অ্যাপশহর

অরিজিত্ মুডি নয়, লাজুক

বাংলার গায়কটি সম্বন্ধে সুরকার-গায়ক বিশালের এটাই মত৷ আর পাকিস্তানী গায়কদের ওপর বলিউডে জারি হওয়া সাম্প্রতিক নিষিদ্ধকরণ সম্বন্ধে তাঁর উত্তর, ‘স্প্রেড মিউজিক৷ স্প্রেড লাভ৷ স্প্রেড হ্যাপিনেস!’

EiSamay.Com 25 Oct 2016, 10:33 am
বাংলার গায়কটি সম্বন্ধে সুরকার-গায়ক বিশালের এটাই মত৷ আর পাকিস্তানী গায়কদের ওপর বলিউডে জারি হওয়া সাম্প্রতিক নিষিদ্ধকরণ সম্বন্ধে তাঁর উত্তর, ‘স্প্রেড মিউজিক৷ স্প্রেড লাভ৷ স্প্রেড হ্যাপিনেস!’ ট্যুইটারে যতটা বিতর্কিত, টেলিফোনে ততটাই সাবধানী সেই বিশাল দাদলানিকে আবিষ্কার করলেন ভাস্বতী ঘোষ
EiSamay.Com arijit is not moody he is just shy says vishal dadlani
অরিজিত্ মুডি নয়, লাজুক


অনেকের মতে এই মুহূর্তে বলিউডের সবচেয়ে হ্যাপেনিং সুরকার জুটি তাঁরা৷ বিশাল-শেখর৷ এই দুই সঙ্গীত পরিচালকের শেষ তিন বছরের ফিল্মোগ্রাফি ঝালিয়ে নেওয়া যাক৷ এ বছর তাঁরা সঙ্গীত হেঁশেল সামলেছেন অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দু’টি ছবির৷ প্রথমটি ‘ফ্যান’ আর অন্যটি ‘সুলতান’৷ ২০১৫-তে তাঁদের কোনও সুর করা কোনও ছবির মুক্তি ছিল না৷ ২০১৪-য় তাঁরা সুর করেছিলেন ‘হ্যাপি নিউ ইয়ার’ আর ‘হাসি তো ফাঁসি’৷ শুধুমাত্র এই চারটে ছবিতেই যে পরিমাণ হিট দিয়েছেন এই সুরকার জুটি, তাতে তাঁরা যে বলিউডের সুর-সিংহাসন দখলের ব্যাপারে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছেন, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই!

জুটির মধ্যে বিশালের নজরকাড়ার আরও একটি কারণ আছে অবশ্য৷ গায়ক হিসেবেও যে তিনি ‘হিট’৷ এই ধরুন ‘বেবি কো বেস পসন্দ হ্যায়’ গানে যে ঝড় তোলে বিশালের গলা৷ তবে কেবল ‘সুলতান’-এ আটকে নেই এঁরা৷ বরং তাঁরা দ্বিগুণ উত্তেজিত তাঁদের আগামী ছবি নিয়ে৷ ‘বেফিকরে’৷ এই ছবিতে জুটি বাঁধছেন রণবীর সিং আর বাণী কাপুর৷ তবে এই ছবি আরও বেশি চর্চার কেন্দ্রে থাকার কারণ ছবির পরিচালক, আদিত্য চোপড়া৷ ‘বেফিকরে’র ‘নশে শি চড় গয়ি’ গানটি ইতিমধ্যেই হিট৷ কিন্ত্ত বিশালের সঙ্গে কথা শুরু হল একটু পিছিয়ে গিয়ে৷ প্রথমে বলুন ‘বেবি কো’র জন্য এখনও নিয়মিত ফোন পাচ্ছেন কিনা? এমনিতে সোজাসাপ্টা কথা বলার জন্য বিশালের সুনাম আছে৷ কিন্ত্ত প্রশ্ন শুনে হাসিতে ফেটে পড়লেন৷ বলছেন, ‘সত্যি! এই গানটার জন্য এখনও ফোন পাই...’৷ ‘বেফিকরে’ ছবি তো যশরাজ ক্যাম্পের৷ আপনাদের ঘরবাড়ি৷ তার ওপর এবার আদিত্য চোপড়া পরিচালক৷ কী মাথায় রেখে গান তৈরি করলেন? বিশালের উত্তর, ‘শুধুমাত্র এটাই মাথায় রেখেছি আদিত্য চোপড়া আর বিশাল-শেখরের কোনও হ্যাংওভার যাতে না থাকে এই ছবির গানে৷ একটা লাভস্টোরি৷ ফ্রেশ৷ টিপিক্যাল লাভস্টোরির কনসেপ্টকে চ্যালেঞ্জ করে যে ছবি৷ সেখানে গানগুলো তরতাজা হওয়ার দরকার ছিল৷’ আদিত্য চোপড়া-কে নিয়ে কিছু বলুন৷ মিডিয়া তো ওঁর সম্পর্কে জানার সুযোগ কমই পায়৷ উনি নিজেকে আড়াল করে রাখেন? বিশাল বলতে শুরু করলেন, ‘হি ইজ আ প্রাইভেট পার্সন৷ সিনেমা ভালোবাসেন৷ আর যে ছবিটা তৈরি করেন, সেটা ভীষণ সততার সঙ্গে তৈরি করার চেষ্টা করেন...’ এতটুকু বলার পরই প্রোডাকশন হাউসের তরফে অনুরোধ এল, এ প্রসঙ্গে আর প্রশ্ন না করার জন্য!

‘বেফিকরে’র ‘নশে শি চড় গয়ি’ গানের সঙ্গে বাণী কাপুর যেভাবে নেচেছেন, তা অনেক দর্শককে তাক লাগিয়েছে৷ বিশাল বলছেন, ‘গানটা যখন তৈরি করেছিলাম, মাথায় ছিল, গানটায় বাড়তি কিছু যাতে না থাকে৷ ‘নশে সি চড় গয়ি’ তরতাজা আর সহজ৷ বাণী যে গানটায় এরকমভাবে পারফর্ম করবে, সেটা প্রথমে কেউ ভাবেনি৷ কিন্ত্ত শেষ পর্যন্ত সকলকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে ও৷’ শাহরুখ খান, সলমন খান, হূতিক রোশন৷ সুপারস্টারদের জন্য গান তৈরি করার চেয়ে রণবীর সিংয়ের জন্য গান তৈরি করা কোথায় আলাদা? বিশাল বলছেন, ‘রণবীরের এনার্জি ফাটাফাটি৷ সেটা যে কীভাবে একজনকে ভাবাতে পারে, বলে বোঝানো মুশকিল৷ গানের রেকর্ডিংয়ে চলে আসত৷ রাত ২.৫৫-তে একদিন মেসেজ করল-‘ইটস টাইম, ইটস টাইম’! ‘সুলতান’-এ নায়কের আদেশে ছবি থেকে বাদ গিয়েছিল অরিজিত্ সিংয়ের গান৷ কিন্ত্ত ‘বেফিকরে’ ছবিতে অরিজিত্ সিং তো গান করছেন? বিশাল বলছেন, ‘অরিজিত্ সিং ইজ দ্য ভয়েস অফ দ্য কারেন্ট এরা’৷ আপনার সম্পর্কে শোনা যায়, প্লেব্যাক সিঙ্গারদের রীতিমতো বসিয়ে দিয়ে আপনি অনেক গান নিজে গেয়ে ফ্যালেন৷ এদিকে আপনি তো অরিজিতের প্রশংসা শুরু করলেন! বিশাল বলছেন, ‘কেন ভালো কথা বলব না? অন্য কেউ অরিজিত্কে নিয়ে কী বলে দিল, সেসব কথায় আপনারা কান না দিলেই ভালো৷ অরিজিত্ এত ভালো একজন আর্টিস্ট৷’ কিন্ত্ত অরিজিত্ তো সাংঘাতিক মুডি বলে শোনা যায়? বিশাল বলছেন, ‘মুডি? না৷ আমি তো ওকে অনেকদিন ধরে চিনি৷ এরকম তো একেবারে মনে হয় না৷ বরং ও একটু লাজুক৷’ তা হলে বাঙালি সঙ্গীত জগতের মানুষদের ওপর আপনারও দুর্বলতা রয়েছে? বিশাল বলছেন, ‘এ কী জিজ্ঞেস করছেন আপনি! কাকে ছেড়ে কার কথা বলি৷ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গান দিয়ে শুরু করতে হবে তা হলে, আর ডি বর্মন, কিশোরদা...মানে কত নাম যে বলতে হবে...’
‘বেফিকরে’

ছবির কোন গান আপনার প্রিয়? বিশাল বলছেন, ‘সবক’টা৷ আর একটু সময় যাক, ‘সুলতান’-এর মতো এই ছবির সবক’টা গান নিয়েই মাতামাতি হবে৷’ ট্যুইটারে দেখা গেল আপনি সঙ্গীত পরিচালক প্রীতমকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ‘দঙ্গল’-এর জন্য৷ প্রীতম ‘রেস টু’-তে আতিফ আসলামকে দিয়ে গান গাইয়েছিলেন৷ এই যে ভারতবর্ষে পাক সঙ্গীত শিল্পীদের ব্যান করার সিদ্ধান্ত হয়েছে আগামী দিনে, এ নিয়ে আপনার কী মত? (যশরাজ ফিল্মস-এর তরফে প্রশ্ন শুনেই অনুরোধ আসতে শুরু করল, এরকম প্রশ্ন এড়িয়ে গেলেই ভালো হয়) বিশাল বলছেন, ‘স্প্রেড মিউজিক৷ স্প্রেড লাভ৷ স্প্রেড হ্যাপিনেস!’

পরের খবর

Entertainmentসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল