সুরবেক বিশ্বাসচুপিসাড়ে সে খাটের নীচে লুকিয়েছিল। সেখান থেকেই বাড়ির মালকিনের উপর প্রথম আঘাতটা সেই নাবালক করে বলে লালবাজারের গোয়েন্দাদের প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে। কসবার টেগোর পার্কের বাসিন্দা, কেন্দ্রীয় সরকারি অফিসার শীলা চৌধুরী যখন তাঁর শোওয়ার ঘরে ঢুকলেন, সেই সময়ে ১৭ বছরের ওই বালক তাঁর পা ধরে টান মারে।
হুমড়ি খেয়ে পড়ে যান ওই প্রৌঢ়া। গত ৯ জুন ওই প্রৌঢ়া খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত নাবালকের বিচার তারা করবে না বলে জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ড সম্প্রতি জানিয়ে দিয়েছে এবং নাবালকের বিরুদ্ধে রুজু হওয়া খুনের মামলাটি তারা পাঠিয়েছে আলিপুরে নাবালকদের বিচারের জন্য নির্দিষ্ট আদালত বা চিলড্রেনস কোর্টে।
পুলিশের পক্ষ থেকে জেজেবি-তে আবেদন করে বলা হয়, কসবার প্রৌঢ়া খুনে অভিযুক্ত নাবালকের বয়স ১৭ বছর এবং সে জেনেশুনেই খুন করেছিল। জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ড (জেজেবি) সর্বোচ্চ যে সাজা দিতে পারে, তা হল: তিন বছরের জেল। তবে নাবালকদের বিচারের জন্য নির্দিষ্ট আদালত তার সর্বোচ্চ সাজা হিসেবে ১০ বছর কারাদণ্ড দিতে পারে।
খুনের মতো জঘন্য অপরাধের পরিণাম কী হতে পারে, সেটা বোঝার অবস্থা কসবার প্রৌঢ়া হত্যায় অভিযুক্ত ওই নাবালকের আছে কি না এবং খুনের মতো জঘন্য অপরাধ সংঘটিত করার জন্য সে উপযুক্ত শারীরিক ও মানসিক শক্তিসম্পন্ন কি না, সেটা খতিয়ে দেখে ইনস্টিটিউট অফ সাইকিয়াট্রি-র অধিকর্তা প্রদীপকুমার সাহাকে ১৫ দিনের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলে জেজেবি। ইনস্টিটিউট অফ সাইকিয়াট্রির অধির্কতা চার সদস্যের একটি মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করেন। ওই বোর্ড ১৭ জুলাই বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ নাবালক অভিযুক্তের মানসিক অবস্থা খতিয়ে দেখে ১৮ জুলাই জেজেবি-কে রিপোর্ট দেয়। মেডিক্যাল বোর্ডের চার সদস্য ছিলেন অমিতকুমার ভট্টাচার্য, বিদিতা ভট্টাচার্য, পার্থসারথি বিশ্বাস ও সুবীর হাজরা চৌধুরী।
আদালত সূত্রের খবর, গত ৩ অগস্ট জেজেবি ওই রিপোর্ট খুলে পড়ার পরে জানায়, নাবালক ওই অভিযুক্ত খুন করার পরিণতি সম্পর্কে অবগত ছিল এবং খুন করতে পারার মতো শারীরিক ও মানসিক শক্তিও তার আছে। সেই মতো জেজেবি ওই নাবালক অভিযুক্তের বিরুদ্ধে রুজু হওয়া মামলাটি আলিপুরের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারকের আদালতে পাঠিয়ে দেয়। আলিপুরে ওটাই ‘চিলড্রেনস কোর্ট’ হিসেবে নির্দিষ্ট।
আলিপুরের অন্য আদালতে মামলা চলছে শীলা চৌধুরী খুনের ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত, সাফাইকর্মী শম্ভু কয়ালের বিরুদ্ধে। শম্ভু অবশ্য সাবালক।
গোয়েন্দারা জেনেছেন, শীলা দেবীর মুখে ও কপালে পর পর ঘুষি মারে শম্ভু ও শেষমেশ লোহার রড দিয়ে মেরে তাঁর মাথা থেঁতলে দেয়। সেই সময়ে প্রৌঢ়ার দু’টো পা ওই নাবালক শক্ত করে চেপে ধরেছিল বলে তদন্তকারীদের দাবি। তাঁরা জেনেছেন, শম্ভু যখন চাদর দিয়ে শীলা দেবীর মুখ বাঁধে, সেই সময়ে তাঁর দু’হাত ওই নাবালক ধরে রেখেছিল।
গত বুধবার, ৮ অগস্ট আলিপুরের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারকের আদালতে ওই নাবালককে হাজির করানো হয়। পরবর্তী শুনানি ২২ অগস্ট।
দিল্লিতে ২০১২-র নির্ভয়া কাণ্ডের জেরে ২০০০-এর জুভেনাইল জাস্টিস (কেয়ার অ্যান্ড প্রোটেকশন অফ চিলড্রেন) অ্যাক্ট পাল্টে নতুন আইন তৈরি হয়েছে ২০১৫-তে। নির্ভয়া গণধর্ষণ কাণ্ডের এক অপরাধী ছিল নাবালক। নতুন আইন অনুযায়ী, অভিযুক্তের বয়স ১৬ বছর বা তার বেশি হলে এবং যে অপরাধের ঘটনায় সে অভিযুক্ত, সেই অপরাধ করার পক্ষে সে সক্ষম বলে প্রাথমিক ভাবে বোঝা গেলে ও কৃতকর্মের পরিণাম সম্পর্কে সে ওয়াকিবহাল ছিল বলে জানা গেলে তার বিচার জেজেবি-তে নয়, আদালতে হবে। নাবালকদের বিচারের জন্য নির্ধারিত আদালতে।
কলকাতায় নতুন আইন এই নিয়ে তৃতীয় বার প্রয়োগ করা হল বলে আদালত সূত্রের খবর। প্রথম বার প্রয়োগ করা হয় নিউ আলিপুরের বাসিন্দা, অশীতিপর মলয় মুখোপাধ্যায় খুনের মামলায়। গত বছর ৬ অগস্ট ওই অশীতিপর ব্যক্তি খুন হন। গত বছর ২৪ অক্টোবর জোড়াসাঁকো এলাকার জাকারিয়া স্ট্রিটে রত্ন ব্যবসায়ী মহম্মদ সেলিমকে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল এক নাবালককে। তার ক্ষেত্রেও প্রয়োগ করা হয় ওই নতুন আইন। তিনটি খুনেরই তদন্ত করছে লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগের হোমিসাইড শাখা।
হুমড়ি খেয়ে পড়ে যান ওই প্রৌঢ়া। গত ৯ জুন ওই প্রৌঢ়া খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত নাবালকের বিচার তারা করবে না বলে জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ড সম্প্রতি জানিয়ে দিয়েছে এবং নাবালকের বিরুদ্ধে রুজু হওয়া খুনের মামলাটি তারা পাঠিয়েছে আলিপুরে নাবালকদের বিচারের জন্য নির্দিষ্ট আদালত বা চিলড্রেনস কোর্টে।
পুলিশের পক্ষ থেকে জেজেবি-তে আবেদন করে বলা হয়, কসবার প্রৌঢ়া খুনে অভিযুক্ত নাবালকের বয়স ১৭ বছর এবং সে জেনেশুনেই খুন করেছিল। জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ড (জেজেবি) সর্বোচ্চ যে সাজা দিতে পারে, তা হল: তিন বছরের জেল। তবে নাবালকদের বিচারের জন্য নির্দিষ্ট আদালত তার সর্বোচ্চ সাজা হিসেবে ১০ বছর কারাদণ্ড দিতে পারে।
খুনের মতো জঘন্য অপরাধের পরিণাম কী হতে পারে, সেটা বোঝার অবস্থা কসবার প্রৌঢ়া হত্যায় অভিযুক্ত ওই নাবালকের আছে কি না এবং খুনের মতো জঘন্য অপরাধ সংঘটিত করার জন্য সে উপযুক্ত শারীরিক ও মানসিক শক্তিসম্পন্ন কি না, সেটা খতিয়ে দেখে ইনস্টিটিউট অফ সাইকিয়াট্রি-র অধিকর্তা প্রদীপকুমার সাহাকে ১৫ দিনের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলে জেজেবি। ইনস্টিটিউট অফ সাইকিয়াট্রির অধির্কতা চার সদস্যের একটি মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করেন। ওই বোর্ড ১৭ জুলাই বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ নাবালক অভিযুক্তের মানসিক অবস্থা খতিয়ে দেখে ১৮ জুলাই জেজেবি-কে রিপোর্ট দেয়। মেডিক্যাল বোর্ডের চার সদস্য ছিলেন অমিতকুমার ভট্টাচার্য, বিদিতা ভট্টাচার্য, পার্থসারথি বিশ্বাস ও সুবীর হাজরা চৌধুরী।
আদালত সূত্রের খবর, গত ৩ অগস্ট জেজেবি ওই রিপোর্ট খুলে পড়ার পরে জানায়, নাবালক ওই অভিযুক্ত খুন করার পরিণতি সম্পর্কে অবগত ছিল এবং খুন করতে পারার মতো শারীরিক ও মানসিক শক্তিও তার আছে। সেই মতো জেজেবি ওই নাবালক অভিযুক্তের বিরুদ্ধে রুজু হওয়া মামলাটি আলিপুরের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারকের আদালতে পাঠিয়ে দেয়। আলিপুরে ওটাই ‘চিলড্রেনস কোর্ট’ হিসেবে নির্দিষ্ট।
আলিপুরের অন্য আদালতে মামলা চলছে শীলা চৌধুরী খুনের ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত, সাফাইকর্মী শম্ভু কয়ালের বিরুদ্ধে। শম্ভু অবশ্য সাবালক।
গোয়েন্দারা জেনেছেন, শীলা দেবীর মুখে ও কপালে পর পর ঘুষি মারে শম্ভু ও শেষমেশ লোহার রড দিয়ে মেরে তাঁর মাথা থেঁতলে দেয়। সেই সময়ে প্রৌঢ়ার দু’টো পা ওই নাবালক শক্ত করে চেপে ধরেছিল বলে তদন্তকারীদের দাবি। তাঁরা জেনেছেন, শম্ভু যখন চাদর দিয়ে শীলা দেবীর মুখ বাঁধে, সেই সময়ে তাঁর দু’হাত ওই নাবালক ধরে রেখেছিল।
গত বুধবার, ৮ অগস্ট আলিপুরের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারকের আদালতে ওই নাবালককে হাজির করানো হয়। পরবর্তী শুনানি ২২ অগস্ট।
দিল্লিতে ২০১২-র নির্ভয়া কাণ্ডের জেরে ২০০০-এর জুভেনাইল জাস্টিস (কেয়ার অ্যান্ড প্রোটেকশন অফ চিলড্রেন) অ্যাক্ট পাল্টে নতুন আইন তৈরি হয়েছে ২০১৫-তে। নির্ভয়া গণধর্ষণ কাণ্ডের এক অপরাধী ছিল নাবালক। নতুন আইন অনুযায়ী, অভিযুক্তের বয়স ১৬ বছর বা তার বেশি হলে এবং যে অপরাধের ঘটনায় সে অভিযুক্ত, সেই অপরাধ করার পক্ষে সে সক্ষম বলে প্রাথমিক ভাবে বোঝা গেলে ও কৃতকর্মের পরিণাম সম্পর্কে সে ওয়াকিবহাল ছিল বলে জানা গেলে তার বিচার জেজেবি-তে নয়, আদালতে হবে। নাবালকদের বিচারের জন্য নির্ধারিত আদালতে।
কলকাতায় নতুন আইন এই নিয়ে তৃতীয় বার প্রয়োগ করা হল বলে আদালত সূত্রের খবর। প্রথম বার প্রয়োগ করা হয় নিউ আলিপুরের বাসিন্দা, অশীতিপর মলয় মুখোপাধ্যায় খুনের মামলায়। গত বছর ৬ অগস্ট ওই অশীতিপর ব্যক্তি খুন হন। গত বছর ২৪ অক্টোবর জোড়াসাঁকো এলাকার জাকারিয়া স্ট্রিটে রত্ন ব্যবসায়ী মহম্মদ সেলিমকে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল এক নাবালককে। তার ক্ষেত্রেও প্রয়োগ করা হয় ওই নতুন আইন। তিনটি খুনেরই তদন্ত করছে লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগের হোমিসাইড শাখা।