Balika Vadhu: ফের একবার ছোট পর্দায় ফিরছে বালিকা বধূ সিরিয়াল। কিন্তু প্রথম বালিকা বধূর তরুণী আনন্দীকে মনে আছে? হ্যাঁ, সেই Pratyusha Banerjee যিনি মুম্বইয়ে নিজের ফ্ল্যাটে আত্মহত্যা করেছিলেন। সেই সময়ে অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন প্রত্যুষা। তাঁর মৃত্যু ঘিরে অনেক জল ঘোলা হলেও শেষ পর্যন্ত সবটাই কেমন যেন ধামাচাপা পড়ে যায়। বালিকা বধূ সিরিয়ালের দৌলতে রাতারাতি স্টার হয়ে যাওয়া প্রত্যুষা আত্মহত্যা করেন ২০১৬ সালের ১ এপ্রিল। তাঁর মৃত্যুতে ইন্ডাস্ট্রির কিছু হেলদোল না হলেও, তাঁর মা-বাবার জীবন ওলট পালট হয়ে যায়। মেয়ের মৃত্যুর পাঁচ বছর পরও সেই আঘাত থেকে এখনও বেরোতে পারেননি শংকর বন্দ্যোপাধ্যায় ও সোমা বন্দ্যোপাধ্যায়। যন্ত্রণা আরও তীব্র হয়ে উঠেছে আর্থিক অনটনের জেরে। মেয়ের প্রত্যুষার মৃত্যুর পর যে আর্থিক সংকটের মধ্যে দিন কাটাতে হচ্ছে বন্দ্যোপাধ্যায় দম্পতিকে, সে বিষয়ে সম্প্রতি মুখ খুলেছেন তাঁরা।
শংকর বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, মেয়ের মৃত্যুর পর আর্থিক অবস্থা এতটাই খারাপ হয়ে গিয়েছে যে এক কামরার ফ্ল্যাটে কোনও রকমে জীবন কাটছে তাঁদের। মেয়ের মৃত্যু মামলা চালাতে গিয়ে ব্যাংক ব্যালেন্স প্রায় তলানিতে এসে ঠেকেছে। ‘প্রত্যুষা ছাড়া আমাদের আর কেউ ছিল না। আমাদের সংসারের একমাত্র রোজগেরে ও ছিল। ওর হাত ধরেই জীবনের সেরা সময় কাটিয়েছি। আর ওর মৃত্যু আমাদের প্রায় পথে এনে দাঁড় করিয়েছে। ওর জন্য মামলা লড়তে গিয়ে সর্বশান্ত হয়েছি আমরা। কেস চালানোর জন্য বহুবার লোন নিতে হয়েছে। অবস্থা এমন, এখন আমরা এক কামরায় থাকি।’ এতকিছুর পরেও যে তাঁরা ভেঙে পড়েননি তাও জানালেন শংকর বন্দ্যোপাধ্যায়। ‘সংসার চালাতে প্রত্যুষার মা একটিচাইল্ড কেয়ার সেন্টারে কাজ করছেন। আমি গল্প লিখি। অর্থের অভাব আছে, কিন্তু আমরা আশা ছাড়িনি। আমাদের শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত মেয়ের জন্য ন্যায় বিচারের লড়াই চালিয়ে যাব।’
প্রত্যুষার মৃত্যুর মেয়ের লিভ ইন পার্টনার Rahul Raj-এর বিরুদ্ধে FIR দায়ের করেছিলেন শংকর ও সোমা বন্দ্যোপাধ্যায়। পুলিশ গ্রেফতারও করে রাহুলকে। কিন্তু তিন মাসের মাথায় বম্বে হাইকোর্ট জামিন মঞ্জুর করে রাহুলের। রাহুলের পালটা দাবি ছিল, ২০১৬ সালের ডিসেম্বর মাসেই তাঁর আর প্রত্যুষার বিয়ে করার কথা ছিল। কিন্তু মা-বাবার ক্রমাগত হস্তক্ষেপে ডিপ্রেশনে চলে গিয়েছিলেন Pratyusha।
শংকর বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, মেয়ের মৃত্যুর পর আর্থিক অবস্থা এতটাই খারাপ হয়ে গিয়েছে যে এক কামরার ফ্ল্যাটে কোনও রকমে জীবন কাটছে তাঁদের। মেয়ের মৃত্যু মামলা চালাতে গিয়ে ব্যাংক ব্যালেন্স প্রায় তলানিতে এসে ঠেকেছে। ‘প্রত্যুষা ছাড়া আমাদের আর কেউ ছিল না। আমাদের সংসারের একমাত্র রোজগেরে ও ছিল। ওর হাত ধরেই জীবনের সেরা সময় কাটিয়েছি। আর ওর মৃত্যু আমাদের প্রায় পথে এনে দাঁড় করিয়েছে। ওর জন্য মামলা লড়তে গিয়ে সর্বশান্ত হয়েছি আমরা। কেস চালানোর জন্য বহুবার লোন নিতে হয়েছে। অবস্থা এমন, এখন আমরা এক কামরায় থাকি।’ এতকিছুর পরেও যে তাঁরা ভেঙে পড়েননি তাও জানালেন শংকর বন্দ্যোপাধ্যায়। ‘সংসার চালাতে প্রত্যুষার মা একটিচাইল্ড কেয়ার সেন্টারে কাজ করছেন। আমি গল্প লিখি। অর্থের অভাব আছে, কিন্তু আমরা আশা ছাড়িনি। আমাদের শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত মেয়ের জন্য ন্যায় বিচারের লড়াই চালিয়ে যাব।’
প্রত্যুষার মৃত্যুর মেয়ের লিভ ইন পার্টনার Rahul Raj-এর বিরুদ্ধে FIR দায়ের করেছিলেন শংকর ও সোমা বন্দ্যোপাধ্যায়। পুলিশ গ্রেফতারও করে রাহুলকে। কিন্তু তিন মাসের মাথায় বম্বে হাইকোর্ট জামিন মঞ্জুর করে রাহুলের। রাহুলের পালটা দাবি ছিল, ২০১৬ সালের ডিসেম্বর মাসেই তাঁর আর প্রত্যুষার বিয়ে করার কথা ছিল। কিন্তু মা-বাবার ক্রমাগত হস্তক্ষেপে ডিপ্রেশনে চলে গিয়েছিলেন Pratyusha।