Farmani Naaz Shiv Bhajan: 'সংগীতের কোনও ধর্ম হয় না!' ভজন বিতর্কে মুখ খুললেন Farmani Naaz
সদ্য নিজের You Tube চ্যানেলে নিজের কণ্ঠে গাওয়া ভজন রিলিজ করেছেন Farmani Naaz। উত্তর প্রদেশের এই মুসলিম গায়িকার ভজন রিলিজের পরই চরম কটাক্ষের শিকার হয়েছেন। মুসলিম সম্প্রদায়ের কেউ ভজন গাইতে পারেন না বলে মন্তব্য করেছেন এই ধর্মের বেশ কিছু মানুষ। তবে চুপ থাকার পাত্রী নন তিনিও। কটাক্ষের মুখে কী জবাব দিলেন নাজ, জেনে নিন।
হাইলাইটস
- 'সংগীতের কোনও ধর্ম হয় না!'
- ভজন বিতর্কে মুখ খুললেন Farmani Naaz
- নিজের ইউ টিউব চ্যানেলে রিলিজ করেছেন Har Har Shambhu
সংগীতের কোনও ধর্ম হয় না। শিবের ভজন Har Har Shambhu বিতর্কে কড়া মন্তব্য মুসলিম গায়িকা Farmani Naaz-এর। প্রসঙ্গত উত্তর প্রদেশের মুসলিম গায়িকা Farmani Naaz-এর কণ্ঠে এই ভজন জনপ্রিয় হয়েছে শ্রোতামহলে। কিন্তু, মুসলিম হয়ে শিবের ভজন গাওয়ার জন্য ধর্ম বিরুদ্ধ কাজ করার অভিযোগ আনা হয়েছে নাজের ওপর। ন'দিন আগে নিজের ইউটিউব চ্যানেলে গানটি তিনি রিলিজ করেন। Farmani Naaz নামটার সঙ্গে অনেকেই পরিচিত। টেলিভিশনে গানের পপুলার রিয়্যালিটি শো ইন্ডিয়ান আইডলে অংশ নিয়েছিলেন উত্তর প্রদেশের মুসলিম গায়িকা Farmani Naaz। এই মুহূর্তে তাঁর ইউটিউব চ্যানেলের মোট সাবস্ক্রাইবার সংখ্যা ৩৮ লাখে পৌঁছে গিয়েছে। ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমেই নিজের প্রতিভাকে সকলের সামনে মেলে ধরেন। নাজ ছাড়াও এই গানে কণ্ঠ দিয়েছেন Parvendra Singh।
Farmani Naaz তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগকে মানতে মোটেই রাজি নন। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ঘটনার বিরোধিতা করে তিনি বলেন, 'গানের জগতে ধর্ম নিয়ে কোনও ভেদাভেদ হয় না। সেলিম হোক বা মহম্মদ রফি, সকলেই কিন্তু ভজন গেয়েছেন। তাই আমি সকলের কাছে অনুরোধ করছি আমার ভজন গাওয়া নিয়ে দয়া করে কোনও বিতর্কের সৃষ্টি করবেন না। গান সকল ধর্মের মানুষের জন্য।' Har Har Shambhu রিলিজের পরই নাজকে মুসলিম বিরোধী বা 'অ্যান্টি মুসলিম' বলে কটাক্ষ করা হচ্ছে।
মুসলিম ধর্মাবোলম্বী মানুষরা অনেকেই Farmani Naaz-এর বিরোধীতা করেছেন। তাঁরা মনে করেন মুসলিম ধর্মের কোনও মানুষের ভজন গাওয়ার অধিকার নেই। শুধু তাই নয়, যে কোনও গানও তাঁরা গাইতে পারেন না। নিজের ধর্মের গানই গাওয়া উচিত। ভজন গাওয়ার জন্য Farmani Naaz-এর ক্ষমা চাওয়া উচিত বলেও মনে করছেন মুসলিম সম্প্রদায়ের একাংশ। Har Har Shambhu গান গেয়ে তিনি মুসলিম ধর্মের ভাবাবেগকে আঘাত করেছেন বলেও মন্তব্য করা হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
এই সকল প্রশ্নের উত্তরে Farmani Naaz জানান যে তাঁকে ব্যক্তিগতভাবে তো কেউ বাড়ি এসে গান গাইতে বারণ করেননি। গানটি রিলিজের পর ইতিমধ্যেই ভিউয়ার্সের সংখ্যা পৌঁছেছে নয় লাখে। বিবাহবিচ্ছেদের পর ৩০ বছর বয়সী নাজ এখন একাই থাকেন। চার বছরের পুত্র সন্তানকে একাই মানুষ করছেন ইন্ডিয়ান আইডলের প্রতিযোগী Farmani Naaz। স্বামী তাঁকে পণ নিয়ে অত্যাচার করতেন। সেই সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত অনেক সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন বলে সংবাদমাধ্যমকে আগেই জানিয়েছিলেন নাজ।
বছর দুয়েক আগের কথা। নাজের এক বন্ধু তাঁর কণ্ঠে গাওয়া গান অনলাইনে ছেড়ে দেন। সেই গান সোশ্যাল মিডিয়ায় আগুনের গতিতে ভাইরাল হয়ে যায়। এরপরই ইন্ডায়ান আইডলের মঞ্চে গান গাওয়ার প্রস্তাব আসে তাঁর কাছে। কিন্তু, অসুস্থ ছেলের দেকা শোনার জন্য শেষ পর্যন্ত এই শো-তে থাকা হয়নি তাঁর। এক সাক্ষাৎকারে নাজ বলেন, 'আমার গানের প্রতি পরিবারের সম্পূর্ণ সম্মতি আছে। ছেলের জন্যই আমি গান গাই। '
Farmani Naaz তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগকে মানতে মোটেই রাজি নন। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ঘটনার বিরোধিতা করে তিনি বলেন, 'গানের জগতে ধর্ম নিয়ে কোনও ভেদাভেদ হয় না। সেলিম হোক বা মহম্মদ রফি, সকলেই কিন্তু ভজন গেয়েছেন। তাই আমি সকলের কাছে অনুরোধ করছি আমার ভজন গাওয়া নিয়ে দয়া করে কোনও বিতর্কের সৃষ্টি করবেন না। গান সকল ধর্মের মানুষের জন্য।' Har Har Shambhu রিলিজের পরই নাজকে মুসলিম বিরোধী বা 'অ্যান্টি মুসলিম' বলে কটাক্ষ করা হচ্ছে।
মুসলিম ধর্মাবোলম্বী মানুষরা অনেকেই Farmani Naaz-এর বিরোধীতা করেছেন। তাঁরা মনে করেন মুসলিম ধর্মের কোনও মানুষের ভজন গাওয়ার অধিকার নেই। শুধু তাই নয়, যে কোনও গানও তাঁরা গাইতে পারেন না। নিজের ধর্মের গানই গাওয়া উচিত। ভজন গাওয়ার জন্য Farmani Naaz-এর ক্ষমা চাওয়া উচিত বলেও মনে করছেন মুসলিম সম্প্রদায়ের একাংশ। Har Har Shambhu গান গেয়ে তিনি মুসলিম ধর্মের ভাবাবেগকে আঘাত করেছেন বলেও মন্তব্য করা হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
এই সকল প্রশ্নের উত্তরে Farmani Naaz জানান যে তাঁকে ব্যক্তিগতভাবে তো কেউ বাড়ি এসে গান গাইতে বারণ করেননি। গানটি রিলিজের পর ইতিমধ্যেই ভিউয়ার্সের সংখ্যা পৌঁছেছে নয় লাখে। বিবাহবিচ্ছেদের পর ৩০ বছর বয়সী নাজ এখন একাই থাকেন। চার বছরের পুত্র সন্তানকে একাই মানুষ করছেন ইন্ডিয়ান আইডলের প্রতিযোগী Farmani Naaz। স্বামী তাঁকে পণ নিয়ে অত্যাচার করতেন। সেই সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত অনেক সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন বলে সংবাদমাধ্যমকে আগেই জানিয়েছিলেন নাজ।
বছর দুয়েক আগের কথা। নাজের এক বন্ধু তাঁর কণ্ঠে গাওয়া গান অনলাইনে ছেড়ে দেন। সেই গান সোশ্যাল মিডিয়ায় আগুনের গতিতে ভাইরাল হয়ে যায়। এরপরই ইন্ডায়ান আইডলের মঞ্চে গান গাওয়ার প্রস্তাব আসে তাঁর কাছে। কিন্তু, অসুস্থ ছেলের দেকা শোনার জন্য শেষ পর্যন্ত এই শো-তে থাকা হয়নি তাঁর। এক সাক্ষাৎকারে নাজ বলেন, 'আমার গানের প্রতি পরিবারের সম্পূর্ণ সম্মতি আছে। ছেলের জন্যই আমি গান গাই। '