এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: ভোট মরশুমে (UP Election 2022) রাজ্যে ওপিনিয়ন পোলের (Opinion Polls) সম্প্রচার রুখতে আগেই নির্বাচন কমিশনের (Election Commission of India) দ্বারস্থ হয়েছিল সমাজবাদী পার্টি (Samajwadi Party)। আর এবার ওপিনিয়ন পোলের গোটা প্রক্রিয়াটিকেই বিশ্বাসযোগ্যহীন বলে তোপ দাগলেন সেই দলেরই প্রধান নেতা তথা উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদব (Akhilesh Yadav)। তাঁর ভাষায় ওপিনিয়ন পোল হয়ে গেল 'ওপিয়ম পোলস' (Opium Polls)! রবিবার লখনউয়ে আয়োজিত সাধারণতন্ত্র দিবসের (Republic Day) একটি অনুষ্ঠানে এই মন্তব্য করেন অখিলেশ। উত্তরপ্রদেশের যোগী সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ অনেক। বস্তুত, স্বয়ং যোগী আদিত্যনাথকে (Yogi Adityanath) নিয়েই দলের অন্দরে ক্ষোভ রয়েছে। তারপরও নিজেদের সেভাবে গুছিয়ে উঠতে পারেনি বিরোধীরা। কংগ্রেস থেকে শুরু করে সমাজবাদী পার্টি কিংবা বিএসপি, বিজেপিকে রাজ্যছাড়া করার ডাক দিয়েছে সব পক্ষই। কিন্তু, বিরোধী দল হিসাবে সকলেই কমবেশি নড়বড়ে। এই অবস্থায় দিন কয়েক আগে কংগ্রেস এবং বিজেপি ছেড়ে সপা-য় যোগদানের হিড়িক চোখে পড়লেও বিষয়টিকে পাত্তা দিতে নারাজ গেরুয়া শিবির। তাদের বক্তব্য, টিকিট না পেয়েই দল ছাড়ছেন নেতাদের একাংশ। কিন্তু, তাতে দলের কোনও ক্ষতি হবে না। অন্যদিকে, বর্তমান প্রেক্ষাপটে উত্তরপ্রদেশের মাটিতে কংগ্রেসের বড় কিছু হারানোর নেই বলেই মত ওয়াকিবহাল মহলের।
এই অবস্থায় সপা দ্বারস্থ হয়েছে বাংলার শাসকদলের। মোদি-শাহ-যোগীদের বিরুদ্ধে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) মাঠে নামানোর ছক কষেছেন অখিলেশ। চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনের আগে জাতীয় স্তরে দলের ভিত পোক্ত করতে মরিয়া মমতা তাতে সায়ও দিয়েছেন। কিন্তু বাংলার মেয়ে গোবলয়ে কতটা সুবিধা করে উঠতে পারবেন, সেই বিষয়ে সন্দেহের অবকাশ রয়েছে যথেষ্ট। এই প্রেক্ষাপটে বিজেপি বিরোধীদের রক্তচাপ বাড়িয়েছে একের পর এক ওপিনিয়ন পোল। তাদের পূর্বাভাস, খুব বড় কোনও অঘটন না ঘটলে উত্তরপ্রদেশে ক্ষমতায় ফিরতে চলেছে বিজেপিই।
সপা নেতৃত্বের বক্তব্য হল, এই ধরনের ওপিনিয়ন পোল আদতে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। ভোটারদের প্রভাবিত করতেই লড়াইয়ের আগে রাজ্যের শাসকদলকে কার্যত বিজয়ীর আসনে বসিয়ে দেওয়া হচ্ছে। গত রবিবার এই বিষয়ে নির্বাচন কমিশনকে নিজেদের আপত্তির কথা জানিয়ে চিঠি লেখেন সপা নেতা নরেশ উত্তম প্যাটেল (Naresh Uttam Patel)। তাঁর দাবি, অবিলম্বে টিভি চ্যানেলগুলিতে ওপিনিয়ন পোল সংক্রান্ত সম্প্রচার বন্ধ করা হোক। এই ধরনের অনুষ্ঠান আদর্শ আচরণবিধির (Model Code of Conduct) পরিপন্থী বলেও চিঠিতে উল্লেখ করেন তিনি। মঙ্গলবার একই দাবি জানিয়ে কমিশনের দ্বারস্থ হন সপা-র জোটসঙ্গী রাষ্ট্রীয় লোক দলের (Rashtriya Lok Dal) নেতা অনিল দুবে (Anil Dubey)।
গত বছরের অক্টোবর মাসে মায়াবতীর দল বহুজন সমাজ পার্টির (Bahujan Samaj Party) পক্ষ থেকেও পরবর্তী ছয় মাসের জন্য রাজ্যে সমস্তরকম ওপিনিয়ন পোল নিষিদ্ধ করার দাবি জানানো হয়েছিল। লখনউয়ে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে মায়াবতী বলেছিলেন, একুশের বিধানসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গেও একই ফর্মুলা কাজে লাগানোর চেষ্টা করেছিল বিজেপি। ভোটের আগেই কার্যত বাংলা জয় করে নিয়েছিল তারা। কিন্তু, মানুষের রায় গিয়েছিল একেবারে উল্টো পথে।
আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে ভোট হবে উত্তরপ্রদেশে। সাত দফা লড়াইয়ের ফল বেরোবে মার্চের ১০ তারিখ। রাজনীতির কারবারিদের একটা বড় অংশই মনে করেন, ৪০৩ আসনের উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা যার দখলে থাকবে, আগামীতে দিল্লির মসনদেও সেই বসবে। এদিকে, সময়ের সঙ্গে মোদি ম্যাজিক এখন অনেকটাই ফিকে। তবে বিরোধীরা এখনও ছন্নছাড়া। এই অবস্থায় চব্বিশের সাধারণ নির্বাচনের আগে যোগীরাজ্য হাতছাড়া করতে নারাজ পদ্ম শিবির। আর সেই কারণেই রীতিমতো পরিকল্পিতভাবে বিজেপির পক্ষে ওপিনিয়ম পোল করানোর হচ্ছে বলে অভিযোগ বিরোধীদের।
এই অবস্থায় সপা দ্বারস্থ হয়েছে বাংলার শাসকদলের। মোদি-শাহ-যোগীদের বিরুদ্ধে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) মাঠে নামানোর ছক কষেছেন অখিলেশ। চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনের আগে জাতীয় স্তরে দলের ভিত পোক্ত করতে মরিয়া মমতা তাতে সায়ও দিয়েছেন। কিন্তু বাংলার মেয়ে গোবলয়ে কতটা সুবিধা করে উঠতে পারবেন, সেই বিষয়ে সন্দেহের অবকাশ রয়েছে যথেষ্ট। এই প্রেক্ষাপটে বিজেপি বিরোধীদের রক্তচাপ বাড়িয়েছে একের পর এক ওপিনিয়ন পোল। তাদের পূর্বাভাস, খুব বড় কোনও অঘটন না ঘটলে উত্তরপ্রদেশে ক্ষমতায় ফিরতে চলেছে বিজেপিই।
সপা নেতৃত্বের বক্তব্য হল, এই ধরনের ওপিনিয়ন পোল আদতে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। ভোটারদের প্রভাবিত করতেই লড়াইয়ের আগে রাজ্যের শাসকদলকে কার্যত বিজয়ীর আসনে বসিয়ে দেওয়া হচ্ছে। গত রবিবার এই বিষয়ে নির্বাচন কমিশনকে নিজেদের আপত্তির কথা জানিয়ে চিঠি লেখেন সপা নেতা নরেশ উত্তম প্যাটেল (Naresh Uttam Patel)। তাঁর দাবি, অবিলম্বে টিভি চ্যানেলগুলিতে ওপিনিয়ন পোল সংক্রান্ত সম্প্রচার বন্ধ করা হোক। এই ধরনের অনুষ্ঠান আদর্শ আচরণবিধির (Model Code of Conduct) পরিপন্থী বলেও চিঠিতে উল্লেখ করেন তিনি। মঙ্গলবার একই দাবি জানিয়ে কমিশনের দ্বারস্থ হন সপা-র জোটসঙ্গী রাষ্ট্রীয় লোক দলের (Rashtriya Lok Dal) নেতা অনিল দুবে (Anil Dubey)।
গত বছরের অক্টোবর মাসে মায়াবতীর দল বহুজন সমাজ পার্টির (Bahujan Samaj Party) পক্ষ থেকেও পরবর্তী ছয় মাসের জন্য রাজ্যে সমস্তরকম ওপিনিয়ন পোল নিষিদ্ধ করার দাবি জানানো হয়েছিল। লখনউয়ে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে মায়াবতী বলেছিলেন, একুশের বিধানসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গেও একই ফর্মুলা কাজে লাগানোর চেষ্টা করেছিল বিজেপি। ভোটের আগেই কার্যত বাংলা জয় করে নিয়েছিল তারা। কিন্তু, মানুষের রায় গিয়েছিল একেবারে উল্টো পথে।
আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে ভোট হবে উত্তরপ্রদেশে। সাত দফা লড়াইয়ের ফল বেরোবে মার্চের ১০ তারিখ। রাজনীতির কারবারিদের একটা বড় অংশই মনে করেন, ৪০৩ আসনের উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা যার দখলে থাকবে, আগামীতে দিল্লির মসনদেও সেই বসবে। এদিকে, সময়ের সঙ্গে মোদি ম্যাজিক এখন অনেকটাই ফিকে। তবে বিরোধীরা এখনও ছন্নছাড়া। এই অবস্থায় চব্বিশের সাধারণ নির্বাচনের আগে যোগীরাজ্য হাতছাড়া করতে নারাজ পদ্ম শিবির। আর সেই কারণেই রীতিমতো পরিকল্পিতভাবে বিজেপির পক্ষে ওপিনিয়ম পোল করানোর হচ্ছে বলে অভিযোগ বিরোধীদের।