শতরূপা বসু
চূর্ণী গঙ্গোপাধ্যায়ের আগের ছবি 'নির্বাসিত' ছিল একজন মুক্ত চিন্তাশীল ব্যক্তিকে নিয়ে, যিনি নিজের কথার ওপর দাঁডি়য়ে লড়াই চালিয়ে গিয়েছেন। তাঁকে সে জন্য দেশ ছাড়া, ঘর ছাড়া হতে হয়েছে। বিদেশে তাঁর গ্রহণযোগ্যতা থাকলেও, নিজের দেশে, যেখানে তিনি তাঁর নিজের ভাষায় কথা বলেন, সেখানে তাঁর ফেরার কোনও পথ নেই।
'তারিখ'ও একজন মুক্ত চিন্তাশীল ব্যক্তিকে নিয়ে, যিনি তাঁর নিজের আদর্শে বিশ্বাসী। তাঁর চিন্তাশীল সত্তাকে পরিচালক চেয়েছেন যত বেশি সম্ভব লোকের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে। কারণ তিনি বিশ্বাস করেন সেখান থেকে যদি কোনও বিতর্কের জায়গা, নিজস্ব মতামতের জায়গা তৈরি হয় তাহলে তাঁর ভালো লাগবে। 'আসলে লোকে নিশ্চুপ হয়ে আছে - এটা আমি মেনে নিতে পারি না। সময়টাকে নষ্ট না করে সেই সময়টাকে যদি কোনওভাবে কাজে লাগিয়ে আমার মতবাদের মাধ্যমে পৃথিবীতে কোথাও একটু ছাপ ফেলা যায়,' বলছেন চূর্ণী।
'তারিখ'-এর কেন্দ্রীয় চরিত্রে রয়েছেন সেরকমই একজন মানুষ। ইনি সেই সমস্ত মানুষকে রিপ্রেজেন্ট করেন যাঁদের একটা ব্লগ লিখেও প্রাণ হারাতে হয়েছে। যাঁরা নিজেদের মত প্রকাশ করেছেন বলে তাঁদের বিপদে পড়তে হয়েছে। ছবিতে একটা রূপক ফর্মে এটা দেখানো হয়েছে। 'যেখানে একটা খোলা প্ল্যাটফর্মে - যেমন ফেসবুক- নিজের মত প্রকাশ করেছেন বলে তিনি বিপদে পড়েছেন। 'নির্বাসিত'র মতোই এই ছবিটা নানা স্তরে কাজ করে। সামাজিক, সোশ্যাল মিডিয়ার প্রেক্ষাপটে গল্পটা বলা হয়েছে, সম্পর্কের মাধ্যমে, পরিবারের মাধ্যমে, নতুন প্রজন্মের মাধ্যমে,' বলছেন পরিচালক।
ছবিতে সোশ্যাল মিডিয়া একটা খুব বড় জায়গা জুড়ে রয়েছে। 'আমরা এই মিডিয়াকে কীভাবে নানাভাবে ব্যবহার করি তার একটা বেসিক এক্সপ্লোরেশন রয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়া কীভাবে আমাদের অমর করে দেয় - যারা এই পৃথিবীতে নেই, কিন্তু তাদের পেজগুলো রয়ে গিয়েছে, সেখানে নানা মম্তব্য পোস্টও হয়ে চলেছে। এটা বেশ বড় করে এসেছে আমার ছবিতে। আমি এটা এভাবে দেখেছি, যে আমরা না থাকলেও কীভাবে আমাদের পরের প্রজন্ম আমাদের আদর্শগুলো এগিয়ে নিয়ে যায়। যে আমাদের দেখানো পথটাকে তারা হয়তো কোনওভাবে অনুসরণ করবে। এভাবেই হয়তো আমরা অমর হতে পারি,' বলছেন চূর্ণী। অপেরা মুভিজ প্রযোজিত, সুপর্ণকান্তি করাতি নিবেদিত 'তারিখ' মুক্তি পাচ্ছে আজ, ১২ এপ্রিল।
চূর্ণী গঙ্গোপাধ্যায়ের আগের ছবি 'নির্বাসিত' ছিল একজন মুক্ত চিন্তাশীল ব্যক্তিকে নিয়ে, যিনি নিজের কথার ওপর দাঁডি়য়ে লড়াই চালিয়ে গিয়েছেন। তাঁকে সে জন্য দেশ ছাড়া, ঘর ছাড়া হতে হয়েছে। বিদেশে তাঁর গ্রহণযোগ্যতা থাকলেও, নিজের দেশে, যেখানে তিনি তাঁর নিজের ভাষায় কথা বলেন, সেখানে তাঁর ফেরার কোনও পথ নেই।
'তারিখ'ও একজন মুক্ত চিন্তাশীল ব্যক্তিকে নিয়ে, যিনি তাঁর নিজের আদর্শে বিশ্বাসী। তাঁর চিন্তাশীল সত্তাকে পরিচালক চেয়েছেন যত বেশি সম্ভব লোকের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে। কারণ তিনি বিশ্বাস করেন সেখান থেকে যদি কোনও বিতর্কের জায়গা, নিজস্ব মতামতের জায়গা তৈরি হয় তাহলে তাঁর ভালো লাগবে। 'আসলে লোকে নিশ্চুপ হয়ে আছে - এটা আমি মেনে নিতে পারি না। সময়টাকে নষ্ট না করে সেই সময়টাকে যদি কোনওভাবে কাজে লাগিয়ে আমার মতবাদের মাধ্যমে পৃথিবীতে কোথাও একটু ছাপ ফেলা যায়,' বলছেন চূর্ণী।
'তারিখ'-এর কেন্দ্রীয় চরিত্রে রয়েছেন সেরকমই একজন মানুষ। ইনি সেই সমস্ত মানুষকে রিপ্রেজেন্ট করেন যাঁদের একটা ব্লগ লিখেও প্রাণ হারাতে হয়েছে। যাঁরা নিজেদের মত প্রকাশ করেছেন বলে তাঁদের বিপদে পড়তে হয়েছে। ছবিতে একটা রূপক ফর্মে এটা দেখানো হয়েছে। 'যেখানে একটা খোলা প্ল্যাটফর্মে - যেমন ফেসবুক- নিজের মত প্রকাশ করেছেন বলে তিনি বিপদে পড়েছেন। 'নির্বাসিত'র মতোই এই ছবিটা নানা স্তরে কাজ করে। সামাজিক, সোশ্যাল মিডিয়ার প্রেক্ষাপটে গল্পটা বলা হয়েছে, সম্পর্কের মাধ্যমে, পরিবারের মাধ্যমে, নতুন প্রজন্মের মাধ্যমে,' বলছেন পরিচালক।
ছবিতে সোশ্যাল মিডিয়া একটা খুব বড় জায়গা জুড়ে রয়েছে। 'আমরা এই মিডিয়াকে কীভাবে নানাভাবে ব্যবহার করি তার একটা বেসিক এক্সপ্লোরেশন রয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়া কীভাবে আমাদের অমর করে দেয় - যারা এই পৃথিবীতে নেই, কিন্তু তাদের পেজগুলো রয়ে গিয়েছে, সেখানে নানা মম্তব্য পোস্টও হয়ে চলেছে। এটা বেশ বড় করে এসেছে আমার ছবিতে। আমি এটা এভাবে দেখেছি, যে আমরা না থাকলেও কীভাবে আমাদের পরের প্রজন্ম আমাদের আদর্শগুলো এগিয়ে নিয়ে যায়। যে আমাদের দেখানো পথটাকে তারা হয়তো কোনওভাবে অনুসরণ করবে। এভাবেই হয়তো আমরা অমর হতে পারি,' বলছেন চূর্ণী। অপেরা মুভিজ প্রযোজিত, সুপর্ণকান্তি করাতি নিবেদিত 'তারিখ' মুক্তি পাচ্ছে আজ, ১২ এপ্রিল।