ভাস্বতী ঘোষ
মঙ্গলবার বন্ধ হয়ে গিয়েছিল ‘ভূমিকন্যা’-র শ্যুটিং, প্রযোজক অরিন্দম শীল আর ফেডারেশন অফ সিনে টেকনিশিয়ান অ্যান্ড ওয়ার্কাস অফ ইস্টার্ন ইন্ডিয়ার মতবিরোধের জেরে।বুধবারও তার জট কাটল না। বুধবার অরিন্দম শীলের দাবি, ‘ফেডারেশনের তরফে অপর্ণা ঘটক যেমন জানিয়েছেন যে আমরাই শ্যুটিং বন্ধ করে দিয়েছি সেটা সম্পূর্ণ মিথ্যে।মঙ্গলবার সকাল ১১.১৫-র সময় ট্রলি সেটিংয়ের তারক মণ্ডল, সহযোগী কার্যনির্বাহী প্রযোজক তনুশ্রী পালকে জিজ্ঞেস করেন, শেষভাগের কাজের পারিশ্রমিক তাঁরা কবে পাবেন, যার উত্তরে তনুশ্রী জানান, এ সপ্তাহের মধ্যেই পারিশ্রমিক দেওয়া হবে। এতে প্রোডাকশন ম্যানেজারের সামনেই তারক বলেন, তা হলে তিনি কাজ করবেন না মঙ্গলবার।তখন ফ্লোরের অন্যান্য টেকনিশিয়ানরাও কাজ বন্ধ করে দেন, যদিও তাঁদের বলা হয়েছিল আগামী শুক্রবার বা শনিবারের মধ্যে পারিশ্রমিক মিটিয়ে দেওয়া হবে।
এরপর প্রোডাকশন ম্যানেজার গোরা চাঁদ রায় গিল্ড সেক্রেটারিকে ফোন করে একপ্রস্থ কথা বলেন। অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারির সঙ্গেও তাঁর কথা হয়। তিনি বলেন, টেকনিশিয়ানদের বলছেন, যাতে শ্যুটিং বন্ধ না হয়। গোরা পোস্ট ডেটেড চেক দেওয়ার কথা বলেন। কিন্তু অপর্ণা ঘটক গোরাকে ফোনে জানান যে, শুধুমাত্র কারেন্ট ডেটেড চেক দিলেই শ্যুটিং শুরু করা যাবে। এই ঘটনার সময় সকাল ১১.৪৫। এ সময় সোহিনী সরকার, শতফ ফিগারকে নিয়ে শ্যুটিং শুরু হয়। এরপর ১.৪৫-এ সাউন্ড রেকর্ডিস্টের কাছে ফোন আসে, পেমেন্ট না হলে কাজ বন্ধ রাখতে হবে। ২.৩২-এ কার্যনির্বাহী প্রযোজক রাহুল ভাঞ্জা অপর্ণা ঘটককে যখন ফোন করে অনুরোধ করেন শ্যুটিং বন্ধ না করতে আর কথা দেন ৮ সেপ্টেম্বর পারিশ্রমিক পেয়ে যাবেন টেকনিশিয়ানরা, তখন অপর্ণা ঘটক জানান, প্রোডিউসার্স গিল্ডের মাধ্যমে কথা এগোতে। ফেডারেশন মেল পাঠায় ২.১৩-তে। এদিকে কাজ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল ২টোর সময়।’
অভিনেত্রী সোহিনী সরকার বলছেন, ‘শ্যুটিং চলাকালীন কোনও শ্যুটিং বন্ধ হয়ে যাওয়া খুবই দুঃখজনক একটি ঘটনা। টেকনিশিয়ানদের প্রথম ভাগের পারিশ্রমিক বাকি, দ্বিতীয় ভাগের শ্যুটিং শুরু হয়েছে। তাঁরা জানতে চান কবে পারিশ্রমিক দেওয়া হবে। প্রযোজকের তরফেও জানানো হয়, আগামী শুক্রবারের মধ্যে পারিশ্রমিক দিয়ে দেওয়া হবে। শ্যুটিং শুরু হয় এরপর। কিন্তু দ্বিতীয় দৃশ্য শ্যুটিংয়ের সময় সাউন্ডের এক টেকনিশিয়ান জানান শ্যুটিং বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। আজও শ্যুটিং বন্ধ। টেলিভিশনের সঙ্গে এতগুলো মানুষ এবং এত পরিবার জড়িয়ে। এই পয়েন্টগুলো পরিষ্কার হওয়া খুব দরকার। কাজ বন্ধ করে দেওয়া কোনও সমাধান নয়। আমরা তো ক্রিয়েটিভ ফিল্ডের সঙ্গে জড়িয়ে আছি’…
কিন্তু রোজ যদি এমন দু’ পক্ষের লড়াই চলে, তা হলে বাংলা ধারাবাহিক এগোতে পারবে কি?
মঙ্গলবার বন্ধ হয়ে গিয়েছিল ‘ভূমিকন্যা’-র শ্যুটিং, প্রযোজক অরিন্দম শীল আর ফেডারেশন অফ সিনে টেকনিশিয়ান অ্যান্ড ওয়ার্কাস অফ ইস্টার্ন ইন্ডিয়ার মতবিরোধের জেরে।বুধবারও তার জট কাটল না। বুধবার অরিন্দম শীলের দাবি, ‘ফেডারেশনের তরফে অপর্ণা ঘটক যেমন জানিয়েছেন যে আমরাই শ্যুটিং বন্ধ করে দিয়েছি সেটা সম্পূর্ণ মিথ্যে।মঙ্গলবার সকাল ১১.১৫-র সময় ট্রলি সেটিংয়ের তারক মণ্ডল, সহযোগী কার্যনির্বাহী প্রযোজক তনুশ্রী পালকে জিজ্ঞেস করেন, শেষভাগের কাজের পারিশ্রমিক তাঁরা কবে পাবেন, যার উত্তরে তনুশ্রী জানান, এ সপ্তাহের মধ্যেই পারিশ্রমিক দেওয়া হবে। এতে প্রোডাকশন ম্যানেজারের সামনেই তারক বলেন, তা হলে তিনি কাজ করবেন না মঙ্গলবার।তখন ফ্লোরের অন্যান্য টেকনিশিয়ানরাও কাজ বন্ধ করে দেন, যদিও তাঁদের বলা হয়েছিল আগামী শুক্রবার বা শনিবারের মধ্যে পারিশ্রমিক মিটিয়ে দেওয়া হবে।
এরপর প্রোডাকশন ম্যানেজার গোরা চাঁদ রায় গিল্ড সেক্রেটারিকে ফোন করে একপ্রস্থ কথা বলেন। অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারির সঙ্গেও তাঁর কথা হয়। তিনি বলেন, টেকনিশিয়ানদের বলছেন, যাতে শ্যুটিং বন্ধ না হয়। গোরা পোস্ট ডেটেড চেক দেওয়ার কথা বলেন। কিন্তু অপর্ণা ঘটক গোরাকে ফোনে জানান যে, শুধুমাত্র কারেন্ট ডেটেড চেক দিলেই শ্যুটিং শুরু করা যাবে। এই ঘটনার সময় সকাল ১১.৪৫। এ সময় সোহিনী সরকার, শতফ ফিগারকে নিয়ে শ্যুটিং শুরু হয়। এরপর ১.৪৫-এ সাউন্ড রেকর্ডিস্টের কাছে ফোন আসে, পেমেন্ট না হলে কাজ বন্ধ রাখতে হবে। ২.৩২-এ কার্যনির্বাহী প্রযোজক রাহুল ভাঞ্জা অপর্ণা ঘটককে যখন ফোন করে অনুরোধ করেন শ্যুটিং বন্ধ না করতে আর কথা দেন ৮ সেপ্টেম্বর পারিশ্রমিক পেয়ে যাবেন টেকনিশিয়ানরা, তখন অপর্ণা ঘটক জানান, প্রোডিউসার্স গিল্ডের মাধ্যমে কথা এগোতে। ফেডারেশন মেল পাঠায় ২.১৩-তে। এদিকে কাজ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল ২টোর সময়।’
অভিনেত্রী সোহিনী সরকার বলছেন, ‘শ্যুটিং চলাকালীন কোনও শ্যুটিং বন্ধ হয়ে যাওয়া খুবই দুঃখজনক একটি ঘটনা। টেকনিশিয়ানদের প্রথম ভাগের পারিশ্রমিক বাকি, দ্বিতীয় ভাগের শ্যুটিং শুরু হয়েছে। তাঁরা জানতে চান কবে পারিশ্রমিক দেওয়া হবে। প্রযোজকের তরফেও জানানো হয়, আগামী শুক্রবারের মধ্যে পারিশ্রমিক দিয়ে দেওয়া হবে। শ্যুটিং শুরু হয় এরপর। কিন্তু দ্বিতীয় দৃশ্য শ্যুটিংয়ের সময় সাউন্ডের এক টেকনিশিয়ান জানান শ্যুটিং বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। আজও শ্যুটিং বন্ধ। টেলিভিশনের সঙ্গে এতগুলো মানুষ এবং এত পরিবার জড়িয়ে। এই পয়েন্টগুলো পরিষ্কার হওয়া খুব দরকার। কাজ বন্ধ করে দেওয়া কোনও সমাধান নয়। আমরা তো ক্রিয়েটিভ ফিল্ডের সঙ্গে জড়িয়ে আছি’…
কিন্তু রোজ যদি এমন দু’ পক্ষের লড়াই চলে, তা হলে বাংলা ধারাবাহিক এগোতে পারবে কি?