অ্যাপশহর

Aindrila Sharma : 'জিয়ন কাঠি' শিখাই, মায়ের ক্যানসার জয়ই অনুপ্রেরণা 'ফাইটার' ঐন্দ্রিলার

Aindrila Sharma Health : Cancer -এর সঙ্গে যুদ্ধে জেতার পর বর্তমানে আবার মৃত্যুর মুখোমুখি টেলি অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মা। বর্তমানে ফাইট করছেন 'জিয়ন কাঠি' খ্যাত নায়িকা। মায়ের ক্যানসার জয়ই অনুপ্রেরণা ছিল 'ফাইটার' ঐন্দ্রিলার।

Produced byপৃথা মুখোপাধ্যায় | EiSamay.Com 18 Nov 2022, 2:12 pm

হাইলাইটস

  • ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করে দু' বার জয়ী হন ঐন্দ্রিলা শর্মা।
  • Aindrila Sharma -র 'জিয়ন কাঠি' কিন্তু মা শিখা শর্মাই।
  • অতীতে ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করেছেন শিখাও।
Aindrila Sharma Mother Shikha Sharma : ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করে দু' বার জয়ী হন ঐন্দ্রিলা শর্মা। শুধুমাত্র সব্যসাচী চৌধুরীর (Sabyasachi Chowdhury) জোগানো সাহসের জোরে এত বড় যুদ্ধ জেতেননি টেলি অভিনেত্রী। তাঁর 'জিয়ন কাঠি' কিন্তু মা শিখা শর্মাই। অতীতে ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করেছেন শিখাও। সেই যুদ্ধে জয় হয়েছিল তাঁর। গত বছর আমাদের সতীর্থ টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সেই কথা জানিয়েছিলেন ঐন্দ্রিলা (Aindrila Sharma) নিজেই। সেই সময় দ্বিতীয়বার ক্যানসারকে (Aindrila Sharma Cancer) হারিয়ে জীবনের মূলস্রোতে ফিরে এসেছিলেন বাংলার জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী। নিজের ভয়াবহ অভিজ্ঞতা শেয়ার করার সময় তিনি বলেছিলেন, "পরিবার আমার সাপোর্ট সিস্টেম। আমার মাও ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছিলেন। তিনিও যুদ্ধ করেছেন। আমি তাঁর কাছ থেকেই বেঁচে থাকার অনুপ্রেরণা পাই।" ঐন্দ্রিলা আরও বলেছিলেন, "আমি ১৬টি কেমোথেরাপি এবং ৩৩টি রেডিয়েশন নিয়েছি। এক মিনিটের জন্যও আমার বাঁচার ইচ্ছে কমেনি।"

গত ১ নভেম্বর ঐন্দ্রিলা শর্মার ব্রেক স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার পর ভেঙে পড়েন শিখা শর্মাও। পেশায় নার্সিং স্টাফ শিখা এখন বিশ্বাসের জোরে মেয়েকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করে চলেছেন। প্রথমদিন হাসপাতালে যাওয়ার সাহস পাননি তিনি। কান্নায় ভেঙে পড়ে বলেছিলেন, "ওভাবে ওকে দেখতে পারব না।" তবে পরবর্তীতে যখন ঐন্দ্রিলা চিকিৎসায় সাড়া দিতে শুরু করেন, তখন হাসপাতালে পৌঁছন শিখা। ৭ নভেম্বর সব্যসাচী জানিয়েছিলেন যে ঐন্দ্রিলার মা নিজের হাতে ওঁর ফিজিওথেরাপি করাচ্ছেন। চেষ্টা করছেন মেয়েকে ফিরিয়ে আনার।
Aindrila Sharma Recent News : 'সুস্থ হয়ে ওঠ আমার প্রাণ', গুজবের মাঝে ঐন্দ্রিলাকে নিয়ে পোস্ট মা শিখা শর্মার
আসলে নিজের মেয়েকে বিপদ থেকে আড়াল করে রাখার চেষ্টা করে গিয়েছেন শিখা। ঐন্দ্রিলা নিজেই দিদি নম্বর ওয়ানে এসে জানিয়েছিলেন, লকডাউন চলাকালীন তাঁর মা কালো গোরুকে খাওয়ানোর পরামর্শ দিয়েছিলেন তাঁকে। রাশিফল অনুযায়ী কোন রঙের পোশাক পরা উচিত সেটাও ঠিক করে দিতেন। সেই পরামর্শ মেয়ে মানল কিনা দেখার জন্য ভিডিয়ো কল করতেন। ব্যাপারটা নিয়ে সেই সময় হাসাহাসি হলেও, মায়ের মন যে আগলাতে চাইত মেয়েকে।

বর্তমানে আরাধ্য দেবতার কাছে মেয়ের সুস্থতার জন্য প্রার্থনা করে চলেছেন শিখা শর্মা। ফেসবুকে ব্যাক টু ব্যাক পোস্ট করে তিনি সকলকে প্রার্থনা করার আর্জিও জানান। তবে শিখা একা নন। তাঁর মতো লাখ লাখ মায়েরা আজ মিরাকলের জন্য প্রার্থনা করছেন। ঐন্দ্রিলা যাতে সুস্থ হয়ে আবারও ফিরে আসেন, সেই কামনা করে চলেছে গোটা বাংলা।
লেখকের সম্পর্কে জানুন
পৃথা মুখোপাধ্যায়
সাত বছর ধরে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে যুক্ত পৃথা মুখোপাধ্যায়। ২০১৬ সালে কেরিয়ার শুরু করেছিলেন সংবাদপত্রে ফ্রিল্যান্স সাংবাদিকতার মাধ্যমে। ২০২১ সালের জানুয়ারি মাস থেকে এই সময় ডিজিটাল-এ কর্মরত পৃথা। প্রথমে এই সময় সংবাদপত্রের অন্য সময় বিভাগে কাজ করতেন তিনি। তারপর খবর ৩৬৫ দিন সংবাদপত্রে কাজ করেছেন। বর্তমানে এই সময় ডিজিটাল-এর বিনোদন ডেস্কে কাজ করছেন।... আরও পড়ুন

পরের খবর