মৃত্যুর চেয়ে জীবন কতটা বড়, সেই বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে 'কাছের মানুষ' ছবির মধ্যে দিয়ে। কুন্তল এবং সুদর্শন নামের দুই ব্যক্তির জীবনের কাহিনিকে কেন্দ্র করে তৈরি হয়েছে ছবির চিত্রনাট্য। তারা দুজনেই বারবার ব্যর্থ হয়েছে। ফলে বাঁচার কোনও ইচ্ছে নেই তাদের। আত্মহত্যা করতে গিয়েই দুই ব্যক্তির পরিচয়। এরপরেই বাঁক নেয় ছবির গল্প। সুদর্শন পেশায় LIC এজেন্ট। সে এবং কুন্তল মিলে পরিকল্পনা করে অন্তত একজনের জীবনের সমস্যা দূর করার। তারা ঠিক করে কুন্তলের নামে জীবন বিমা করাবে সুদর্শন। এরপর কুন্তল সুইসাইড করবে। বিমা কোম্পানির কাছ থেকে সুদর্শন যে টাকা পাবে, তা দিয়ে দু'জনের জীবনের সমস্যার সমাধান করবে সে।
ছবির প্রথমার্ধ ডার্ক কমেডিতে পরিপূর্ণ। দেখানো হয়েছে, কুন্তল এবং সুদর্শন একসঙ্গে বসে আত্মহত্যার নানা ফন্দিফিকির বের করছে। যে কায়দায় প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় এবং দেব এই অভিনয় করেছেন তা সত্যিই দুর্দান্ত। গল্পের বুনোঠ এক্ষেত্রে দুরন্ত। জীবন এবং মৃত্যুর কনসেপ্ট নিয়েও প্লে করা হয়েছে এক্ষেত্রে। একজনের মৃত্যু অন্যজনের কাছে লাভজনক। এই বিষয়টি দেখিয়ে রূঢ় বাস্তবের ঝলক দেখানোর চেষ্টা করেছেন পরিচালক বলা চলে, ছবির প্রথম অংশ বেশ আঁটসাঁট।
তবে সমস্যার সূত্রপাত দ্বিতীয় অর্ধে। এক্ষেত্রে বেশ কিছু জার্ক এসেছে। যেমন, বেশ কিছু সিকোয়েন্স দীর্ঘ ঠাহর হয়েছে। বেশ কিছু দৃশ্য রিপিটেটিভ। এই বিষয়গুলি ছবির গতিকে স্বাভাবিকভাবেই স্লথ করেছে।
যদিও সার্বিকভাবে ছবিটি বেশ ভালো। বলা চলে, অনেকদিন পর পুজোয় বেশ ভালো বাংলা ছবি মুক্তি পেল। ছবিতে অযৌক্তিকভাবে গ্ল্যামার ঢোকানো হয়নি। সাদামাটা কায়দায় অনন্য এক গল্প বলার চেষ্টা হয়েছে। ছবির স্ক্রিনপ্লে খুবই ভালো। সিনেমাটোগ্রাফার দুর্দান্ত কাজ করেছেন। পরিচালনাও বেশ ভালো। উপরি পাওনা ছবির গান। গল্পকে খুব সুন্দর করে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছে সিনেমার গানটি।
বিশেষ কৃতজ্ঞতা দিতে হয় ছবির কলাকুশলীদের। প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের একটা ভিন্ন দিক দেখা গিয়েছে এই ছবিতে। সুদর্শনের চরিত্রে বেশ ভালো তিনি। দেবও কুন্তলের চরিত্রের জন্য পারফেক্ট ফিট। ঈশা সাহাও সাদামাটা কায়দায় দুরন্ত অভিনয় করেছেন। প্রত্যেকেই এই ছবির আবেগকে স্পর্শ করতে পেরেছেন। দেব এবং প্রসেনজিতের যুগলবন্দী খুব ভালো। গোলন্দাজের পর কাছের মানুষ ছবিতেও ঈশা এবং দেবের রোম্যান্স বেশ মিষ্টি লেগেছে। সবমিলিয়ে এবার পুজোয় দেখে আসতে পারেন এই ছবিটি।
ছবির প্রথমার্ধ ডার্ক কমেডিতে পরিপূর্ণ। দেখানো হয়েছে, কুন্তল এবং সুদর্শন একসঙ্গে বসে আত্মহত্যার নানা ফন্দিফিকির বের করছে। যে কায়দায় প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় এবং দেব এই অভিনয় করেছেন তা সত্যিই দুর্দান্ত। গল্পের বুনোঠ এক্ষেত্রে দুরন্ত। জীবন এবং মৃত্যুর কনসেপ্ট নিয়েও প্লে করা হয়েছে এক্ষেত্রে। একজনের মৃত্যু অন্যজনের কাছে লাভজনক। এই বিষয়টি দেখিয়ে রূঢ় বাস্তবের ঝলক দেখানোর চেষ্টা করেছেন পরিচালক বলা চলে, ছবির প্রথম অংশ বেশ আঁটসাঁট।
তবে সমস্যার সূত্রপাত দ্বিতীয় অর্ধে। এক্ষেত্রে বেশ কিছু জার্ক এসেছে। যেমন, বেশ কিছু সিকোয়েন্স দীর্ঘ ঠাহর হয়েছে। বেশ কিছু দৃশ্য রিপিটেটিভ। এই বিষয়গুলি ছবির গতিকে স্বাভাবিকভাবেই স্লথ করেছে।
যদিও সার্বিকভাবে ছবিটি বেশ ভালো। বলা চলে, অনেকদিন পর পুজোয় বেশ ভালো বাংলা ছবি মুক্তি পেল। ছবিতে অযৌক্তিকভাবে গ্ল্যামার ঢোকানো হয়নি। সাদামাটা কায়দায় অনন্য এক গল্প বলার চেষ্টা হয়েছে। ছবির স্ক্রিনপ্লে খুবই ভালো। সিনেমাটোগ্রাফার দুর্দান্ত কাজ করেছেন। পরিচালনাও বেশ ভালো। উপরি পাওনা ছবির গান। গল্পকে খুব সুন্দর করে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছে সিনেমার গানটি।
বিশেষ কৃতজ্ঞতা দিতে হয় ছবির কলাকুশলীদের। প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের একটা ভিন্ন দিক দেখা গিয়েছে এই ছবিতে। সুদর্শনের চরিত্রে বেশ ভালো তিনি। দেবও কুন্তলের চরিত্রের জন্য পারফেক্ট ফিট। ঈশা সাহাও সাদামাটা কায়দায় দুরন্ত অভিনয় করেছেন। প্রত্যেকেই এই ছবির আবেগকে স্পর্শ করতে পেরেছেন। দেব এবং প্রসেনজিতের যুগলবন্দী খুব ভালো। গোলন্দাজের পর কাছের মানুষ ছবিতেও ঈশা এবং দেবের রোম্যান্স বেশ মিষ্টি লেগেছে। সবমিলিয়ে এবার পুজোয় দেখে আসতে পারেন এই ছবিটি।