এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: বলিউডে তাঁর প্রথম ছবি ছিল তাপস পালের বিপরীতে অবোধ। কিন্তু বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়ে সেই ছবি। তাপস পাল সেই সময়ে বাংলা চলচ্চিত্র জগতে পরিচিত মুখ হলেও, মাধুরী দীক্ষিতকে প্রায় খারিজের খাতায় ফেলে দিয়েছিল বলিউড। তার পর তাঁর ঘুরে দাঁড়ানো ১৯৮৮ সালের তেজাব ছবি দিয়ে। আর সেই ছবিতে এক দো তিন গানে আসমুদ্রহিমাচলে ঢেউ তুলেছিলেন মাধুরী দীক্ষিত। সেই গান তাঁকে খ্যাতির শিখরে পৌঁছে দিয়েছিল ঠিকই, কিন্তু সেই খ্যাতির কারিগর ছিলেন কোরিওগ্রাফার সরোজ খান। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় প্রখ্যাত এই কোরিওগ্রাফারের। ৭১ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। তাঁর প্রয়াণে শোকের ছায়া বলিউডে। সরোজ খানের প্রয়াণে গভীরভাবে শোকাহত তাঁর প্রিয় নায়িকা মাধুরী দীক্ষিত।
সরোজ খানকে নিজের গুরু বলেই মানতেন মাধুরী দীক্ষিত। সব সময়ে স্বীকার করেছেন তাঁর থেকে জীবনে অনেক কিছুই শিখেছেন বলে। শুক্রবার সকালে তাঁর মৃত্যুর খবর জেনে সোশ্যাল মিডিয়ায় শ্রদ্ধা জানালেন কিংবদন্তী কোরিওগ্রাফারকে। এদিন মাধুরী লেখেন, ‘আমার গুরু এবং বন্ধু সরোজ খানের মৃত্যুর খবরে আমি গভীরভাবে বিধ্বস্ত। আমি সারা জীবন ওঁর কাছে কৃতজ্ঞ থাকব। ওঁর জন্যেই নাচের দিক থেকে আমি শীর্ষে পৌঁছাতে পেরেছিলাম। এই দুনিয়া এক অসাধারণ প্রতিভাকে হারাল। আপনাকে খুব মিস করব। ওঁর পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা রইল। #RIPSarojji…’
মাধুরী দীক্ষিতের সঙ্গে একাধিক ছবিতে কাজ করেছেন সরোজ খান। তাঁর সঙ্গে অভিনেত্রীর শেষ কাজ করণ জোহরের ছবি কলঙ্ক।
১৯৪৮ সালের ২২ নভেম্বর মুম্বই শহরে জন্ম তাঁর। তাঁর আসল নামছিল নির্মলা নাগপাল। মাত্র তিন বছর বয়সে শিশু শিল্পী হিসেবে বলিউডে তাঁর কেরিয়ারের সূচনা। ১৯৫০-এর দশকে তিনি যোগ দেন ব্যাক আপ ডান্সার হিসেবে। দীর্ঘ সময় কাজ করেছেন তত্কানলীন প্রখ্যাত কোরিওগ্রাফার বি সোহনলালের সঙ্গেই। তাঁকেই তিনি আজীবন নিজের মাস্টারজি মেনে এসেছেন।
প্রবল শ্বাস কষ্টের সমস্যা নিয়ে ১৭ জুন মুম্বইয়ের গুরু নানক হাসপাতালে ভর্তি হন প্রখ্যাত কোরিওগ্রাফার সরোজ খান। সেই সময়ে তাঁর করোনা পরীক্ষাও করা হয়। তবে পরীক্ষার ফল নেগেটিভ আসে। ২০২০ সালে বলিউডে একের পর এক ইন্দ্রপতন হয়েছে। ইরফান খান, ঋষি কাপুর, ওয়াজিদ খান এবং সর্বকনিষ্ঠ সুশান্ত সিং রাজপুতের পর, চলে গেলেন আরও এক উজ্জ্বল নক্ষত্র।
সরোজ খানকে নিজের গুরু বলেই মানতেন মাধুরী দীক্ষিত। সব সময়ে স্বীকার করেছেন তাঁর থেকে জীবনে অনেক কিছুই শিখেছেন বলে। শুক্রবার সকালে তাঁর মৃত্যুর খবর জেনে সোশ্যাল মিডিয়ায় শ্রদ্ধা জানালেন কিংবদন্তী কোরিওগ্রাফারকে। এদিন মাধুরী লেখেন, ‘আমার গুরু এবং বন্ধু সরোজ খানের মৃত্যুর খবরে আমি গভীরভাবে বিধ্বস্ত। আমি সারা জীবন ওঁর কাছে কৃতজ্ঞ থাকব। ওঁর জন্যেই নাচের দিক থেকে আমি শীর্ষে পৌঁছাতে পেরেছিলাম। এই দুনিয়া এক অসাধারণ প্রতিভাকে হারাল। আপনাকে খুব মিস করব। ওঁর পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা রইল। #RIPSarojji…’
মাধুরী দীক্ষিতের সঙ্গে একাধিক ছবিতে কাজ করেছেন সরোজ খান। তাঁর সঙ্গে অভিনেত্রীর শেষ কাজ করণ জোহরের ছবি কলঙ্ক।
১৯৪৮ সালের ২২ নভেম্বর মুম্বই শহরে জন্ম তাঁর। তাঁর আসল নামছিল নির্মলা নাগপাল। মাত্র তিন বছর বয়সে শিশু শিল্পী হিসেবে বলিউডে তাঁর কেরিয়ারের সূচনা। ১৯৫০-এর দশকে তিনি যোগ দেন ব্যাক আপ ডান্সার হিসেবে। দীর্ঘ সময় কাজ করেছেন তত্কানলীন প্রখ্যাত কোরিওগ্রাফার বি সোহনলালের সঙ্গেই। তাঁকেই তিনি আজীবন নিজের মাস্টারজি মেনে এসেছেন।
প্রবল শ্বাস কষ্টের সমস্যা নিয়ে ১৭ জুন মুম্বইয়ের গুরু নানক হাসপাতালে ভর্তি হন প্রখ্যাত কোরিওগ্রাফার সরোজ খান। সেই সময়ে তাঁর করোনা পরীক্ষাও করা হয়। তবে পরীক্ষার ফল নেগেটিভ আসে। ২০২০ সালে বলিউডে একের পর এক ইন্দ্রপতন হয়েছে। ইরফান খান, ঋষি কাপুর, ওয়াজিদ খান এবং সর্বকনিষ্ঠ সুশান্ত সিং রাজপুতের পর, চলে গেলেন আরও এক উজ্জ্বল নক্ষত্র।