প্রয়াত একেন বাবুর স্রষ্টা সুজন দাশগুপ্ত। বয়স হয়েছিল ৮০। বুধবার সার্ভে পার্কের বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয় তাঁর দেহ। এদিন সকাল ১০.০৫ নাগাদ লেখকের পরিচারিকা সুনিতা দাস তাঁর ফ্ল্যাটে গিয়েছিলেন। অনেকবার দরজায় ধাক্কা দেওয়া সত্ত্বেও কোনও প্রত্যুত্তর আসেনি। খটকা লাগায় বিল্ডিংয়ের নিরাপত্তা রক্ষীদের খবর দেন সুনিতা। তারা এসেও দরজা ভাঙতে না পেরে পুলিশে খবর দেন। যদিও ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছনোর আগেই প্রতিবেশী এবং গার্ডরা মিলে ওই দরজা ভেঙে ফেলেছিলেন। ঘরে ঢুকতেই দেখা যায় মেঝেতে পড়ে আছে সুজনের নিথর দেহ। পুলিশ সূত্রে খবর, সুজন দাশগুপ্তর স্ত্রী শান্তিনিকেতনে ঘুরতে গিয়েছেন। আর তাঁর মেয়ে আমেরিকায় থাকেন। ফলে ফ্ল্যাটে একাই ছিলেন তিনি। বেডরুমের লাগোয়া ওয়াশরুমের সামনে থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়।
প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের ধারণা, বাথরুমে যাওয়ার সময়ই তাঁর মৃত্যু হয়। এখনও পর্যন্ত ঘটনায় কোনও ফাউল প্লের চিহ্ন নেই। কোনও অভিযোগও জমা পড়েনি বিষয়টি নিয়ে। বর্তমানে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে জনপ্রিয় লেখকের দেহ। বুধবারই ময়নাতদন্ত হবে বলে খবর। ৮০-তেও প্রাণবন্ত ছিলেন সুজন দাশগুপ্ত। ২ জানুয়ারি ফেসবুকে শেষ পোস্ট করেছিলেন। নাতি-নাতনির ছবি আপলোড করে বলেছিলেন, "এমিরেটস এয়ারলাইন্সে নিই ইয়র্ক থেকে কলকাতায় আসছে ওরা। দুবাই আসার পথে প্লেনে দেখাচ্ছে 'দ্য একেন'। দেখে দারুণ খুশি! আমাকে ছবি দু'টো পাঠিয়েছে আমার কন্যা। একেন মাটি থেকে আকাশে - নতুন বছরে আমার আনন্দ!"
মেয়ের মতো সুজন দাশগুপ্ত নিজেও আমেরিকাতেই থাকতেন। ৫০ বছর নিউ জার্সির মন্টিভিলে ছিলেন তিনি। তবে কয়েকমাস আগেই কলকাতায় ফিরেছিলেন। একেন বাবু সমগ্রের রচয়িতা তিনি। এছাড়াও নিভৃতে, কৌতুকী, খিলখাবানার গাম্বিলো, সুজনকথার মতো বই লিখেছেন তিনি। সুজন দাশগুপ্তের মৃত্যুর খবরে শোকাহত বাংলার সাহিত্য জগৎ। পাবলিসার্স এবং বুকসেলার্স গিল্ডের সভাপতি সুধাংশু শেখর দে-র কথায়, "বাংলা সাহিত্যের বিশিষ্ট লেখক ছিলেন। প্রকাশন জগতের অপূরণীয় ক্ষতি হল। আরও অনেক কিছু দেওয়ার ছিল ওঁর। গভীরভাবে শোকাহত আমরা।"
অতীতে সুজনের একেনবাবু এবং কৌতুকীর উপরেই পাঠকদের আগ্রহ খুব বেশি ছিল। এই দুই সৃষ্টি তাঁরও খুব কাছের ছিল। তবে গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে ফেসবুকে লিখেছিলেন, "আমি শুধু একেন বাবু আর কৌতুকি লিখি না। অন্য বিষয় নিয়েও লিখি।" আজকাল বইয়ের বেশি পাঠক নেই বলে আফসোস ছিল সুজনের। সোশাল মিডিয়ায় লিখেছিলেন, "অনেকে আমাকে রসিকতা করে বলেন যে একেন বাবুকে লোকে হইচইয়ের সিরিজের কারণেই চেনে। আমি তাঁদের বলি, কী করব, লোকে আজকাল বই পড়ে না।"
প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের ধারণা, বাথরুমে যাওয়ার সময়ই তাঁর মৃত্যু হয়। এখনও পর্যন্ত ঘটনায় কোনও ফাউল প্লের চিহ্ন নেই। কোনও অভিযোগও জমা পড়েনি বিষয়টি নিয়ে। বর্তমানে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে জনপ্রিয় লেখকের দেহ। বুধবারই ময়নাতদন্ত হবে বলে খবর। ৮০-তেও প্রাণবন্ত ছিলেন সুজন দাশগুপ্ত। ২ জানুয়ারি ফেসবুকে শেষ পোস্ট করেছিলেন। নাতি-নাতনির ছবি আপলোড করে বলেছিলেন, "এমিরেটস এয়ারলাইন্সে নিই ইয়র্ক থেকে কলকাতায় আসছে ওরা। দুবাই আসার পথে প্লেনে দেখাচ্ছে 'দ্য একেন'। দেখে দারুণ খুশি! আমাকে ছবি দু'টো পাঠিয়েছে আমার কন্যা। একেন মাটি থেকে আকাশে - নতুন বছরে আমার আনন্দ!"
মেয়ের মতো সুজন দাশগুপ্ত নিজেও আমেরিকাতেই থাকতেন। ৫০ বছর নিউ জার্সির মন্টিভিলে ছিলেন তিনি। তবে কয়েকমাস আগেই কলকাতায় ফিরেছিলেন। একেন বাবু সমগ্রের রচয়িতা তিনি। এছাড়াও নিভৃতে, কৌতুকী, খিলখাবানার গাম্বিলো, সুজনকথার মতো বই লিখেছেন তিনি। সুজন দাশগুপ্তের মৃত্যুর খবরে শোকাহত বাংলার সাহিত্য জগৎ। পাবলিসার্স এবং বুকসেলার্স গিল্ডের সভাপতি সুধাংশু শেখর দে-র কথায়, "বাংলা সাহিত্যের বিশিষ্ট লেখক ছিলেন। প্রকাশন জগতের অপূরণীয় ক্ষতি হল। আরও অনেক কিছু দেওয়ার ছিল ওঁর। গভীরভাবে শোকাহত আমরা।"
অতীতে সুজনের একেনবাবু এবং কৌতুকীর উপরেই পাঠকদের আগ্রহ খুব বেশি ছিল। এই দুই সৃষ্টি তাঁরও খুব কাছের ছিল। তবে গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে ফেসবুকে লিখেছিলেন, "আমি শুধু একেন বাবু আর কৌতুকি লিখি না। অন্য বিষয় নিয়েও লিখি।" আজকাল বইয়ের বেশি পাঠক নেই বলে আফসোস ছিল সুজনের। সোশাল মিডিয়ায় লিখেছিলেন, "অনেকে আমাকে রসিকতা করে বলেন যে একেন বাবুকে লোকে হইচইয়ের সিরিজের কারণেই চেনে। আমি তাঁদের বলি, কী করব, লোকে আজকাল বই পড়ে না।"