অ্যাপশহর

Shirt Buttons: মেয়েদের শার্টের বোতাম বামদিক ও ছেলেদের হয় ডানদিকে! জানেন কেন?

মেয়েদের ও ছেলেদের শার্টের বোতাম(Shirt Button History) একদিকে হয় না। এই কথা জেনে আকাশ থেকে পড়ছেন! আসলেই কিন্তু তাই। ছেলেদের শার্টের বোতাম ডানদিক ও মেয়েদের শার্টের বোতাম হয় বাঁদিকে। কেন এমন হয়, তা শুনলে অবাক হবেনই আপনি!

Produced byইন্দ্রাণী বসু | EiSamay.Com 14 Jul 2022, 12:35 pm
অনেক যুগ আগে পোশাকের ধরন, স্টাইলিং এখনকার মতো ছিল না। তখন জেন্ডার অনুযায়ী তৈরি হত পোশাক। অর্থাৎ পুরুষেরা এক ধরনের পোশাক পরতেন ও নারীদের সবরকম পোশাক পরার স্বাধীনতা ছিল না। তবে এখন পরিস্থিতি অনেক আলাদা। পুরুষ ও মহিলারা নির্বিশেষে নিজেদের পোশাক নিয়ে নানা এক্সপেরিমেন্ট করে থাকেন।
EiSamay.Com possible reasons why are women shirt buttons on left and men shirts button on right side
Shirt Buttons: মেয়েদের শার্টের বোতাম বামদিক ও ছেলেদের হয় ডানদিকে! জানেন কেন?


মহিলারা প্যান্ট পরে থাকেন, আবার অনেক পুরুষ অনেক সময় স্কার্ট পরেন। তবে আমরা এই জিনিসটা অনেকেই লক্ষ্য করেছি যে, মহিলাদের শার্টের বোতাম থাকে বাঁদিকে এবং পুরুষের শার্টের বোতাম থাকে ডান দিকে। তবে এর পিছনে কোনও বাস্তবসম্মত কারণ নেই। কিন্তু ১৮৫০ সাল থেকে নানা থিওরিই প্রচলিত রয়েছে।

আপনারও যেমন এই বিষয়ে জানতে চান, আমরাও জানতে চাই। জেনে নিন কয়েকটি সম্ভাব্য কারণ...(মূল ছবি- Istock)

মহিলারা নিজে নিজে পোশাক পরতেন না

উচ্চবিত্ত মহিলাদের ঘরে তাঁদের সাজিয়ে দেওয়ার জন্য ও পোশাক পরানোর জন্যেও লোক নিয়োগ করা থাকত। তাই মহিলারা কখনওই নিজে নিজে জামাকাপড় পরতেন না।

এটি জনপ্রিয় একটি কারণ, যে জন্য মহিলাদের শার্টের বাঁ দিকে থাকে। কারণ পরিচারিকাদের এভাবেই পোশাক পরাতে সুবিধা হত। তাঁরা ডান হাত দিয়ে চটজলদি বোতাম আটকে দিতে পারতেন। বাঁ দিকে হলে তা অসুবিধার কারণ হত।

পুরুষদের অস্ত্র বের করতে সুবিধা হত

অনেক ঐতিহাসিক বিশ্বাস করেন, পুরুষদের পোশাকে ডান দিকে বোতাম থাকার অন্যতম একটি কারণ আছে। কারণ ডান হাত দিয়ে চটজলদি অস্ত্র বের করে আনতে সুবিধা হত পুরুষদের। কীভাবে?

পোশাকের ডান দিকের বোতাম তাড়াতাড়ি ডান হাত দিয়ে খুলে তিনি হাত ঢুকিয়ে ভিতর থেকে লুকনো অস্ত্র বের করে আনতে পারতেন। পোশাকে ডান দিকে বোতাম থাকার অন্যতম কারণ হতে পারে এটি।

ঘোড়ায় বসতেন মহিলারা

সেই সময়ে পুরুষেরা ঘোড়া ছুটিয়ে নিয়ে যেতেন। ঘোড়া ছোটানোর সময় পুরুষ সঙ্গীর পিছনে বসতেন মহিলারা। এই সময় দমকা হাওয়া এসে যাতে বোতাম খুলে না দেয়, সেদিকেও লক্ষ্য রাখা হত। সেই জন্য় হাওয়ার উল্টো দিকে বোতাম লাগানো হত। এই কথাও অনেকে বিশ্বাস করেন। যদিও এর কোনও যোগ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

নেপোলিয়ন তত্ত্ব

এই কথা প্রচলিত আছে যে, ফরাসি সম্রাট নেপোলিয়নের বিখ্যাত পোজও এর জন্য নাকি দায়ী। কেমন? নেপলিয়নের একটি পোজে দেখা যায় তিনি ওয়েস্টকোটের মধ্যে হাত ঢুকিয়ে রাখতেন। এটি নাকি তাঁর ডিগনিটি বোঝাত। এর জন্য অনেক ফরাসি মহিলাই নেপলিয়নকে নিয়ে হাসাহাসি করতেন।

তাঁর সমালোচনাও করতেন। সেই জন্য় নেপোলিয়ন মহিলাদের জন্য শার্ট অর্ডার করেন। এই শার্টের বোতাম ছিল পুরুষদের শার্টের বোতামের উল্টো দিকে। এভাবেই পোশাক পরতে হত মহিলাদের। যাতে তাঁরা আর হাসাহাসি কটাক্ষ না করতে পারেন।

ধনী ব্যক্তিদের দেখে নকল করতেন অনেকে

অনেকে আবার এই কথাও বলেন যে, বোতামের দাম ছিল অনেক। দামী বোতাম কেনা সবার পক্ষে সম্ভব ছিল না। ধনী মহিলারা তাই এই ধরনের বোতাম ব্যবহার করতেন নিজেদের পোশাকে। তাই ধনী মহিলারাই সব সময় বোতাম দেওয়া পোশাক পরতেন।

তুলনামূলক আর্থিকভাবে দুর্বল মানুষ এই ধরনের পোশাক পরার ইচ্ছে প্রকাশ করতেন। তাই ধনী মহিলাদের দেখেই বোতাম দেওয়া পোশাক পরার প্রবণতা ছিল অনেকের মধ্য়েই।

আরও পড়ুন: মঙ্গলসূত্রে লেখা ছিল '৮' এবং মাথার ওড়নায় বিয়ের তারিখ! বেশিরভাগ লোকই আলিয়া ভট্টর বিয়ের সাজে যা যা দেখেননি...

লেখকের সম্পর্কে জানুন
ইন্দ্রাণী বসু
"ইন্দ্রাণী বসু একজন সুলেখিকা এবং সাংবাদিক। ডিজিটাল মিডিয়ায় তাঁর হাতেখড়ি। প্রায় ৪ বছর ধরে তিনি ডিজিটাল মিডিয়ায় কর্মরত। সাংবাদিক হিসেবে কাজ শুরু করার পর খুব অল্প সময়ের মধ্যে তিনি এই পেশায় তাঁর দক্ষতার স্বাক্ষর রেখেছেন। তাঁর চর্চিত প্রিয় বিষয়গুলো হল বিউটি, ফ্যাশন এবং লাইফস্টাইল। এই সমস্ত বিষয়ে তিনি অনেক লেখালেখিও করেছেন। ইন্দ্রাণী এই সময় ডিজিটালের বিউটি, ফ্যাশন এবং সম্পর্ক বিভাগ সামলাচ্ছেন। তাঁর লেখার মধ্যে সর্বদাই এই বিষয়গুলো নিয়ে তাঁর বিশেষ ভাবনার প্রতিফলন পাওয়া যায়। তিনি যে লিখতে ভালোবাসেন তার প্রমাণ তাঁর কাজেই খুঁজে পাওয়া যায়। তাঁর পাঠকসংখ্যা প্রচুর। তাঁরা প্রতিদিন নিয়ম করে ইন্দ্রাণীর তথ্যসমৃদ্ধ লেখা পড়েন এবং আরও পড়তে চান। পেশার পাশাপাশি ইন্দ্রাণীর নিজস্ব কিছু ভালোলাগা রয়েছে। তিনি কবিতা পড়তে এবং লিখতে ভালোবাসেন। তাঁর লেখা কবিতা অনেক পত্রিকাতে ইতিমধ্যে প্রকাশিত হয়েছে। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করতেও ভালো লাগে ইন্দ্রাণীর। বইয়ের প্রতি তাঁর বিশেষ ভালোবাসা রয়েছে। এই ভালোবাসা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে তিনি নিশ্চয় একদিন কোনও উপন্যাস লিখবেন। ইন্দ্রাণী ছবি দেখতেও ভালোবাসেন। এছাড়া তিনি ‘বটল আর্ট’ করেন এবং গাছের পরিচর্যা করেন। ‘গাছের সংসার’ সামলাতে সামলাতে তাঁর অনেকটা অবসর কেটে যায়। তিনি একজন ‘প্ল্যান্ট পেরেন্ট’!"... আরও পড়ুন

পরের খবর