প্রতিদিন সন্ধে হলেই টিভির সামনে ঠায় বসে থাকেন অনেকেই। প্রিয় ধারাবাহিক-এর সময় হয়ে গিয়েছে যে। হাতের কাজ ফেলে রেখে আগে সিরিয়াল, তারপর সব। এক একটা ধাবরাবাহিক বন্ধের খবরও তাঁদের কাছে যন্ত্রণার। কিন্তু গত সপ্তাহের মধ্যবর্তী সময় থেকেই মন খারাপ অনেকের। রুটিনে বদল হয়েছে যে। জগদ্ধার্থী থেকে গাঁটছড়া সবই যে বাদ পড়ে যাচ্ছে। চ্যানেলের টেলিকাস্ট বন্ধ হওয়ায় যে ধারাবাহিকগুলোর কাহিনি থেকে যে একেবারে পিছিয়ে পড়ছেন সকলে। কাউকেই যে আর দেখা যাচ্ছে না। কী মুশকিল কাণ্ড বলুন দেখি। তবে স্টার জলসা-জি বাংলা বন্ধ থাকলেও সান বাংলা বা কালারস বাংলা কিন্তু হৈ হৈ করে চলছে। তবে কি সত্যিই এবার টিআরপি তালিকায় বিস্তর পার্থক্য নজরে আসবে? কী বলছেন পরিচালক-প্রযোজকেরা।
ধারাবাহিকের প্রতিটা চরিত্রই দর্শকের একেবারে কাছের। পর্দায় তাঁদের ওঠা-পড়াকে একেবারে নিজেদের জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে ফেলেন সেখানেই এমন বিপর্যয়। সম্প্রতি ডিসনি, জি এন্টারটেইনমেন্ট এন্টারপ্রাইস, সোনি পিকচারস এবং নেটওয়ার্ক ইন্ডিয়া লিমিটেড সহ নেতৃস্থানীয় সম্প্রচারকারীরা স্থানীয় কেবল বা মাল্টি-সিস্টেম অপারেটরদের ফিড প্রদান করা বন্ধ করে দিয়েছে। যারা নতুন ট্যারিফ অর্ডার (এনটিও) 3.0-এর অধীনে বর্ধিত দামের বিষয়ে নতুন চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে অস্বীকার করেছে।
নতুন যে নিয়ম তাতে উপভোক্তাদের আগের থেকে অনেক বেশি টাকা দিতে হবে বলে জানা গিয়েছে। এক একটা চ্যানেল প্রতি প্রায় ৩০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্তও বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। প্রায় ৪.৫ কোটি পরিবার টিভি দেখতে পারছেন না। এদিকে স্টার জলসা বা জি বাংলা দেখতে পাওয়া না গেলেও সান ও কালারস বাংলা কিন্তু দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। তাই এই সপ্তাহে কি টিআরপি তালিকায় জোর ধাক্কা খাবে জনপ্রিয় এই চ্যানেল দুটি?
এ বিষয়ে আমরা কথা বলেছিলাম জনপ্রিয় পরিচালক ও প্রযোজক লীনা গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে। যাঁর একাধিক সিরিয়ার চলছে চ্যানেলে। টিআরপি তালিকায় ধাক্কা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “যে দুটো মুখ্য চ্যানেল যাদের ভিউয়ার্সও বেশি, তাদের তো একটা ক্ষতি হবেই। এটা আমাদের তো হাতে নেই। চ্যানেল কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে উদ্যোগী হয়েছেন, তাদেরই তো সবচেয়ে বেশি ক্ষতিটা হবে। খুব শীঘ্রই আশাকরি মিটে যাবে ব্যাপারটা”।
স্টার জলসার জনপ্রিয় ধারাবাহিক গাঁটছড়ার প্রযোজক সানি ঘোষ রায়কেও একই প্রশ্ন করা হয়েছিল। তিনি বলেন, “টিআরপিতে ধস নামবে বলে আমার মনে হয় না। আমাদের কাছে অনেক বেশি দুঃখের হল আমরা কষ্ট করে মানুষকে দেখানোর জন্য যে প্রোডাকশনটা করছি, সেটাই তারা দেখতে পাচ্ছেন না। আমাদের এই পুরো খাটনিটাই বেকার। আমাদের বিশ্বাস আবার শুরু হলে আমরা টিআরপি নিশ্চয়ই ফিরে পাব আবারও। চ্যানেল কর্তৃপক্ষ চেষ্টা করছেন।”
টিআরপি নিয়ে এই মুহূর্তে বিশেষ ভাবিত নন তাঁরা। দর্শকের দরবারে কবে ফেরত আসে ধারাবাহিকগুলো সেটা নিয়েই চিন্তিত তারা। ভক্তেরাও মুখিয়ে একবার তাদের দেখার জন্য।
ধারাবাহিকের প্রতিটা চরিত্রই দর্শকের একেবারে কাছের। পর্দায় তাঁদের ওঠা-পড়াকে একেবারে নিজেদের জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে ফেলেন সেখানেই এমন বিপর্যয়। সম্প্রতি ডিসনি, জি এন্টারটেইনমেন্ট এন্টারপ্রাইস, সোনি পিকচারস এবং নেটওয়ার্ক ইন্ডিয়া লিমিটেড সহ নেতৃস্থানীয় সম্প্রচারকারীরা স্থানীয় কেবল বা মাল্টি-সিস্টেম অপারেটরদের ফিড প্রদান করা বন্ধ করে দিয়েছে। যারা নতুন ট্যারিফ অর্ডার (এনটিও) 3.0-এর অধীনে বর্ধিত দামের বিষয়ে নতুন চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে অস্বীকার করেছে।
নতুন যে নিয়ম তাতে উপভোক্তাদের আগের থেকে অনেক বেশি টাকা দিতে হবে বলে জানা গিয়েছে। এক একটা চ্যানেল প্রতি প্রায় ৩০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্তও বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। প্রায় ৪.৫ কোটি পরিবার টিভি দেখতে পারছেন না। এদিকে স্টার জলসা বা জি বাংলা দেখতে পাওয়া না গেলেও সান ও কালারস বাংলা কিন্তু দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। তাই এই সপ্তাহে কি টিআরপি তালিকায় জোর ধাক্কা খাবে জনপ্রিয় এই চ্যানেল দুটি?
এ বিষয়ে আমরা কথা বলেছিলাম জনপ্রিয় পরিচালক ও প্রযোজক লীনা গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে। যাঁর একাধিক সিরিয়ার চলছে চ্যানেলে। টিআরপি তালিকায় ধাক্কা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “যে দুটো মুখ্য চ্যানেল যাদের ভিউয়ার্সও বেশি, তাদের তো একটা ক্ষতি হবেই। এটা আমাদের তো হাতে নেই। চ্যানেল কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে উদ্যোগী হয়েছেন, তাদেরই তো সবচেয়ে বেশি ক্ষতিটা হবে। খুব শীঘ্রই আশাকরি মিটে যাবে ব্যাপারটা”।
স্টার জলসার জনপ্রিয় ধারাবাহিক গাঁটছড়ার প্রযোজক সানি ঘোষ রায়কেও একই প্রশ্ন করা হয়েছিল। তিনি বলেন, “টিআরপিতে ধস নামবে বলে আমার মনে হয় না। আমাদের কাছে অনেক বেশি দুঃখের হল আমরা কষ্ট করে মানুষকে দেখানোর জন্য যে প্রোডাকশনটা করছি, সেটাই তারা দেখতে পাচ্ছেন না। আমাদের এই পুরো খাটনিটাই বেকার। আমাদের বিশ্বাস আবার শুরু হলে আমরা টিআরপি নিশ্চয়ই ফিরে পাব আবারও। চ্যানেল কর্তৃপক্ষ চেষ্টা করছেন।”
টিআরপি নিয়ে এই মুহূর্তে বিশেষ ভাবিত নন তাঁরা। দর্শকের দরবারে কবে ফেরত আসে ধারাবাহিকগুলো সেটা নিয়েই চিন্তিত তারা। ভক্তেরাও মুখিয়ে একবার তাদের দেখার জন্য।