অ্যাপশহর

বেসরকারি থেকে সরকারি স্কুলে যাচ্ছে গুজরাতের পড়ুয়ারা: রিপোর্ট

বেসরকারি স্কুল ছেড়ে গত কয়েকবছর ধরে সরকারি স্কুলে ভর্তি হওয়ার পথে হাঁটছে গুজরাতের পড়ুয়ারা। গুজরাত সরকারের প্রাথমিক শিক্ষা দফতরের একটি রিপোর্টে এমনই তথ্য উঠে এসেছে। কিন্তু ঠিক কী কারণে ছাত্র-ছাত্রীরা বেসরকারি স্কুল ছেড়ে সরকারি স্কুলে ভর্তি হচ্ছে? কী বলছেন পড়ুয়াদের অভিভাবকরা? কী বলছে সে রাজ্যের সরকারি প্রাথমিক শিক্ষা দফতর?

Produced byDebnil Saha | Lipi 28 Jun 2022, 2:33 pm
সম্প্রতি গুজরাতে একটা নতুন ট্রেন্ড লক্ষ্য করা যাচ্ছে। দেখা যাচ্ছে যে বেসরকারি স্কুলের পড়ুয়াদের অনেকেই সরকারি স্কুলে ভর্তি হচ্ছে। সরকারি শিক্ষাব্যবস্থার মানোন্নয়নই এর কারণ বলে মনে করা হচ্ছে।
EiSamay.Com Gujarat school Cover Image


গুজরাত সরকারের প্রাথমিক শিক্ষা দফতরের দেওয়া তথ্য বলছে, “2018-19 সালে 33,822 জন এবং 2019-20 সালে 31,382 জন পড়ুয়া বেসরকারি স্কুল থেকে সরকারি স্কুলে ভর্তি হয়েছেন। একই সময়ে বনসকান্থা জেলার পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সংখ্যাটা হল 2707 এবং 2969।”

বনসকান্থা জেলার প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সঞ্জয় পরমার এএনআইকে জানান, “প্রাইভেট থেকে সরকারি স্কুলে আসা পড়ুয়াদের সংখ্যাটা ভালোমতোই বাড়ছে। এবছর ছটি বেসরকারি স্কুল বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে আমরা 3300 এমন পড়ুয়াকে ভর্তি করেছি, যারা আগে বেসরকারি স্কুলে পড়ছিল। আমাদের আশা, সংখ্যাটা অন্তত 4000-এ পৌঁছবে।”

আরও পড়ুন: বিধি ভাঙলেই বন্ধ স্কুল, বোঝাবেন শিক্ষকরা

তিনি আরও জানান, “জেলার 2352 সরকারি স্কুলে এখন প্রায় 3.50 লাখ পড়ুয়া রয়েছে। মিশন স্কুল অফ এক্সেলেন্সের আওতায় স্কুলগুলোতে সুযোগ সুবিধে বাড়ানো হয়েছে। এর ফলে আরও বেশি সংখ্যায় পড়ুয়া সরকারি স্কুলে ভর্তি হচ্ছে।”

স্থানীয় বাসিন্দারাও বলছেন, সরকারি স্কুলের মান গত কয়েক বছরে অনেকটাই উন্নত হয়েছে। বনসকান্থার দান্তিওয়াড়ার উত্তমপুরা গ্রিন প্রাইমারি স্কুলের প্রধানশিক্ষক কমলেশ ঠাক্কর বলেন, “যোগ্য শিক্ষক নিয়োগ করে শিক্ষাদানের মানোন্নয়ন শুধু নয়, সরকার পড়ুয়াদের বিভিন্ন স্কলারশিপ, মিড ডে মিলও দিচ্ছে। আমাদের ডিজিটাল ক্লাসরুম, ল্যাবরেটরি, লাইব্রেরি, সুইমিং পুলের পাশাপাশি RO প্ল্যান্টও রয়েছে, যার মাধ্যমে পড়ুয়া নিখরচায় পরিশুদ্ধ পানীয় জল পেতে পারে। এর ফলে অভিভাবকরা বেসরকারি স্কুল ছেড়ে আমাদের স্কুলে আসছেন। গতবছর আমরা ন’জন এমন পড়ুয়া পেয়েছিলাম। এবছর এর মধ্যেই সাতজন এমন ভর্তি হয়েছে, যারা আগে পালানপুরের নামকরা প্রাইভেট স্কুলে পড়ছিল।”

ঠক্কর জানান, “এই মুহূর্তে স্কুলে 430 জন পড়ুয়া রয়েছে, যাদের মধ্যে বেশিরভাগই গ্রামের বাইরে থেকে আসে। আমাদের শিক্ষকরা যথেষ্ট দক্ষ। তাঁদের কেউ কেউ এম ফিল এবং ডক্টরেটও করে ফেলেছেন। সুতরাং এখানে যারা পড়তে আসবে, যোগ্য লোকেদের হাতেই তাদের দায়িত্ব থাকবে।”

আরও পড়ুন: বেসরকারি স্কুল ফি: সীমা বেঁধে দিতে পারে শিক্ষা কমিশন

স্কুলের এক খুদে পড়ুয়া আকশা সম্প্রতি প্রাইভেট স্কুল ছেড়ে এখানে পড়তে এসেছে। সে জানাল, “এখানে খুব ভাল করে পড়ানো হয়। শিক্ষকরা খুব যত্নে আমাদের শেখান। আমরা ডিজিটাল ক্লাসরুমেও কিছু বিষয় পড়ি।”

এখানকারই এক পড়ুয়ার দাদু, শান্তিভাই পরমার বলেন, “স্কুলের ক্যাম্পাসটা বিরাট। পড়ানোও খুব ভাল। ভবিষ্যত প্রজন্মের ভার যোগ্য হাতেই রয়েছে দেখে ভালো লাগে, আবার অভিভাবকদের ওপর বাড়তি আর্থিক বোঝাও চাপে না।”
লেখকের সম্পর্কে জানুন
Debnil Saha
Debnil Saha is working as a Consultant in Eisamay.com, Bengali News website of the Times Internet, a product of the Times of India Group.... আরও পড়ুন

পরের খবর

Education newsসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল