এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: এবার কি তবে যোগী বনাম প্রিয়াঙ্কার লড়াই দেখবে গোটা দেশ? শুক্রবার যেন কিছুটা তেমনই ইঙ্গিত দিলেন কংগ্রেস নেত্রী। এদিন উত্তরপ্রদেশ নির্বাচনের ইস্তেহার প্রকাশ অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী (Priyanka Gandhi) বলেন, 'আমার মুখ এ রাজ্যের সর্বত্র চোখে পড়বে আপনাদের।' একটি সর্বভারতীয় বৈদ্যুতিন সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রিয়াঙ্কা জানান, নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন তিনি। যদিও তিনিই এ রাজ্যে কংগ্রেসের মুখ কিনা অর্থাৎ মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে লড়বেন কিনা, তা নিয়ে স্পষ্ট করে কিছু জানাননি। গোটা দেশেই এখন একটাই প্রশ্ন। উত্তরপ্রদেশ নির্বাচনে মুখ্যমন্ত্রীর মুখ কে? এদিন প্রিয়াঙ্কা গান্ধি বঢরার ইঙ্গিতে সেই চর্চা আরও বেড়ে গিয়েছে। জল্পনা জিইয়ে রেখেই কংগ্রেস নেত্রী এদিন জানান, নির্বাচনের প্রচারে সর্বত্রই তাঁর মুখ দেখা যাবে। ইতিমধ্যেই যোগী আদিত্যনাথ এবং অখিলেশ যাদব (Akhilesh Yadav) নির্বাচনে লড়ার কথা ঘোষণা করে দিয়েছেন। তবে প্রিয়াঙ্কার তরফে ইঙ্গিত এই প্রথম। এদিন ইস্তেহার প্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রিয়াঙ্কাকে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন, উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেসের মুখ কে? প্রিয়াঙ্কা জবাবে বলেন, 'আপনাদের কি অন্য কারও মুখ নজরে আসছে কংগ্রেসের তরফে? তাহলে সব জায়গায় আমার চেহারা দেখতে পাচ্ছেন তো!' তিনি কি ভোটে লড়বেন? উত্তরে কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক বলেছেন, 'যখন সেটা ঠিক হবে আপনারা জানতে পারবেন। এখনও আমরা কোনও সিদ্ধান্ত নিইনি।'
পাশাপাশি কংগ্রেস কি ভোটপরবর্তী পর্বে জোট করবে? প্রিয়াঙ্কা বলেছেন, 'আমাদের নীতি নারী এবং যুবদের জন্য প্রতিশ্রুতি রক্ষার পথেই থাকবে। তাতে যাদের সঙ্গে থাকার থাকব। সে ক্ষেত্রে সবরকম সমঝোতার রাস্তায় হাঁটব।'
এদিন প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে কংগ্রেসের ইস্তেহার প্রকাশ অনুষ্ঠানে ছিলেন রাহুল গান্ধীও (Rahul Gandhi)। তিনি এদিন বলেন, 'আমরা বলছি না ১০ লাখ, ২০ লাখ বা ৪০ লাখ চাকরি দেব। আমরা বলছি আমরা নীতি তৈরি করেছি চাকরি দেওয়ার জন্য। উত্তরপ্রদেশে প্রতিদিন গড়ে ৮৮০ জন চাকরি হারান। গত পাঁচ বছরে BJP-র শাসনকালে ১৬ লাখ মানুষ কাজ হারিয়েছেন। মনে রাখবেন, প্রধানমন্ত্রী বছরে ২ কোটি চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু, ভারতকে নতুন দিশা দেখাতে পারে একমাত্র কংগ্রেস। ছোট দলগুলি সেটা করতে পারবে না। আর BJP-র দিশা দেশের দিশা নয়। ভারতের দরকার নতুন দিশা। ২০১৪ সালে BJP যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তা ব্যর্থ হয়েছে। নতুন দিশার প্রয়োজন। যদি ভারতকে নতুন দিশা দেখাতে হয় তাহলে তা উত্তরপ্রদেশ থেকে শুরু করতে হবে। আমরা উত্তরপ্রদেশের জন্য নতুন চিন্তাভাবনা করছি।'
প্রিয়াঙ্কার সংযোজন, 'কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে রাজ্যে ২০ লাখ সরকারি চাকরি দেবে। সরকারি প্রতিষ্ঠানে শূন্যপদ পূরণ হবে। প্রাথমিক স্কুলে দেড় লাখ খালি পদ রয়েছে। ৩৮ হাজার পদ রয়েছে মাধ্যমিক স্তরের স্কুলে। ৮ হাজার উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। সেগুলি পূরণ করা হবে। ৬ হাজার চিকিৎসকের পদ, ২০ হাজার অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীর পদ খালি রয়েছে। সেগুলিও পূরণ করা হবে।'
পাশাপাশি কংগ্রেস কি ভোটপরবর্তী পর্বে জোট করবে? প্রিয়াঙ্কা বলেছেন, 'আমাদের নীতি নারী এবং যুবদের জন্য প্রতিশ্রুতি রক্ষার পথেই থাকবে। তাতে যাদের সঙ্গে থাকার থাকব। সে ক্ষেত্রে সবরকম সমঝোতার রাস্তায় হাঁটব।'
এদিন প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে কংগ্রেসের ইস্তেহার প্রকাশ অনুষ্ঠানে ছিলেন রাহুল গান্ধীও (Rahul Gandhi)। তিনি এদিন বলেন, 'আমরা বলছি না ১০ লাখ, ২০ লাখ বা ৪০ লাখ চাকরি দেব। আমরা বলছি আমরা নীতি তৈরি করেছি চাকরি দেওয়ার জন্য। উত্তরপ্রদেশে প্রতিদিন গড়ে ৮৮০ জন চাকরি হারান। গত পাঁচ বছরে BJP-র শাসনকালে ১৬ লাখ মানুষ কাজ হারিয়েছেন। মনে রাখবেন, প্রধানমন্ত্রী বছরে ২ কোটি চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু, ভারতকে নতুন দিশা দেখাতে পারে একমাত্র কংগ্রেস। ছোট দলগুলি সেটা করতে পারবে না। আর BJP-র দিশা দেশের দিশা নয়। ভারতের দরকার নতুন দিশা। ২০১৪ সালে BJP যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তা ব্যর্থ হয়েছে। নতুন দিশার প্রয়োজন। যদি ভারতকে নতুন দিশা দেখাতে হয় তাহলে তা উত্তরপ্রদেশ থেকে শুরু করতে হবে। আমরা উত্তরপ্রদেশের জন্য নতুন চিন্তাভাবনা করছি।'
প্রিয়াঙ্কার সংযোজন, 'কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে রাজ্যে ২০ লাখ সরকারি চাকরি দেবে। সরকারি প্রতিষ্ঠানে শূন্যপদ পূরণ হবে। প্রাথমিক স্কুলে দেড় লাখ খালি পদ রয়েছে। ৩৮ হাজার পদ রয়েছে মাধ্যমিক স্তরের স্কুলে। ৮ হাজার উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। সেগুলি পূরণ করা হবে। ৬ হাজার চিকিৎসকের পদ, ২০ হাজার অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীর পদ খালি রয়েছে। সেগুলিও পূরণ করা হবে।'