অ্যাপশহর

শুরু শ্যুটিং, নিউ নর্মালে এভাবেই মানিয়ে নিচ্ছেন হুমা কুরেশি!

লকডাউন ও করোনা প্যানডেমিক পরিস্থিতি কীভাবে সামলেছেন অভিনেত্রী হুমা কুরেশি? কীভাবে নিজেকে ধীরে ধীরে নিউ নর্মালের সঙ্গে মানিয়ে কাজে ফিরছেন? অকপট আলাপচারিতায় জানালেন নায়িকা...

EiSamay.Com 20 Aug 2020, 1:17 pm
এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: করোনার প্রাথমিক ধাক্কা সামলে উঠে ধীরে ধীরে ছন্দে ফেরার চেষ্টা করছে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি। নিউ নর্মালের সঙ্গে মানিয়ে যদিও ছবির সেটে এসেছে বিস্তর পরিবর্তন। চেনাপরিচিত বহু চিত্রই এখন অতীত। সেটে হাতে গোনা ক্রু সদস্য, ঘন ঘন স্যানিটাইজেশন এবং পিপিই কিটের ব্যবহারই এখন পরিচিত চিত্র হয়ে উঠেছে। নিয়ম খানিক শিথিল হওয়ায় Bell Bottom ছবির শিল্পী ও কলাকুশলীরা সম্প্রতি শ্যুটিংয়ের জন্যে পাড়ি দিলেন ইউকে। অক্ষয় কুমার (Akshay Kumar), লালা দত্তর (Lara Dutta) সঙ্গে সেই দলে রয়েছেন হুমা কুরেশিও (Huma S Qureshi) ।
EiSamay.Com huma s qureshi on resuming shooting and adjusting with new normal trends
হুমা কুরেশি


বম্বে টাইমস-কে দেওয়া একটি সাক্ষাত্‍কারে হুমা জানালেন, ‘সেটে ফিরতে পেরে এই মুহূর্তে আমি ভীষণ এক্সসাইটেড। গত কয়েক মাস আমাদের সবার জন্যেই খুব কঠিন চ্যালেঞ্জ ছিল। সারা বিশ্বকে গ্রাস করেছে করোনা প্যানডেমিক। কিন্তু এরই মধ্যে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। কাজ জারি রাখার নতুন উপায়ও বের করতে হবে। নিউ নর্মালে ভেঙে না পড়ে, এর মধ্যেই কাজের অনুপ্রেরণা খুঁজে পেতে হবে। নতুন স্ফূর্তি ও উদ্দম নিয়ে কাজ শুরু করতে হবে। সত্যি বলতে কি, সবাই কম বেশি নার্ভাস। তবে সেটে প্রত্যেকেই যথা সম্ভব নিরাপত্তা মেনে চলছেন। বর্তমান পরিস্থিতিতে ব্যক্তি স্বাস্থ্য এবং নিরাপত্ত সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। প্যানডেমিক আমাদের নতুন করে শিখিয়ে দিল কাজের প্রতি দায়িত্ববান হতে এবং এই সুযোগ পাওয়ার জন্যে কৃতজ্ঞ থাকতে।’

আরও পড়ুন: তাপসীর পর হুমা কুরেশিরও পাহাড় প্রমাণ বিদ্যুত্‍ বিল! উত্তরে এমনটাই জানাল আদানি সংস্থা...

২৮ জুলাই জন্মদিন ছিল অভিনেত্রীর। তবে আর পাঁচটা বছরের তুলনায় এবছর জন্মদিন ছিল একেবারেই সাদামাঠা। তবুও ছিল আন্তরিকতার বিশেষ ছোঁয়া। ‘এবছরের জন্মদিন খুব স্পেশাল ছিল। বহু মানুষ ফোন করে, মেসেজ করে আমাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। এমন কঠিন সময়ই তো মানুষের সঙ্গে মানুষের বন্ধন আরও জোরদার করে। পরিবার ও বন্ধুরা আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠেন।’ হুমা কর্মসূত্রে মুম্বইতে থাকলেও, মা-বাবা থাকেন দিল্লিতে। করোনা প্যানডেমিকে তাঁদের কাছে যেতে পারেননি। চিন্তায় কাটিয়েছেন প্রতি মুহূর্ত। ‘গত কয়েক মাস খুবই কঠিন ছিল। আমিও ভীষণ চিন্তায় ছিলাম। মা-বাবার শরীর স্বাস্থ্য নিয়ে টেনশন হচ্ছিল, বিশেষ করে বাবার শরীর নিয়ে। বাবার ডায়াবিটিস রয়েছে। ফলে তাঁকে একটু বেশি সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়। তবে এই পরিস্থিতি তো আমাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে ছিল। পরিবারের থেকে দীর্ঘ সময় দূরে থাকা একেবারেই সহজ ছিল না আমার জন্যে।’

এই সময় ডিজিটালের বিনোদন সংক্রান্ত সব আপডেট এখন টেলিগ্রামে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন এখানে

পরের খবর

Entertainmentসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল