NEET Exam: ছিলেন ইঞ্জিনিয়ার! এবার হবেন ডাক্তার। হ্যাঁ, সম্প্রতি এমনই এক নজির সৃষ্টি করতে চলেছে মুম্বাইয়ের বাসিন্দা বছর ২৯-এর আর্কিতি গোয়েল। ২০১৫-তে দেশের প্রথমসারির ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ BITS Pilani থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করেন তিনি। এরপর বেশ কিছু সংস্থায় কাজও করেন তিনি। বেশ কিছু প্রোজেক্ট ও স্টার্ট-আপের হয়ে কাজ করছিলেন তিনি। তবে দিনে ১৪ ঘণ্টা কাজ করার ফলে শারীরিক ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। ফলে,করোনা অতিমারির সময়কালে ছাড়তে হয় চাকরি। দীর্ঘ এক বছর কাজের বাইরে থাকার পর, একটি সম্পূর্ণ নতুন কেরিয়ারের দিকে পা বাড়াচ্ছেন তিনি।
করোনা অতিমারির সময়কালে ডাক্তারি প্রবেশিকা পরীক্ষা National Eligibility cum Entrance Test (NEET UG) পরীক্ষায়, সারা দেশে ১,১১৮ তম র্যাঙ্ক করেছেন আর্কিতি। প্রথমে নিজেই নিজের এই সাফল্যের বিষয়টি বিশ্বাস করতে পারেননি তিনি। এই র্যাঙ্কের সুবাদে রাজ্য স্তরে প্রথম ১০০-র মধ্যে অনায়াসেই নিজের জায়গা করে নিতে পারবেন তিনি। ফলে, মহারাষ্ট্রের কোনও সরকারি মেডিক্যাল কলেজে অনায়াসেই ভর্তি হতে পারবেন আর্কিতি। ২৯ বছর বয়সে ডাক্তারি পড়ার বিষয়টি নিয়ে উচ্ছ্বসিত তিনি। এখন শুরু করলে ৩৫ বছরের মধ্যে MBBS পাশ করে ফেলতে পারেন তিনি। অন্যদিকে, ৪০ বছরের মধ্যে হয়ে যেতে পারেন সার্জেন। কিন্তু এই মুহূর্তে সেসব নিয়ে কিছুই ভাবছেন না তিনি। জীবন তাঁকে যেই দিকে নিয়ে যাবে, সেই দিকেই যেতে প্রস্তুত আর্কিতি।
জীবনে কোনও কিছু অর্জন করার ক্ষেত্রে বয়স কখনই বাধা হয়ে দাড়াতে পারেনা বলেই মত আর্কিতির। "আমাদের মধ্যে পুরনো স্টেরিওটাইপ ধারণা রয়েছে যে যা হওয়ার তা হয়ে গেছে এবং নতুন করে নিজের কেরিয়ার শুরু করা সম্ভব নয়। মানুষ নিজের পছন্দগুলি ৩০, ৪০ এমনকি ৫০ বছর বয়সেও খুঁজে বার করতে পারেন ও তা নিয়ে অগ্রসর হতে পারেন," বলেন তিনি।
আন্তর্জাতিক সংস্থায় কাজ করতে কখনই পছন্দ করেননি আর্কিতি। কোনও ছোট সংস্থায় কাজ করে সেখানে বড় কিছু করার কথাই সবসময় ভেবেছেন তিনি। এই কারণে ২০১৫-র ক্যাম্পাস প্লেসমেন্ট থেকে নিজের নাম প্রত্যাহার করে নেন তিনি। খুঁজতে শুরু করেন স্টার্ট-আপে কাজ করার সুযোগ।
দুই-একটা স্টার্ট-আপে কাজ করার পর নিজের একটি স্টার্ট-আপ শুরু করেন আর্কিতি। কিন্তু সেখানে সাফল্য না পাওয়ায় ২০১৮-তে ফের একটি স্টার্ট-আপের সঙ্গে যুক্ত হন তিনি। কিন্তু কাজের চাপে অসুস্থ হওয়ার পর গত ২০২০ সালের মার্চ মাসে চাকরি ছেড়ে দেন তিনি। করোনা অতিমারির সময়কালে বাড়িতে ছবি আঁকা ও যোগাসনে মন দেন তিনি। সেই সময়ই ডাক্তারি পড়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি।
সেই মতো প্রস্তুতি শুরু করে দেন আর্কিতি। অতঃপর, ২০২১ সালের NEET পরীক্ষায় এল সাফল্য। আগামীদিনে ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হলে চলেছেন তিনি। এই পুরো সময়কালে বাবা-মায়ের সমর্থন পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। "প্রথমে অবাক হলেও পরের দিকে পড়াশোনা করতে উৎসাহ দিয়েছেন তাঁরা," বলেন আর্কিতি।
করোনা অতিমারির সময়কালে ডাক্তারি প্রবেশিকা পরীক্ষা National Eligibility cum Entrance Test (NEET UG) পরীক্ষায়, সারা দেশে ১,১১৮ তম র্যাঙ্ক করেছেন আর্কিতি। প্রথমে নিজেই নিজের এই সাফল্যের বিষয়টি বিশ্বাস করতে পারেননি তিনি। এই র্যাঙ্কের সুবাদে রাজ্য স্তরে প্রথম ১০০-র মধ্যে অনায়াসেই নিজের জায়গা করে নিতে পারবেন তিনি। ফলে, মহারাষ্ট্রের কোনও সরকারি মেডিক্যাল কলেজে অনায়াসেই ভর্তি হতে পারবেন আর্কিতি। ২৯ বছর বয়সে ডাক্তারি পড়ার বিষয়টি নিয়ে উচ্ছ্বসিত তিনি। এখন শুরু করলে ৩৫ বছরের মধ্যে MBBS পাশ করে ফেলতে পারেন তিনি। অন্যদিকে, ৪০ বছরের মধ্যে হয়ে যেতে পারেন সার্জেন। কিন্তু এই মুহূর্তে সেসব নিয়ে কিছুই ভাবছেন না তিনি। জীবন তাঁকে যেই দিকে নিয়ে যাবে, সেই দিকেই যেতে প্রস্তুত আর্কিতি।
জীবনে কোনও কিছু অর্জন করার ক্ষেত্রে বয়স কখনই বাধা হয়ে দাড়াতে পারেনা বলেই মত আর্কিতির। "আমাদের মধ্যে পুরনো স্টেরিওটাইপ ধারণা রয়েছে যে যা হওয়ার তা হয়ে গেছে এবং নতুন করে নিজের কেরিয়ার শুরু করা সম্ভব নয়। মানুষ নিজের পছন্দগুলি ৩০, ৪০ এমনকি ৫০ বছর বয়সেও খুঁজে বার করতে পারেন ও তা নিয়ে অগ্রসর হতে পারেন," বলেন তিনি।
আন্তর্জাতিক সংস্থায় কাজ করতে কখনই পছন্দ করেননি আর্কিতি। কোনও ছোট সংস্থায় কাজ করে সেখানে বড় কিছু করার কথাই সবসময় ভেবেছেন তিনি। এই কারণে ২০১৫-র ক্যাম্পাস প্লেসমেন্ট থেকে নিজের নাম প্রত্যাহার করে নেন তিনি। খুঁজতে শুরু করেন স্টার্ট-আপে কাজ করার সুযোগ।
দুই-একটা স্টার্ট-আপে কাজ করার পর নিজের একটি স্টার্ট-আপ শুরু করেন আর্কিতি। কিন্তু সেখানে সাফল্য না পাওয়ায় ২০১৮-তে ফের একটি স্টার্ট-আপের সঙ্গে যুক্ত হন তিনি। কিন্তু কাজের চাপে অসুস্থ হওয়ার পর গত ২০২০ সালের মার্চ মাসে চাকরি ছেড়ে দেন তিনি। করোনা অতিমারির সময়কালে বাড়িতে ছবি আঁকা ও যোগাসনে মন দেন তিনি। সেই সময়ই ডাক্তারি পড়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি।
সেই মতো প্রস্তুতি শুরু করে দেন আর্কিতি। অতঃপর, ২০২১ সালের NEET পরীক্ষায় এল সাফল্য। আগামীদিনে ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হলে চলেছেন তিনি। এই পুরো সময়কালে বাবা-মায়ের সমর্থন পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। "প্রথমে অবাক হলেও পরের দিকে পড়াশোনা করতে উৎসাহ দিয়েছেন তাঁরা," বলেন আর্কিতি।