অ্যাপশহর

এক বিষয়ে পরীক্ষা, অন্য বিষয়ে নম্বরে বেনজির বিভ্রাট কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে

আজব ব্যাপার! বাড়ি বসে এক বিষয়ে পরীক্ষা দিয়ে মিলছে অন্য বিষয়ে নম্বর। বেনজির সঙ্কট Calcutta University-তে। মার্কশিট সংশোধন করতে গিয়ে হয়রানির শিকার পড়ুয়ারা।

Ei Samay 17 Jul 2021, 1:07 pm

হাইলাইটস

  • পরীক্ষা দিয়েছিলেন এক বিষয়ে। অথচ রেজাল্ট বেরিয়েছে অন্য বিষয়ের।
  • বেশির ভাগই সেই বিষয়ে ফেল করেছেন অথবা অনুপস্থিত ছিলেন।
  • অন্য বিষয়ের নম্বর আসায় আতান্তরে পড়েছেন পড়ুয়ারা।
EiSamay.Com Students
প্রতীকী ছবি
এই সময়: তাঁরা পরীক্ষা দিয়েছিলেন এক বিষয়ে। অথচ রেজাল্ট বেরিয়েছে অন্য বিষয়ের। বেশির ভাগই সেই বিষয়ে ফেল করেছেন অথবা অনুপস্থিত ছিলেন। আর পড়ুয়াদের দাবি, তাঁরা যা নিয়ে পড়াশোনা করছেন, সেই বিষয়েই অনলাইন পরীক্ষা দিয়েছেন। এখন অন্য বিষয়ের নম্বর আসায় আতান্তরে পড়েছেন পড়ুয়ারা।
মার্কশিট সংশোধনের জন্য এই অতিমারির মধ্যে একবার কলেজ আর এক বার বিশ্ববিদ্যালয়ে ছোটাছুটি করতে হচ্ছে কলকাতা ও সংলগ্ন জেলার বেশ ক'জন ছাত্রছাত্রীকে। এঁদের নিয়ে কী করা হবে, সে ব্যাপারে কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয় কেউই সমাধান সূত্র বের করতে পারছে না।

শুক্রবারও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে ছিলেন বিদ্যাসাগর, মৌলানা আজাদ, সুরেন্দ্রনাথ, নব বালিগঞ্জ, হুগলির রাজা প্যারীমোহন কলেজের এমন একদল পড়ুয়া। যাঁদের অভিযোগ, কেউ দ্বিতীয় বা চতুর্থ সেমেস্টারে জেনেরিক ইলেকটিভে সমাজতত্ত্বের পরীক্ষা দিয়ে হাতে পেয়েছেন ইতিহাসের রেজাল্ট, কেউ জুলজি পরীক্ষা দিয়ে পেয়েছেন ফিজিওলজির নম্বর। অথচ পরীক্ষার সময়ে তাঁদের বেছে নেওয়া বিষয়ের প্রশ্নপত্রই পেয়েছিলেন অনলাইনে। খাতাও জমা করেছিলেন।

একদিনে দু'টি অনার্স পেপার, ক্ষুদ্ধ পড়ুয়ারা
সুরেন্দ্রনাথ কলেজের এক ছাত্রীর বক্তব্য, 'আমি থাকি বারুইপুরে। সমস্যার জন্য এই নিয়ে পাঁচ দিন কলকাতায় আসতে হলো। এ দিকে ট্রেনে উঠতে দিচ্ছে না। আমি ইতিহাসের পরীক্ষা দিয়ে সমাজতত্ত্বের নম্বর পেয়েছি। কলেজ দেখাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়, আর বিশ্ববিদ্যালয়ের কারও সঙ্গে সে ভাবে কথাই বলতে পারছি না।' মৌলানা আজাদ কলেজের এক ছাত্রেরও এক রকম সমস্যা। সমাধানের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে দাবিপত্র পেশ করেছে ক্যালকাটা ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্টস ইউনিটি নামে একটি ছাত্র মঞ্চ।

কিন্তু পড়ুয়াদের এই সমস্যা কেন, তার স্পষ্ট কারণ জানা যাচ্ছে না। বিদ্যাসাগর কলেজের অধ্যক্ষ গৌতম কুণ্ডু বলেন, 'গত বছর অতিমারির কারণে দ্বিতীয় ও চতুর্থ সেমেস্টারের পড়ুয়াদের পরীক্ষার ফর্ম পূরণ হয়নি। ফলে কে কোন বিষয় নিয়েছে, সেটা আমরা বা বিশ্ববিদ্যালয় কেউই স্পষ্ট করতে পারছি না।

অন্য দিকে ফর্ম পূরণ না-হওয়ায় পড়ুয়ারাও কোনও পোক্ত প্রমাণ দেখাতে পারছে না।' সুরেন্দ্রনাথ কলেজের অধ্যক্ষ ইন্দ্রনীল কর বলেন, 'হয় পড়ুয়াদের নতুন করে সাপ্লিমেন্টারি পরীক্ষা দিতে হবে। নাহলে বিশ্ববিদ্যালয়কে নির্দেশ দিতে হবে, এই পড়ুয়াদের জমা করা খাতা রেকর্ড থেকে বের করে রেজাল্ট পুনরায় প্রকাশ করার।'

ক্যাম্পাসে নয়, অনলাইনেই ভর্তি কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে
বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে এমন সমস্যা নতুন। সহ-উপাচার্য (শিক্ষা) আশিস চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, অনেকগুলি কলেজ থেকে অনেক পড়ুয়াই এমন গোলমালে যোগাযোগ করেছেন। ভুল কোন দিক থেকে হয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সমাধানের রাস্তা অবশ্য আপাতত কিছু বেরোয়নি। সহ-উপাচার্যের আশ্বাস, 'ধৈর্য ধরে সমস্যার সমাধান করতে হবে।'

পরের খবর

Education newsসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল