অ্যাপশহর

ওয়েবে ব্যোমকেশের আবির্ভাবেই বিরাট হইচই!

ব্যোমকেশ নিয়ে বাঙালির উত্সা্হ এবং নস্ট্যালজিয়ার শেষ নেই। উত্তম কুমার থেকে হাল আমলে আবির চট্টোপাধ্যায় বা যিশু সেনগুপ্ত সকলেই ব্যোমকেশের জুতোয় পা গলিয়েছেন।

EiSamay.Com 1 Sep 2017, 8:46 pm
এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: ব্যোমকেশ নিয়ে বাঙালির উত্সা্হ এবং নস্ট্যালজিয়ার শেষ নেই। উত্তম কুমার থেকে হাল আমলে আবির চট্টোপাধ্যায় বা যিশু সেনগুপ্ত সকলেই ব্যোমকেশের জুতোয় পা গলিয়েছেন। এ বার ব্যোমকেশের ভূমিকায় দেখা যাবে এখনকার অন্যতম ব্যস্ত অভিনেতা অনির্বাণ ভট্টাচার্য-কে। শ্রী ভেঙ্কটেশ ফিল্মসের ওয়েব প্ল্যাটফর্ম হইচই-এর ব্যোমকেশ সিরিজের ফার্স্ট লুক লঞ্চ হল শুক্রবার। সেখানেই মূল চরিত্রে অভিনয় করছেন অনির্বাণ। অন্য দুই প্রধান চরিত্র অজিত এবং সত্যবতীর ভূমিকায় অভিনয় করছেন সুব্রত দত্ত এবং ঋদ্ধিমা ঘোষ। সিরিজটি পরিচালনা করছেন সায়ন্তন ঘোষাল। যাঁর প্রথম ছবি ‘যকের ধন’ এ মুহূর্তে শহরের সিনেমা হল গুলিতে চলছে।
EiSamay.Com the online detective thriller promises to entertain like never before
ওয়েবে ব্যোমকেশের আবির্ভাবেই বিরাট হইচই!


এত চর্চিত চরিত্রে অভিনয় করাটা কতটা চ্যালেঞ্জের ছিল, সে সম্পর্কে অনির্বাণ বলেন, ‘এটা দারুণ একটা অনুভূতি। বহু নামী অভিনেতারা ব্যোমকেশের চরিত্রে অভিনয় করেছেন, তাই একটু চাপ তো থাকবেই। তবে ক্যামেরা শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তা ভ্যানিশ হয়ে গিয়েছে। শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় ব্যোমকেশের চরিত্রটি নানা স্তরে ভাগ করে সাজিয়েছেন। বেশ কিছু অ্যাবস্ট্রাক্ট কোয়ালিটি রয়েছে এই চরিত্রে। তাই ব্যোমকেশের ভূমিকায় অভিনয় করা ইটসেল্ফ একটা চ্যালেঞ্জ। আরও একটা ব্যাপার ভেবে ভালো লাগছে যে সারা বিশ্বের বাঙালিরা হইচই-এর মাধ্যমে ব্যোমকেশ সিরিজ দেখতে পারবেন। এর সঙ্গে যুক্ত হতে পারাটা দারুণ ব্যাপার।’

অজিত অর্থাত্‍ সুব্রত মনে করছেন, ‘ওয়েবই ভবিষ্যত্‍’। তিনি বলেন, ‘আমি স্ক্রিনে যে চরিত্রগুলিতে অভিনয় করি তার থেকে অজিতের চরিত্র একেবারে আলাদা। তাই একটা আলাদা অনুভূতি তো রয়েইছে। হইচই-এর মাধ্যমে গোটা বিশ্বের কাছে ব্যোমকেশ পৌঁছে যাবে। ওয়েবই বিনোদন দুনিয়ার ভবিষ্যত্‍।’ ঋদ্ধিমা অবশ্য এর আগেও সত্যবতীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমি এর আগেও সত্যবতীর চরিত্রে অভিনয় করেছি। কিন্তু এটা আমার কাছে একটা নতুন চ্যালেঞ্জ। সত্যবতী বাংলা সাহিত্যে আমার অন্যতম প্রিয় চরিত্র। সত্যবতীকে নতুন করে বুঝে এখানে তা ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছি। আমি যদি সত্যবতী হতাম তা হলে কী করতাম, এটা ভেবেই অভিনয় করেছি।’

যাঁর হাতে পরিচালনার দায়িত্ব সেই সায়ন্তন ঘোষাল জানাচ্ছেন, সিরিজটি মূলত যুবাদের কথা মাথায় রেখেই তৈরি করা হয়েছে। তাঁর কথায়, ‘এটা ব্যোমকেশের একটা মাচ কুলার ভার্সান। ফাস্ট পেসড্ থ্রিলার ওয়েব সিরিজের মতোই তৈরি করা হয়েছে। আমাদের দর্শকদের মধ্যে বেশিরভাগই ইউথ। তাই ওঁদের কথা মাথায় রেখেই তৈরি করেছি।’

সিরিজে কস্টিউম ডিজাইনিংয়ের কাজ করেছেন সাবর্নী দাস এবং সঞ্চিতা ভট্টাচার্য। স্বাধীনতার আগে এবং পরের বাংলার কথা মাথায় রেখেই চরিত্রগুলিকে সাজানো হয়েছে।

পরের খবর

Entertainmentসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল