অ্যাপশহর

সুশান্তের মোবাইল চেয়ে চিঠি পাঠায় ইডি, মুম্বই পুলিশ থেকে মেলেনি কোনও জবাব!

সুশান্ত সিং রাজপুত আত্মহত্যা করেছেন আজ দু’মাস পেরিয়ে গেল। কিন্তু তাঁর মৃত্যুকে ঘিরে জটিলতা ক্রমশ বাড়ছে। উঠেছে তাঁকে খুনের অভিযোগ। তদন্তে নেমেছে সিবিআই এবং ইডি। দাবি উঠেছে এনআইএ তদন্তেরও।

EiSamay.Com 14 Aug 2020, 4:13 pm
এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক:সুশান্ত সিং রাজপুতের (Sushant Singh Rajput Death Case) মৃত্যুর কিনারা করতে পুরো দমে কাজে লেগে পড়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেট। রিয়া চক্রবর্তী ও তাঁর পরিবারের পাশাপাশি ইতোমধ্যে দফায় দফায় জেরা করা হয়েছে সুশান্তে ম্যানেজার, সিএ, সিদ্ধার্থ পিঠানীকেও। তদন্তের খাতিরে ইডি বাজেয়াপ্ত করেছে রিয়া, তাঁর বাবা এবং ভাই সৌভিকের মোবাইল ফোনও। তদন্তের কাজ এগিয়ে নিয়ে যেতে, ইডি-র তরফে মুম্বই পুলিশকে মোট ৪টি চিঠি পাঠানো হয়েছে। চাওয়া হয়েছে প্রয়াত অভিনেতার মোবাইল ফোন এবং তাঁর কল ডিটেল। তবে সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত ইডি-র চিঠির কোনও জবাব দেয়নি মুম্বই পুলিশ। তুলে দেওয়া হয়নি সুশান্তের মোবাইল ফোনটিও। এই প্রথম নয়। এর আগেও বহুবার তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগ উঠেছে মুম্বই পুলিশের বিরুদ্ধে। তথ্য প্রমাণ লোপাটের অভিযোগও তোলা হয়েছে। সুশান্ত সিং রাজপুতের বাবার দায়ের করা এফআইআর-এর ভিত্তিতে যখন বিহার পুলিশের একটি দল মুম্বই আসে, তখনও সাহায্য করেনি মুম্বই পুলিশ। এমনকি যে আইপিএস আধিকারিক মুম্বই গিয়েছিলেন তাঁকে কোয়ারানটিনে আটকে রাখে মুম্বই পুলিশ।
EiSamay.Com ed writes four letters to mumbai police seeking sushant’s mobile phone and call details without any positive result
সুশান্তের ফোন চাইল ইডি


এই সবের মধ্যে ইডি প্রায় ১১ ঘন্টা ধরে জেরা করেছেন সুশান্ত সিং রাজপুতের ট্যালেন্ট ম্যানেজার জয়ন্তী শাহকে। গত দু’বছর ধরে কোন কোন প্রজেক্টে তিনি কাজ করেছিলেন অথবা কাজের সুযোগ পেয়েছিলেন, অভিনেতার মধ্যে কোনও শারীরিক অসুস্থা তিনি লক্ষ্য করেছিলেন কি না, তাঁর ব্যবহারে কোনও পরিবর্তন এসেছিল কি না—এই সবই জিজ্ঞাসা করা হয় জয়ন্তীকে।

আরও পড়ুন: নির্দোষ হলে লুকোচুরি কেন? সুশান্তের গার্লফ্রেন্ড রিয়াকে প্রশ্ন বিহার পুলিশের
সুশান্তের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে থেকে উধাও ₹ ৫০ কোটি! মুম্বই পুলিশকে কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন বিহারের ডিজিপি

সুশান্তের ময়নাতদন্তের রিপোর্টে উল্লেখ নেই একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্যের: বিহার পুলিশ

সুশান্ত: মুম্বই ছাড়ার শর্তে কোয়ারানটিন থেকে মুক্তি বিহারের পুলিশকর্তার

অন্যদিকে সুশান্তের মৃত্যু তদন্তে গতি আনতে সিবিআই-এর তরফে একটি স্পেশ্যাল ইনভেস্টিগেশন টিম গঠন করা হয়েছে। আর সেই দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন আইপিএস অফিসার এবং সিবিআই জয়েন্ট ডিরেক্টর মনোজ শশীধর এবং আর এক দুঁদে মহিলা আইপিএস অফিসার গগনদীপ গম্ভীর। ঘটনাচক্রে আইপিএস অফিসার গগনদীপ গম্ভীরের বাড়িও বিহারে। ১৯৭৮ সালে বিহারের মুজফ্ফরপুরে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। মাধ্যমিক অবধি সেখানেই পড়াশোনা করেন। আর তারপর পরিবারের সঙ্গে চলে যান পঞ্জাবে। পঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পরবর্তীতে স্নাতক পাশ করেন গগনদীপ। এহেন মহিলা আইপিএস অফিসার দেশের বহু নামজাদা কেসে সিবিআই-এর বিশেষ তদন্ত অফিসারের কাজ করেছেন।

এই সময় ডিজিটালের বিনোদন সংক্রান্ত সব আপডেট এখন টেলিগ্রামে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন এখানে।

পরের খবর