সুরবেক বিশ্বাস
মেজিয়ার পায়রাশোল-দুবুরিয়া গ্রামের রাঙা মাটির পথ ধরে তখন তৃণমূলের বিশাল প্রচার মিছিল চলেছে। হঠাৎ দেখা গেল, একটি গাছে বিজেপি-র পদ্ম-পতাকা। অত্যুৎসাহী এক তৃণমূল কর্মী বাহবা কুড়োনোর জন্য চলন্ত মোটর বাইক থেকে নেমে পতাকাটা খুলে ফেলতে গেলেন। কিন্তু পতাকা বাঁধা মগডালে। মাটির ঢিপিতে উঠে এক বার, দু’বার, তিন বার লাফ দিলেন ওই যুবক। তবু পতাকা ছুঁতে পারলেন না। শেষ পর্যন্ত ধপাস করে পড়ে গেলেন।
বাঁকুড়া লোকসভা কেন্দ্রে সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের পরাজয়ের সঙ্গে ওই দৃশ্যটা যেন ভীষণ প্রতীকী।
তৃণমূলের হেভিওয়েট প্রার্থী ও রাজ্যের মন্ত্রী সুব্রত বুধবার রাতেই কলকাতায় ফিরে এসেছিলেন। খারাপ কিছু আগাম আন্দাজ করেই কি কলকাতায় ফিরে আসা? বৃহস্পতিবার তখন দুপুর প্রায় ১টা। ফোনে সুব্রত বললেন, ‘আমার তো ওখানে কিছু করার নেই। আমি সব ঠিক করে দিয়ে এসেছি।’
ততক্ষণে আর কিছু অবশ্য ঠিক নেই। প্রবীণ রাজনীতিক সুব্রত নিজেই জানালেন, ৩০ হাজারের বেশি ভোটে হারছেন। পোড় খাওয়া রাজনীতিক সুব্রত সাফ বলে দিলেন, ‘কোনও সম্ভাবনা নেই। আসল জায়গাগুলো মানে রানিবাঁধ, রাইপুরের মতো তফসিলি উপজাতি প্রভাবিত বিধানসভা ক্ষেত্রেই আমরা খারাপ করছি। তাই, এখন যা অবস্থা, সেটা আর পরে সামাল দেওয়া যাবে না।’
ঠিক সেটাই হল। সাড়ে চার ঘণ্টা পর বিজেপির সুভাষ সরকারের সঙ্গে তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের ভোটের ব্যবধান বেড়ে দাঁড়াল প্রায় দেড় লক্ষ। সংসদ ভবনে যেতে প্রস্তুত বিজেপির চিকিৎসক-প্রার্থী বললেন, ‘প্রচার করা হয়েছিল, সুব্রত মুখোপাধ্যায় হেভিওয়েট প্রার্থী। কিন্তু সাধারণ মানুষ আমাদের প্রতি আস্থা রাখবেন, এটা বরাবরই বলে আসছি। অভিজ্ঞ রাজনীতিক ও রাজ্যের মন্ত্রী তাই ফেদারওয়েট হয়ে গেলেন।’
২০১৪-র লোকসভা ভোটে তৃতীয় হওয়া সুভাষ সরকারের প্রতিদ্বন্দ্বী এ বার ছিলেন আরও এক হেভিওয়েট প্রার্থী। সিপিএমের অমিয় পাত্র। তৃণমূল শিবিরের আশা ছিল, সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির এই সদস্য প্রার্থী হওয়ায় বাম শিবির তার ভোট অনেকটা ধরে রাখতে পারবে, ফলে তারা শাসক-বিরোধী ভোট ভাগ হওয়ার সুবিধে পাবে। এই অঙ্ক মাথায় রেখে বাঁকুড়া কেন্দ্রে প্রচারে সিপিএমের বিরুদ্ধে তেমন সুর চড়ায়নি তৃণমূল। অথচ সিপিএমের প্রাক্তন জেলা সম্পাদক পেলেন প্রাপ্ত ভোটের মাত্র সাড়ে সাত শতাংশ। অমিয় পাত্রের প্রতিক্রিয়া, ‘এমনটা তো হওয়ারই ছিল। গোটা রাজ্যে যা হয়েছে, আমার কেন্দ্রে তার চেয়ে আলাদা কিছু হবে না।’ জয়ী সুভাষ সরকারের ব্যাখ্যা, ‘তৃণমূলের হাতে অত্যাচারিত সিপিএম কর্মী-সমর্থকেরা আমাদের কাছে আশ্রয় পেয়েছেন, আইনি সহায়তা পেয়েছেন, আমরা ওঁদের চিকিৎসারও ব্যবস্থা করেছি। ফলে, সিপিএম কর্মী-সমর্থকদের একাংশ আমাদের দলে যোগ দিয়েছেন, অন্যেরা আমাদের সমর্থন দিয়েছেন।’
মেজিয়ার পায়রাশোল-দুবুরিয়া গ্রামের রাঙা মাটির পথ ধরে তখন তৃণমূলের বিশাল প্রচার মিছিল চলেছে। হঠাৎ দেখা গেল, একটি গাছে বিজেপি-র পদ্ম-পতাকা। অত্যুৎসাহী এক তৃণমূল কর্মী বাহবা কুড়োনোর জন্য চলন্ত মোটর বাইক থেকে নেমে পতাকাটা খুলে ফেলতে গেলেন। কিন্তু পতাকা বাঁধা মগডালে। মাটির ঢিপিতে উঠে এক বার, দু’বার, তিন বার লাফ দিলেন ওই যুবক। তবু পতাকা ছুঁতে পারলেন না। শেষ পর্যন্ত ধপাস করে পড়ে গেলেন।
বাঁকুড়া লোকসভা কেন্দ্রে সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের পরাজয়ের সঙ্গে ওই দৃশ্যটা যেন ভীষণ প্রতীকী।
তৃণমূলের হেভিওয়েট প্রার্থী ও রাজ্যের মন্ত্রী সুব্রত বুধবার রাতেই কলকাতায় ফিরে এসেছিলেন। খারাপ কিছু আগাম আন্দাজ করেই কি কলকাতায় ফিরে আসা? বৃহস্পতিবার তখন দুপুর প্রায় ১টা। ফোনে সুব্রত বললেন, ‘আমার তো ওখানে কিছু করার নেই। আমি সব ঠিক করে দিয়ে এসেছি।’
ততক্ষণে আর কিছু অবশ্য ঠিক নেই। প্রবীণ রাজনীতিক সুব্রত নিজেই জানালেন, ৩০ হাজারের বেশি ভোটে হারছেন। পোড় খাওয়া রাজনীতিক সুব্রত সাফ বলে দিলেন, ‘কোনও সম্ভাবনা নেই। আসল জায়গাগুলো মানে রানিবাঁধ, রাইপুরের মতো তফসিলি উপজাতি প্রভাবিত বিধানসভা ক্ষেত্রেই আমরা খারাপ করছি। তাই, এখন যা অবস্থা, সেটা আর পরে সামাল দেওয়া যাবে না।’
ঠিক সেটাই হল। সাড়ে চার ঘণ্টা পর বিজেপির সুভাষ সরকারের সঙ্গে তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের ভোটের ব্যবধান বেড়ে দাঁড়াল প্রায় দেড় লক্ষ। সংসদ ভবনে যেতে প্রস্তুত বিজেপির চিকিৎসক-প্রার্থী বললেন, ‘প্রচার করা হয়েছিল, সুব্রত মুখোপাধ্যায় হেভিওয়েট প্রার্থী। কিন্তু সাধারণ মানুষ আমাদের প্রতি আস্থা রাখবেন, এটা বরাবরই বলে আসছি। অভিজ্ঞ রাজনীতিক ও রাজ্যের মন্ত্রী তাই ফেদারওয়েট হয়ে গেলেন।’
২০১৪-র লোকসভা ভোটে তৃতীয় হওয়া সুভাষ সরকারের প্রতিদ্বন্দ্বী এ বার ছিলেন আরও এক হেভিওয়েট প্রার্থী। সিপিএমের অমিয় পাত্র। তৃণমূল শিবিরের আশা ছিল, সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির এই সদস্য প্রার্থী হওয়ায় বাম শিবির তার ভোট অনেকটা ধরে রাখতে পারবে, ফলে তারা শাসক-বিরোধী ভোট ভাগ হওয়ার সুবিধে পাবে। এই অঙ্ক মাথায় রেখে বাঁকুড়া কেন্দ্রে প্রচারে সিপিএমের বিরুদ্ধে তেমন সুর চড়ায়নি তৃণমূল। অথচ সিপিএমের প্রাক্তন জেলা সম্পাদক পেলেন প্রাপ্ত ভোটের মাত্র সাড়ে সাত শতাংশ। অমিয় পাত্রের প্রতিক্রিয়া, ‘এমনটা তো হওয়ারই ছিল। গোটা রাজ্যে যা হয়েছে, আমার কেন্দ্রে তার চেয়ে আলাদা কিছু হবে না।’ জয়ী সুভাষ সরকারের ব্যাখ্যা, ‘তৃণমূলের হাতে অত্যাচারিত সিপিএম কর্মী-সমর্থকেরা আমাদের কাছে আশ্রয় পেয়েছেন, আইনি সহায়তা পেয়েছেন, আমরা ওঁদের চিকিৎসারও ব্যবস্থা করেছি। ফলে, সিপিএম কর্মী-সমর্থকদের একাংশ আমাদের দলে যোগ দিয়েছেন, অন্যেরা আমাদের সমর্থন দিয়েছেন।’