অ্যাপশহর

'প্রত্যেকটাতেই আই হ্যাভ বিন অ্যাট দ্য টপ'

সামনে ব্যোমকেশের নতুন ছবি। টলিউড পেরিয়ে বলিউডেও পা রাখছেন পরিচালক হিসেবে। মেন্টর সুজয় ঘোষ। তাঁর দাবি, যা করেছেন, তাতেই সর্ব্বোচ্চ উচ্চতায় পৌঁছেছেন৷ শতরূপা বসুর সামনে অরিন্দম শীল

EiSamay.Com 3 Dec 2016, 12:24 pm

সামনে ব্যোমকেশের নতুন ছবি। টলিউড পেরিয়ে বলিউডেও পা রাখছেন পরিচালক হিসেবে। মেন্টর সুজয় ঘোষ। তাঁর দাবি, যা করেছেন, তাতেই সর্ব্বোচ্চ উচ্চতায় পৌঁছেছেন৷ শতরূপা বসুর সামনে অরিন্দম শীল -

EiSamay.Com an interview with director producer arindam shil
'প্রত্যেকটাতেই আই হ্যাভ বিন অ্যাট দ্য টপ'


অন্য সময়: আপনাকে একটু অন্যরকম লাগছে?
অরিন্দম: খুব খারাপ দিন (সেদিনই ফিদেল কাস্ত্রো মারা গিয়েছেন)৷ আমাকে জীবনে তিন-চারজন মানুষ প্রভাবিত করেছেন --- বিবেকানন্দ৷ রবীন্দ্রনাথ৷ ফিদেল কাস্ত্রোও তার মধ্যে অন্যতম৷ আমার কমিউনিজম বা রাজনীতি নিয়ে সচেতনতা, বা অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের বোধ পুরোটাই ফিদেল কাস্ত্রোর দ্বারা অনুপ্রাণীত৷ খুবই খারাপ দিন৷

অন্য সময়: এটা পড়ে আপনার বিরুদ্ধে লোকে রে-রে করে উঠবে সেটা জানেন তো?
অরিন্দম: তাতে আমার কিছু যায় আসে না৷ রে-রে করার তো কিছু নেই৷ আমি যে কমিউনিজম-এর কথা বলি সেই কমিউনিজম সাম্যবাদে বিশ্বাস করে, কথা বলে মানুষের অধিকার নিয়ে --- সেটা যে কোনও সত্, মানুষ-দরদী সরকারই চাইবে৷ মমতা বন্দোপাধ্যায়কেও আমার কমিউনিস্ট মনে হয়৷



অন্য সময়: ইয়ে, মানে…
অরিন্দম: কারণ, আমি দিদিকে গরিবদের জন্য কাঁদতে দেখেছি, তাদের কথা ভাবতে দেখেছি৷ হয়তো তাঁর পার্টির সবাই এক মতের বিশ্বাসী নয়, কিন্ত্ত দিদি অবশ্যই৷ একমাত্র এই জন্যই ওঁর সঙ্গে আমি আছি৷

অন্য সময়: হুম৷ 'ব্যোমকেশ পর্ব' নিয়ে প্রস্ত্তত?
অরিন্দম: একদম৷ আমি এতদিন যা ছবি করেছি, তার মধ্যে 'ব্যোমকেশ পর্ব'-টা আক্ষরিক অর্থে একটা বিরাট বদল৷ এখানে ব্যোমকেশ অনেক বেশি তীক্ষ্ণ, লক্ষ্যে স্থির৷ আমার বলতে লজ্জা নেই এবার আম দর্শকের সঙ্গে কানেক্ট করতে চাইছি৷ আমার বিশ্বাস যে ভালো গল্প আর ভালো বিষয় দিয়েও সেটা করা যায়৷ সেইজন্যই ব্যোমকেশকে দিয়ে সেই চেষ্টা করছি৷ যেমন শবরকে দিয়ে চেয়েছিলাম৷ তার জন্য একটু একটু করে ব্যোমকেশকে বদলাচ্ছি৷ তবে সেই বদল আমার মস্তিষ্কপ্রসূত নয়৷ সেটা শরদিন্দু বন্দোপাধ্যায়ের লেখার মধ্যেই আছে --- যে এক সময় কলকাতার বেশ্যাপল্লিতে চিনাদের প্রভাব ছিল৷ চিনে পাড়াতে প্রচুর গ্যাংওয়্যার হত৷ তার মধ্যে যে ব্যোমকেশ গিয়ে পড়েছে, সে গল্পও আছে৷ সেগুলোকে বের করে এনে সাজিয়েছি৷

অন্য সময়: আপনার 'হর হর ব্যোমকেশ' নিয়ে দ্বিমত ছিল৷ সেই জন্য কি চাপটা একটু বেশি এই ছবিতে?
অরিন্দম: বেশিরভাগই ভালো বলেছিলেন৷ কিছু দর্শক বলেছিলেন অতটা গতি নেই বা ততটা ব্যোমকেশ নয়৷ আমার মতে এর আগে যা যা ব্যোমকেশ আমরা চলচ্চিত্রে দেখেছি, তার একটাও ব্যোমকেশ নয়৷

অন্য সময়: সত্যজিত্ রায়?
অরিন্দম: সত্যজিত্ রায় বাদ দিয়ে কথা বলুন৷ তাঁকে এর মধ্য টানবেন না৷ আমাদের আলোচনায় সত্যজিত্-মৃণাল সেন না আসাই শ্রেয়৷ যতই ভান করি না কেন, আমরা কেউ তাঁদের ধারে-কাছে পৌঁছতে পারিনি৷ আমি আমার ব্যোমকেশ নিয়ে কথা বলছি৷ 'হর হর…'-এ ব্যোমকেশ চরিত্রটাকে স্থাপন করার একটা প্রচেষ্টা ছিল৷ রক্ত-মাংসে চরিত্র স্থাপন করে, তারপর তার প্রখরতাকে স্থাপন করার দিকে যাওয়াটা ঠিক মনে করেছি৷ একটা ছবিতে সবটা দিতে চাইনি৷ যাঁরা গতিহীন বলেছিলেন তাঁদের অনুরোধ, তাঁরা 'ব্যোমকেশ পর্ব' দেখুন৷ কতটা গতিময় ব্যোমকেশ হতে পারে একটা নমুনা পাবেন৷

অন্য সময়: আপনি শবর-এর গডফাদার৷ দুটো গোয়ন্দোকে স্থাপন করতে গিয়ে ব্যাপারটা একটু দ্বিখন্ডিত হয়ে যায় না?
অরিন্দম: আমার তো বেশ মজা লাগে৷ কারণ, দু'জন দু'টো সময়ের৷ দু'জনের চারিত্রিক গঠন একেবারে আলাদা৷ এবং দু'জন অসাধারণ অভিনেতা৷ একজন নিজের অভিনয়ের স্যাচুরেশনে পৌঁছে গিয়েছে৷ আরেকজন তরুণ, যে এতটাই তুর্কী, যে সবাইকে ফেলে এই মুহূর্তে এগিয়ে যাচ্ছে --- সেই আবির চট্টোপাধ্যায়৷ কারণ, ওর অর্জুনের মতো ফোকাস৷ ও নিজের সিনেমা আর চরিত্র ছাড়া এখন কিছু ভাবছে না৷ এই ব্যোমকেশে আবিরকে নিয়ে আমার একটা চিন্তা ছিল --- আবির পারবে তো? করবে তো? কারণ যে আবিরকে নিয়ে আমি আগের ব্যোমকেশ করেছি সেই আবির পারত না৷ সে নিজের এতটাই বদল ঘটিয়েছে, চেহারা এবং ফোকাসেও, যে সেটা প্রেরণাদায়ক৷ সঙ্গে এখনকার সেরা অভিনেতারা কাজ করেছেন --- ঋত্বিক, রজতাভ, সোহিনী, শুভাশিষ৷ তারপর লোকেশন৷ এর থেকে বেশি পরিশ্রম বোধহয় আমরা করতে পারতাম না৷ জোঁকের কামড়ে রক্তাক্ত সবাই৷ ভোর থেকে তিন ঘণ্টা টানা মেক-আপ চলত রুদ্রনীলের৷ এক ফোঁটা জলও খেতে পারত না বেচারা৷

অন্য সময়: আপনি বলছেন আরও বেশি সংখ্যক আমদর্শকের কাছে পৌঁছতে চান৷ কিন্ত্ত আপনার উইকিপিডিয়া পাতা বলছে আপনার কাছে 'ক্রিটিক্যাল অ্যাক্লেম' বেশি গুরুত্বপূর্ণ৷
অরিন্দম: একটা উদাহরণ দিই --- তপন সিংহ৷ তাঁর মতো পরিচালক কিন্ত্ত আমাদের ইন্ডাস্ট্রিতে খুব কম আলোচিত৷ যতটা পাওয়ার কথা ছিল তার কিছুই পাননি৷ সত্যজিত্ রায় আর মৃণাল সেন-এর ছায়াতে থেকে গিয়েছেন৷ কিন্ত্ত এমন ছবি করে গিয়েছেন যার প্রত্যেকটা 'ক্রিটিক্যাল অ্যাক্লেম'-এর সঙ্গে সঙ্গে সমানভাবে জনপ্রিয়৷ আমি সেই তপন সিংহের মতো কাজ করতে চাই৷

অন্য সময়: আবার ব্যোমকেশ আর ফেলুদা একসঙ্গে মুক্তি৷
অরিন্দম: সেটা নিয়ে আমার খুব একটা মাথা-ব্যথা নেই৷ আমার ছবি যখন মুক্তি পায় তখন আমার ছবিই আমি বুঝি৷ 'ব্যোমকেশ পর্ব' মুক্তি পাওয়ার পর শহরে একটাই ছবি চলছে --- সেটা 'ব্যোমকেশ পর্ব' --- এভাবে দেখি৷

অন্য সময়: এতটা আত্মবিশ্বাসী?
অরিন্দম: (মুচকি হেসে) অহঙ্কারী তো নই৷

অন্য সময়: এখানে দু'জন অভিনেতাকে আপনি টালিগঞ্জে এনে রাতারাতি হিট করিয়ে দিলেন --- জয়া এহসান আর অনির্বাণ ভট্টাচার্য৷ আপনার ঈগলের চোখটা কেমনভাবে কাজ করে?
অরিন্দম: পু্রাটাই ইন্সটিংক্ট৷ এবং এখনও পর্যন্ত আমার ইন্সটিংক্ট আমাকে ফেল করেনি৷ বলতে বাধা নেই, কোনও একটি সংবাদমাধ্যম আমার ছবি নিয়ে লেখেনি জয়াকে কাস্ট করেছিলাম বলে৷ এখন অবশ্য তারাই জয়াকে নিয়ে বেশ লেখালেখি করছে৷ দেখে ভালো লাগে৷ আসলে আমি কোনও জায়গায় কম্প্রোমাইজ করি না৷ সেটা আমার প্রযোজকরাও জানেন৷ অনির্বাণের সময়ও শ্রীকান্ত (মোহতা) জিজ্ঞেস করেছিল, 'তুমি শিওর'? বলেছিলাম, 'এর থেকে বেশি শিওর আমি হতে পারছি না৷' শুধু এরা কেন? অপুকে (শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়) তো কেউ ভাবেইনি ও এত ভালো গোয়েন্দা করতে পারবে৷ ওর জীবনের চরমতম সাফল্য ওকে দিয়েছে শবর৷ হয়তো বব বিশ্বাসের থেকেও বেশি৷ অশোক বিশ্বনাথনের মেয়ে, যে আমার পরের ছবিতে কাজ করছে, তার বেলায়ও একই৷ আসলে আমার জীবনটাও আমি ইন্সটিংক্ট-এই কাটিয়েছি৷ তাতে খুব একটা ভুল হয় না৷

অন্য সময়: এতটা শিওর?
অরিন্দম: আমার কোনও অনুশোচনা নেই৷ পাওয়ার জায়গাটা হারানোর থেকে অনেক বেশি৷ সবাই যে বলবে তুমি অসাধারণ মানুষ, সেটা হয় না৷ বরং বলুক আমি ভালো ছবি বানাই৷ এখন আমার বেঁচে থাকাটা এর ওপরেই নির্ভরশীল --- আমার মেয়ে আর আমার ছবি৷

অন্য সময়: 'ব্যোমকেশ পর্ব' আপনার পাঁচ নম্বর ছবি৷ এর মধ্যে মাত্র একটা ছবি, প্রথমটা --- 'আবর্ত' অতটা হিট করেনি৷ বাকিগুলো সুপারহিট৷ সেই তুলনায় আরেকজন পরিচালক আছেন, সৃজিত মুখোপাধ্যায়, যাঁর কিন্ত্ত ফ্লপের সংখ্যা আপনার থেকে বেশি৷ ছবিও অবশ্য বেশি৷ আপনার থেকে তাঁর জনপ্রিয়তাও বেশি৷
অরিন্দম: যার যা জীবনে পাওনা সে সেটা পাবে৷ তবে সৃজিতের একটা বিরাট অবদান আছে৷ ও 'অটোগ্রাফ' করেছে৷ আমারও একটা অবদান আছে৷ 'এক মুঠো ছবি' আর 'বং কানেকশন' --- যে ছবি দুটো বাংলা চলচ্চিত্রের গতি বদলে গিয়েছিল --- দুটোতেই আমি কাযনির্বাহী প্রযোজক ছিলাম৷ পরবর্তী কালে সৃজিত মুখার্জি এসে 'অটোগ্রাফ' করল৷ বিশাল অসাধারণ ছবি বলব না৷ কিন্ত্ত 'অটোগ্রাফ' বাংলা ছবির চিন্তার পথটা বদলেছিল৷ যে প্রথম, সে সব সময়ই অ্যাডভানটেজ পায়৷ কাযনির্বাহী প্রযোজকের থেকে পরিচালকের অবদান বেশি বলে মানা হয়৷ আমরা অনেক খেটেছি বাংলা ছবিতে বদল আনার জন্য৷ এখনও খেটে যাচ্ছি৷ তাই বলছি এটা যার যার পাওনা৷ বাকিটা সময় বলবে৷

অন্য সময়: মানে আপনি লম্বা রেস-এর ঘোড়া বলতে চান?
অরিন্দম: অফ কোর্স! আমি জীবনে যা করেছি প্রত্যেকটাতেই আই হ্যাভ বিন অ্যাট দ্য টপ৷

অন্য সময়: 'দ্য টপ, দ্য টপ, দ্য টপ'?
অরিন্দম: সেটা কি না জানি না, তবে হ্যাঁ, অ্যাট দ্য টপ তো বটেই৷ শুনুন, জীবনের শেষ বেলায় এসে একটু নাম করা ভালো৷ নাম নিয়ে মরতে পারব৷ প্রথম বেলায় নাম করে তার পর মাঝ-বয়সে হারিয়ে গেল এবং শেষ বয়সে মানুষ তোমাকে চিনল না, মনেও রাখল না, সেটার থেকে কষ্টের কিছু হতে পারে না৷ আমি আমার কাজ করতে করতে এক নম্বরে থাকতে থাকতে মরতে চাই৷

অন্য সময়: 'স্বাদে আহ্লাদে' হোক বা 'ঈগলের চোখ' --- আপনার ছবিতে নারীরা বেশ প্রগতিশীল৷ জটিলও৷
অরিন্দম: 'দুর্গা সহায়'-তেও তাই৷ আর ধনঞ্জয়কে নিয়ে যে ছবিটা করছি সেটাও কিন্ত্ত ধনঞ্জয়ের স্ত্রীর চোখ দিয়ে দেখা৷ আমার মনে হয় আমি মেয়েদের ভালো বুঝি৷

অন্য সময়: রহস্যটা কী?
অরিন্দম: চিরকালই আমি নারীদের প্রতি আকর্ষণ বোধ করেছি৷ তাদের সঙ্গে আমি অত্যন্ত সাবলীল৷ মাদারহুড থেকে প্রেম --- পুরো বিষয়টাতে নারী নিয়ে আমি মোহিত৷ সে জন্য আমার বেশিরভাগ বন্ধুও মহিলা৷ এই সখ্যতা বা বন্ধুতা এতটাই জোরাল যে মহিলারা আমায় বিশ্বাস করতে পারে, অনেক কিছু শেয়ার করতে পারে৷

অন্য সময়: হ্যান্ডেল করেন কী করে এত প্রেম? বাড়িতে স্ত্রী-ও তো আছেন৷
অরিন্দম: হ্যান্ডেল করতে হয় না তো৷ এটা জীবনের অঙ্গ৷ আমার কোথাও অসততা নেই৷ ঢাক-ঢাক-গুড়-গুড় নেই৷ সেই জন্যই আমি পরিস্থিতি ভালো সামাল দিতে পারি৷

অন্য সময়: আপনার থেকে সবার শেখা উচিত!
অরিন্দম: (হাসি থামছেই না) শুনুন, জীবনে ব্যল্যান্সটা খুব জরুরি৷ আমরা সিনেমা করতে এসে এতটাই বয়ে যাই যে আমাদের পারিবারিক জীবনকে উপেক্ষা করে ফেলি৷ আমি সেটা করতে পারি না৷ শুক্লা (স্ত্রী) আমাকে যথেষ্ট শক্তি দেয় বেরিয়ে এসে কাজ করার জন্য৷ আমার লক্ষ্য থাকে আমার মেয়ে যেন বলতে পারে, 'বাবা, তোমার আগের ছবির থেকে এ ছবিটা বেশি ভালো'৷ কারণ ও-ই তো এই প্রজন্ম৷ ও সত্ভাবে কিছু বলা মানে পুরো প্রজন্মটাই সে কথা বলছে৷ আর সেটা ও তখনই বলবে যখন আমাকে, আমার কাজকে বিশ্বাস করবে৷

অন্য সময়: অনেক পরিচালক এখন মুম্বই পাড়ি দেওয়ার প্ল্যান করছেন৷ আপনার কোনও উচ্চাকাঙ্খা বা প্ল্যান নেই?
অরিন্দম: উচ্চাকাঙ্খা বা প্ল্যানের কথা জানি না, তবে অফার তো রয়েইছে৷ একটা প্রায় ঠিক৷ সুজয় ঘোষ আমাকে মেন্টর করছে৷

অন্য সময়: নারী-কেন্দ্রিক?
অরিন্দম: অবশ্যই৷ বললাম না আমি প্রচণ্ড নারী ভালোবাসি৷ নারী-কেন্দ্রিক না হলে আমার অসুবিধে হয় (হাসি)৷

পরের খবর

Entertainmentসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল