রেশমী প্রামাণিক
'আরে রায়দার বৌদি' যে... কেমন আছেন, 'আপনি তো সেই ফরাসডাঙার মিত্র পরিবারের মেয়ে? বাড়ির সব কুশল তো?' এই পরিচয়ের ভিড়ে হারিয়ে যায় ছোট্টবেলার সেই মৃণালিনী। রত্না, বিপাশাদের ফুচকা খাওয়া আর গোবিন্দার সিনেমার ভক্ত সেই মিনু। এরকম কত কত মিনু যে হারিয়ে যান আমরা তার খোঁজটুকুও রাখি না। হালে মেয়েরা বিয়ের পর পদবি বদল করছেন না। কিন্তু একটা সময় ছিল যখন একরকম জোর করেই তাঁদের করতে পদবি বদল করতেহত। বরের পদবি পিছনে না জুড়লে নাকি সমাজে মান ইজ্জত থাকে না। কথা হচ্ছিল মুখার্জী দার বউ-এর পরিচালক পৃথা চক্রবর্তীর সঙ্গে। পৃথার পূর্ণ দৈর্ঘ্যের ছবি এই প্রথম। এর আগে ফাদার্স ডে আর মাদার্স ডে তে অসাধারণ দুটি ছোট ছবি বানিয়েছিলেন তিনি। কথা প্রসঙ্গে পৃথা জানালেন, ছোট থেকেই মাকে দেখেছেন সবাই বলে 'গৌতম দার' বউ। সেই নিয়ে তাঁর মায়ের একটা আক্ষেপ ছিল। তারপর ২০১৫ তে পৃথা বানান 'সাইলেন্ট ভয়েস'। পৃথার সেই সিনেমা দেখেই উইন্ডোজের কর্ণধার শিবপ্রসাদ বলেন আমাদের চারপাশের এই মানুষগুলোকে নিয়ে যদি কিছু করা যায়। কথা প্রসঙ্গে, শিবুদা বললেন, 'ধরা যাক মুখার্জী দার বউ'। আসলে আমরা মনে করি দুটো মেয়ের বন্ধুত্ব মানেই চুলোচুলি। কিন্তু সবসময় তো আর তা হয় না। তবে অনেকক্ষেত্রেই হয়। সমস্যা আমাদের মানসিকতায়। এছাড়াও গল্পের ভাবনার ক্ষেত্রে সাহায্য করেছে আমার দুই মনোবিদ বন্ধু সহেলি এবং শ্রীতমা। স্বামীর পরিচয়ে আমি বাঁচতে চাই না,নিজের পরিচয় চাই- এই ক্রাইসিসটা এখন মহিলাদের মধ্যে প্রবল আর তাঁরা সকলেই মনোবিদের কাছে যাচ্ছেন পরামর্শ নিতে। তাও কিন্তু লুকিয়ে। কেন জানেন? ধরে নেওয়া হয় তুমি মনোবিদের কাছে যাচ্ছ মানেই তুমি পাগল। এই সোশ্যাল ট্যাবু ভাঙার চেষ্টা করবে পৃথার সিনেমা।
রানাঘাটের ব্রজবালা গার্লস স্কুল থেকেই যাত্রা শুরু শোভারানী এবং অদিতির। সেদিনের সেই মেয়ে ভেবেছিল হয়তো এমন একদিন আসবে যেদিন এইকথাগুলো সবার সামনে সে বলতে পারবে। সেন্ট জেভিয়ার্স, সত্যজিৎ রায় ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইন্সটিটিউট পেরিয়ে আজ পৃথার বড়দিন। খুব স্পেশ্যাল একটি দিন। আত্মসম্মান বজায় রেখে জারি থাক পথ চলার লড়াই। থাকুক স্বপ্ন। তাইতো পৃথা বললেন,'যেভাবে নন্দিতা দি আজ আমার হাত ধরে এগিয়ে দিলেন, সেভাবেই আমিও একদিন এগিয়ে দিতে চাই অন্য পৃথাকে'।
আমাদের তরফ থেকে অনেক শুভেচ্ছা রইল পৃথার জন্য।
'আরে রায়দার বৌদি' যে... কেমন আছেন, 'আপনি তো সেই ফরাসডাঙার মিত্র পরিবারের মেয়ে? বাড়ির সব কুশল তো?' এই পরিচয়ের ভিড়ে হারিয়ে যায় ছোট্টবেলার সেই মৃণালিনী। রত্না, বিপাশাদের ফুচকা খাওয়া আর গোবিন্দার সিনেমার ভক্ত সেই মিনু। এরকম কত কত মিনু যে হারিয়ে যান আমরা তার খোঁজটুকুও রাখি না। হালে মেয়েরা বিয়ের পর পদবি বদল করছেন না। কিন্তু একটা সময় ছিল যখন একরকম জোর করেই তাঁদের করতে পদবি বদল করতেহত। বরের পদবি পিছনে না জুড়লে নাকি সমাজে মান ইজ্জত থাকে না।
রানাঘাটের ব্রজবালা গার্লস স্কুল থেকেই যাত্রা শুরু শোভারানী এবং অদিতির। সেদিনের সেই মেয়ে ভেবেছিল হয়তো এমন একদিন আসবে যেদিন এইকথাগুলো সবার সামনে সে বলতে পারবে। সেন্ট জেভিয়ার্স, সত্যজিৎ রায় ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইন্সটিটিউট পেরিয়ে আজ পৃথার বড়দিন। খুব স্পেশ্যাল একটি দিন। আত্মসম্মান বজায় রেখে জারি থাক পথ চলার লড়াই। থাকুক স্বপ্ন। তাইতো পৃথা বললেন,'যেভাবে নন্দিতা দি আজ আমার হাত ধরে এগিয়ে দিলেন, সেভাবেই আমিও একদিন এগিয়ে দিতে চাই অন্য পৃথাকে'।
আমাদের তরফ থেকে অনেক শুভেচ্ছা রইল পৃথার জন্য।