ইন্দ্রনীল শুক্ল
অন্য সময়: আপনি যখন কেরিয়ার শুরু করেন, তখন কণ্ঠী ব্যাপারটা খুবই চলতো। আপনিও সেভাবেই নাম করেন প্রাথমিকভাবে। এখন যখন একটা ছবি আসছে ‘কিশোর কুমার জুনিয়র’ নামে তখন কেমন লাগছে ব্যাপারটা?
শানু: এটা এমন একটা দিক যেটা নিয়ে কেউ আগে ছবি করার কথা ভাবেননি। ‘মাচা’ সিঙ্গারদের নিয়ে ভেবে যে কৌশিক গাঙ্গুলি-প্রসেনজিৎ কাজ করেছেন, এটা দারুণ ব্যাপার। ওদেরকে ভালোবাসা। আর কিশোর-কণ্ঠী নিয়ে ছবি বলেই আমার আরও বেশি ভালো লাগছে। কিশোরদার গানও আমাকে দিয়ে গাওয়ানো হয়েছে। ১৬-টা গান মোট আছে। অনেকগুলো গেয়েছি। কয়েকটা গানের বাংলা-হিন্দি দুটো ভার্সানই গেয়েছি।
অন্য সময়: এখন যাঁরা কিশোরকণ্ঠে গাইছেন তাঁদের সম্ভাবনা কেমন?
শানু: কথা হচ্ছে, কিশোরদার জমানা তো এখনও চলছে। তাই যাঁরা গাইছেন তাঁদের প্রসপেক্টও অবশ্যই আছে। কারণ, যখনই মেলোডির অভাব মানুষের মধ্যে আসবে, তখনই মানুষ কিশোর কুমারকে, তাঁর মেলোডিকে খুঁজবে। আর কণ্ঠীরাও তাই ইরেজ হয়ে যাবেন না।
অন্য সময়: এখনকার নতুন সিঙ্গার, নিজের কণ্ঠে গাইছেন যাঁরা, তাঁদের গান কেমন লাগছে?
শানু: অনেকই ভালো। গান শিখে এসেছেন। প্রতিভাবান। কিন্তু আমার মনে হচ্ছে, তাঁরা প্রপার মিউজিক পাচ্ছেন না, ভালো লিরিক পাচ্ছেন না, তাই নিজের যতটা ক্ষমতা ততটা প্রমাণ করতে পারছেন না। বা পারলেও কেরিয়ারে স্টেবিলিটি পাচ্ছেন না। সেদিক দিয়ে আমি লাকি। কিশোর কুমার যাঁদের সুরে গেয়েছেন, সেই আর ডি বর্মণ, বাপ্পি লাহিড়ির সঙ্গে কাজের সুযোগ পেয়েছি।
অন্য সময়: পঞ্চমদার সঙ্গে কাজের একটা অভিজ্ঞতার গল্প শুনতে ইচ্ছে করছে...
শানু: ধরুন, ‘এক লেড়কি কো দেখা’ গানটার কথাই। আমি রেকর্ডিংয়ের জন্য সকালে স্টুডিয়ো গিয়েছি। গায়ে ক্যাজুয়াল জামা। শেড-টেভ করিনি। পঞ্চমদা আমার দিকে তাকালেন। বললেন, ‘এ কী, তোকে দেখে মনে হচ্ছে তুই ঠিক এই গানটা গাওয়ার মতো মুডে নেই। আজ এই গানটা টেক করব না। তুই বাড়ি চলে যা। অন্য দিন রেকর্ডিং হবে।’ কয়েকদিন পর ফ্রেশ হয়ে, শেভ করে, ভালো জামা পরে গেলাম। তবে রেকর্ডিং হল। পঞ্চমদা এতোটাই মুডি মানুষ ছিলেন!
অন্য সময়: ছেলে জান কুমার শানু, মেয়ে শ্যাননের কথা বলুন...
শানু: জান চেষ্টা করছে। কয়েকজন মিউজিক ডিরেক্টরের সঙ্গে কথা চলছে। মুম্বইয়ে থেকে স্ট্রাগল করছে এটা তো ভালো ব্যাপারই। তবে ও যেখানে যাবে আমার নাম তো নেবেই। ফলে একটা ফেভার, মানুষের ভালোবাসা নিশ্চয়ই ও পাবে। আমি তো চাইই যে ও সিঙ্গার হিসেবে প্রতিষ্ঠা পাক। শ্যানন তো হলিউডের ব্যাপার। ওর জন্য আমাকে কিছু বলতে হয়নি। ও যা করেছে, করছে নিজের চেষ্টাতেই করেছে। কারণ ওখানে কেউ আমাকে চেনে না। ওতো জাস্টিন বিবারের সঙ্গে ‘হাউ লং ইজ দ্য লং টাইম’ গানটা গেয়েছে। শ্যাননের সঙ্গে আমি একটা সিঙ্গল করেছি,‘ম্যাজিকাল’।
অন্য সময়: আপনি রিয়্যালিটি শোয়ে জাজ হিসেবে যখন বসেন তখন কী মাথায় রাখেন?
শানু: যদি দেখি কারও কোনও মাইনাস পয়েন্ট আছে, সেটা পরে বলি। আগে পজিটিভ দিকগুলো বলে নিই। কোনও কনটেসট্যান্ট ভেঙ্গে না পড়ে সেটা সবসময় খেয়াল রাখি। নতুন গায়ককে ‘হওসলা’ তো জোগাতেই হবে!
অন্য সময়: নতুন শিল্পীদের জন্য কোনও টিপস...
শানু: নতুনদের বলতে চাই যে একজন ভালো আর্টিস্ট হতে হলে মানুষ ভালো হতে হবে। অন্যে কী করছে তা নিয়ে জেলাস হলে হবে না। নিজের কাজটা কী করে আরও পারফেক্ট করা যায় সেই চেষ্টা করতে হবে।
অন্য সময়: আপনি যখন কেরিয়ার শুরু করেন, তখন কণ্ঠী ব্যাপারটা খুবই চলতো। আপনিও সেভাবেই নাম করেন প্রাথমিকভাবে। এখন যখন একটা ছবি আসছে ‘কিশোর কুমার জুনিয়র’ নামে তখন কেমন লাগছে ব্যাপারটা?
শানু: এটা এমন একটা দিক যেটা নিয়ে কেউ আগে ছবি করার কথা ভাবেননি। ‘মাচা’ সিঙ্গারদের নিয়ে ভেবে যে কৌশিক গাঙ্গুলি-প্রসেনজিৎ কাজ করেছেন, এটা দারুণ ব্যাপার। ওদেরকে ভালোবাসা। আর কিশোর-কণ্ঠী নিয়ে ছবি বলেই আমার আরও বেশি ভালো লাগছে। কিশোরদার গানও আমাকে দিয়ে গাওয়ানো হয়েছে। ১৬-টা গান মোট আছে। অনেকগুলো গেয়েছি। কয়েকটা গানের বাংলা-হিন্দি দুটো ভার্সানই গেয়েছি।
অন্য সময়: এখন যাঁরা কিশোরকণ্ঠে গাইছেন তাঁদের সম্ভাবনা কেমন?
শানু: কথা হচ্ছে, কিশোরদার জমানা তো এখনও চলছে। তাই যাঁরা গাইছেন তাঁদের প্রসপেক্টও অবশ্যই আছে। কারণ, যখনই মেলোডির অভাব মানুষের মধ্যে আসবে, তখনই মানুষ কিশোর কুমারকে, তাঁর মেলোডিকে খুঁজবে। আর কণ্ঠীরাও তাই ইরেজ হয়ে যাবেন না।
অন্য সময়: এখনকার নতুন সিঙ্গার, নিজের কণ্ঠে গাইছেন যাঁরা, তাঁদের গান কেমন লাগছে?
শানু: অনেকই ভালো। গান শিখে এসেছেন। প্রতিভাবান। কিন্তু আমার মনে হচ্ছে, তাঁরা প্রপার মিউজিক পাচ্ছেন না, ভালো লিরিক পাচ্ছেন না, তাই নিজের যতটা ক্ষমতা ততটা প্রমাণ করতে পারছেন না। বা পারলেও কেরিয়ারে স্টেবিলিটি পাচ্ছেন না। সেদিক দিয়ে আমি লাকি। কিশোর কুমার যাঁদের সুরে গেয়েছেন, সেই আর ডি বর্মণ, বাপ্পি লাহিড়ির সঙ্গে কাজের সুযোগ পেয়েছি।
অন্য সময়: পঞ্চমদার সঙ্গে কাজের একটা অভিজ্ঞতার গল্প শুনতে ইচ্ছে করছে...
শানু: ধরুন, ‘এক লেড়কি কো দেখা’ গানটার কথাই। আমি রেকর্ডিংয়ের জন্য সকালে স্টুডিয়ো গিয়েছি। গায়ে ক্যাজুয়াল জামা। শেড-টেভ করিনি। পঞ্চমদা আমার দিকে তাকালেন। বললেন, ‘এ কী, তোকে দেখে মনে হচ্ছে তুই ঠিক এই গানটা গাওয়ার মতো মুডে নেই। আজ এই গানটা টেক করব না। তুই বাড়ি চলে যা। অন্য দিন রেকর্ডিং হবে।’ কয়েকদিন পর ফ্রেশ হয়ে, শেভ করে, ভালো জামা পরে গেলাম। তবে রেকর্ডিং হল। পঞ্চমদা এতোটাই মুডি মানুষ ছিলেন!
অন্য সময়: ছেলে জান কুমার শানু, মেয়ে শ্যাননের কথা বলুন...
শানু: জান চেষ্টা করছে। কয়েকজন মিউজিক ডিরেক্টরের সঙ্গে কথা চলছে। মুম্বইয়ে থেকে স্ট্রাগল করছে এটা তো ভালো ব্যাপারই। তবে ও যেখানে যাবে আমার নাম তো নেবেই। ফলে একটা ফেভার, মানুষের ভালোবাসা নিশ্চয়ই ও পাবে। আমি তো চাইই যে ও সিঙ্গার হিসেবে প্রতিষ্ঠা পাক। শ্যানন তো হলিউডের ব্যাপার। ওর জন্য আমাকে কিছু বলতে হয়নি। ও যা করেছে, করছে নিজের চেষ্টাতেই করেছে। কারণ ওখানে কেউ আমাকে চেনে না। ওতো জাস্টিন বিবারের সঙ্গে ‘হাউ লং ইজ দ্য লং টাইম’ গানটা গেয়েছে। শ্যাননের সঙ্গে আমি একটা সিঙ্গল করেছি,‘ম্যাজিকাল’।
অন্য সময়: আপনি রিয়্যালিটি শোয়ে জাজ হিসেবে যখন বসেন তখন কী মাথায় রাখেন?
শানু: যদি দেখি কারও কোনও মাইনাস পয়েন্ট আছে, সেটা পরে বলি। আগে পজিটিভ দিকগুলো বলে নিই। কোনও কনটেসট্যান্ট ভেঙ্গে না পড়ে সেটা সবসময় খেয়াল রাখি। নতুন গায়ককে ‘হওসলা’ তো জোগাতেই হবে!
অন্য সময়: নতুন শিল্পীদের জন্য কোনও টিপস...
শানু: নতুনদের বলতে চাই যে একজন ভালো আর্টিস্ট হতে হলে মানুষ ভালো হতে হবে। অন্যে কী করছে তা নিয়ে জেলাস হলে হবে না। নিজের কাজটা কী করে আরও পারফেক্ট করা যায় সেই চেষ্টা করতে হবে।