে আনানো হয়েছিল ভিন্টেজ সোনা। ক্রস-স্টিচ করা হয়েছিল লহেঙ্গায়। আসল সোনার জরির কাজ ছিল লহেঙ্গায়। এছাড়াও ছিল আসল সোনার অ্যাপ্লিকের কাজ। হাতে বোনা সিল্ক দিয়ে তৈরি হয়েছিল এই লহেঙ্গাটি। এতে বেনারসি ব্রোকেড, বাঁধনি, রেশমের কাজ করা ছিল। অভিনেত্রীকে অপূর্ব দেখাচ্ছিল, তাঁর দিক থেকে চোখ ফেরানোর উপায় ছিল না।

চুল খোলাই রেখেছিলেন তিনি। সুন্দর গয়না ও মিনিমাল মেকআপেই সেজে উঠেছিলেন অভিনেত্রী। আজ সেই লুক আবার ফিরে দেখলাম আমরা।

আরও পড়ুন: মঙ্গলসূত্রে লেখা ছিল '৮' এবং মাথার ওড়নায় বিয়ের তারিখ! বেশিরভাগ লোকই আলিয়া ভট্টর বিয়ের সাজে যা যা দেখেননি...

লেখকের সম্পর্কে জানুন
ইন্দ্রাণী বসু
"ইন্দ্রাণী বসু একজন সুলেখিকা এবং সাংবাদিক। ডিজিটাল মিডিয়ায় তাঁর হাতেখড়ি। প্রায় ৪ বছর ধরে তিনি ডিজিটাল মিডিয়ায় কর্মরত। সাংবাদিক হিসেবে কাজ শুরু করার পর খুব অল্প সময়ের মধ্যে তিনি এই পেশায় তাঁর দক্ষতার স্বাক্ষর রেখেছেন। তাঁর চর্চিত প্রিয় বিষয়গুলো হল বিউটি, ফ্যাশন এবং লাইফস্টাইল। এই সমস্ত বিষয়ে তিনি অনেক লেখালেখিও করেছেন। ইন্দ্রাণী এই সময় ডিজিটালের বিউটি, ফ্যাশন এবং সম্পর্ক বিভাগ সামলাচ্ছেন। তাঁর লেখার মধ্যে সর্বদাই এই বিষয়গুলো নিয়ে তাঁর বিশেষ ভাবনার প্রতিফলন পাওয়া যায়। তিনি যে লিখতে ভালোবাসেন তার প্রমাণ তাঁর কাজেই খুঁজে পাওয়া যায়। তাঁর পাঠকসংখ্যা প্রচুর। তাঁরা প্রতিদিন নিয়ম করে ইন্দ্রাণীর তথ্যসমৃদ্ধ লেখা পড়েন এবং আরও পড়তে চান। পেশার পাশাপাশি ইন্দ্রাণীর নিজস্ব কিছু ভালোলাগা রয়েছে। তিনি কবিতা পড়তে এবং লিখতে ভালোবাসেন। তাঁর লেখা কবিতা অনেক পত্রিকাতে ইতিমধ্যে প্রকাশিত হয়েছে। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করতেও ভালো লাগে ইন্দ্রাণীর। বইয়ের প্রতি তাঁর বিশেষ ভালোবাসা রয়েছে। এই ভালোবাসা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে তিনি নিশ্চয় একদিন কোনও উপন্যাস লিখবেন। ইন্দ্রাণী ছবি দেখতেও ভালোবাসেন। এছাড়া তিনি ‘বটল আর্ট’ করেন এবং গাছের পরিচর্যা করেন। ‘গাছের সংসার’ সামলাতে সামলাতে তাঁর অনেকটা অবসর কেটে যায়। তিনি একজন ‘প্ল্যান্ট পেরেন্ট’!"... আরও পড়ুন

পরের খবর