এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: মৃত্যু মানে শুধুই সে ব্যক্তির চলে যাওয়া নয়৷ মৃত্যু মানে তাঁর সঙ্গে চলে যাওয়া একটা গোটা সময়৷ আর কিংবদন্তিদের ক্ষেত্রে এই সময়টা গোটা একটা যুগ৷ গত বছর করোনাভাইরাস আমাদের থেকে কেড়ে নিয়েছে ভারতীয় চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে ৷ আর এবার চলে গেলেন তাঁর সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের স্ত্রী দীপা চট্টোপাধ্যায়৷ তবে দীপা চট্টোপাধ্যায় শুধুমাত্র যে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে আলোতে আলোকিত ছিলেন তা নয়, ছিলেন দারুণ ব্যাডমিন্টন প্লেয়ার৷ তবে নিজেকে সবসময় রেখেছিলেন প্রচারের আড়ালেই৷ দীপা চট্টোপাধ্যায়ের বয়স হয়েছিল ৮৩৷ অসুস্থ ছিলেন বহুদিন ধরেই৷ প্রায় ৪৫ বছর ধরেই ব্লাড সুগারের সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি৷
সৌমিত্র-দীপা চট্টোপাধ্যায়ের প্রেমপর্ব, সে সময় ছিল আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু৷ যাকে সিনেমার পর্দায় দেখে সে সময় পাগল হতে সব বয়সের মেয়েরা৷ ফিল্মি ম্যাগাজিনে নায়িকাদের সঙ্গে নাম জড়িয়ে গুঞ্জন উড়ত৷ কিন্তু সেই সৌমিত্র প্রেমে পড়লেন তুখর ব্যাডমিন্টন প্লেয়ারের৷ আর সেই প্রেম, সঙ্গ টিকল জীবনের শেষদিন পর্যন্ত৷
দীপা চট্টোপাধ্যায় নিজেকে সব সময় রাখতেন প্রচারের আলো থেকে দূরে৷ একদিকে যখন সৌমিত্র উজ্জ্বল তারকা৷ অন্যদিকে দীপা চট্টোপাধ্যায় সুন্দর করে সংসার গুছিয়ে চলেছেন৷ বড় করছেন দুই সন্তানকে৷
দুই সন্তান সৌগত এবং পৌলমী৷ এখন নিজেদের জায়গায় প্রতিষ্ঠীত৷ গত বছর সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ও চলে গেলেন৷ নিজের সমস্ত দায়িত্ব সুন্দর করে শেষ করে ফেলেছিলেন৷ তাই তো সৌমিত্রে মৃত্যুর পর থেকে ‘চলে যেতে’ চেয়েছিলেন তিনিও৷
ছেলে সৌগত চট্টোপাধ্যায়ের কবিতা বড্ড প্রিয় ছিল তাঁর৷ তাই শত অসুস্থার মধ্যেও ছেলের কবিতা পাঠ কখনই মিস করতেন না৷
দীপা চট্টোপাধ্যায়ের স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে অধ্যাপক ও ফিল্ম সমালোচক সঞ্জয় মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘যৌবনে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় ও দীপা চট্টোপাধ্যায়কে দেখে বিচারক সিনেমার উত্তমকুমার ও অরুন্ধতীর কথা মনে পড়ত৷ একদিকে রূপবান নায়ক এবং অন্যদিকে তুখড় খেলোয়াড়৷ এই প্রেমটা গোটা জীবন মনে রাখার মতো৷’
অভিনেত্রী মমতাশংকরের কথায়, ‘দীপা বউদি খুবই ট্যালেন্টেড মানুষ ছিলেন সবচেয়ে বড় ব্যাপার, তিনি খুব ভালো মনের মানুষ ছিলেন৷ যখনই দেখা হত, তখনই নানা গল্প হত৷ খুব স্নেহ করতেন৷ শেষ দিকটা দীপা বউদির যেভাবে শরীরটা খারাপ হয়েছিল, তা দেখে সত্যিই খারাপ লাগত৷ উনি খুব অ্যাক্টিভ ছিলেন তো! এখন মনে হচ্ছে, তাঁর এই কষ্টের অবসান ঘটল৷ উনি যেখানেই থাকুন ভালো থাকুন৷ ’
টাটকা ভিডিয়ো খবর পেতে সাবস্ক্রাইব করুন এই সময় ডিজিটালের YouTube পেজে। সাবস্ক্রাইব করতে এখানে ক্লিক করুন।
সৌমিত্র-দীপা চট্টোপাধ্যায়ের প্রেমপর্ব, সে সময় ছিল আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু৷ যাকে সিনেমার পর্দায় দেখে সে সময় পাগল হতে সব বয়সের মেয়েরা৷ ফিল্মি ম্যাগাজিনে নায়িকাদের সঙ্গে নাম জড়িয়ে গুঞ্জন উড়ত৷ কিন্তু সেই সৌমিত্র প্রেমে পড়লেন তুখর ব্যাডমিন্টন প্লেয়ারের৷ আর সেই প্রেম, সঙ্গ টিকল জীবনের শেষদিন পর্যন্ত৷
দীপা চট্টোপাধ্যায় নিজেকে সব সময় রাখতেন প্রচারের আলো থেকে দূরে৷ একদিকে যখন সৌমিত্র উজ্জ্বল তারকা৷ অন্যদিকে দীপা চট্টোপাধ্যায় সুন্দর করে সংসার গুছিয়ে চলেছেন৷ বড় করছেন দুই সন্তানকে৷
দুই সন্তান সৌগত এবং পৌলমী৷ এখন নিজেদের জায়গায় প্রতিষ্ঠীত৷ গত বছর সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ও চলে গেলেন৷ নিজের সমস্ত দায়িত্ব সুন্দর করে শেষ করে ফেলেছিলেন৷ তাই তো সৌমিত্রে মৃত্যুর পর থেকে ‘চলে যেতে’ চেয়েছিলেন তিনিও৷
ছেলে সৌগত চট্টোপাধ্যায়ের কবিতা বড্ড প্রিয় ছিল তাঁর৷ তাই শত অসুস্থার মধ্যেও ছেলের কবিতা পাঠ কখনই মিস করতেন না৷
দীপা চট্টোপাধ্যায়ের স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে অধ্যাপক ও ফিল্ম সমালোচক সঞ্জয় মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘যৌবনে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় ও দীপা চট্টোপাধ্যায়কে দেখে বিচারক সিনেমার উত্তমকুমার ও অরুন্ধতীর কথা মনে পড়ত৷ একদিকে রূপবান নায়ক এবং অন্যদিকে তুখড় খেলোয়াড়৷ এই প্রেমটা গোটা জীবন মনে রাখার মতো৷’
অভিনেত্রী মমতাশংকরের কথায়, ‘দীপা বউদি খুবই ট্যালেন্টেড মানুষ ছিলেন সবচেয়ে বড় ব্যাপার, তিনি খুব ভালো মনের মানুষ ছিলেন৷ যখনই দেখা হত, তখনই নানা গল্প হত৷ খুব স্নেহ করতেন৷ শেষ দিকটা দীপা বউদির যেভাবে শরীরটা খারাপ হয়েছিল, তা দেখে সত্যিই খারাপ লাগত৷ উনি খুব অ্যাক্টিভ ছিলেন তো! এখন মনে হচ্ছে, তাঁর এই কষ্টের অবসান ঘটল৷ উনি যেখানেই থাকুন ভালো থাকুন৷ ’
টাটকা ভিডিয়ো খবর পেতে সাবস্ক্রাইব করুন এই সময় ডিজিটালের YouTube পেজে। সাবস্ক্রাইব করতে এখানে ক্লিক করুন।