এই সময়: একই সঙ্গে দুই সমীক্ষায় ভিন্ন চিত্র ধরা পড়লো রাজ্যের স্কুলশিক্ষা ব্যবস্থার। বেসরকারি একটি সংস্থার সমীক্ষায় দাবি করা হয়েছে, করোনা অতিমারিকালে স্কুল বন্ধ থাকার কারণে ১০০ জনের মধ্যে ৯২ জন শিশুই ভুলে গিয়েছে স্কুলে শেখা ভাষার প্রাথমিক পাঠ। শতকরা হিসেবে ৮২ জন ভুলেছে সাধারণ যোগ-বিয়োগও। অন্য দিকে সরকারি সমীক্ষা রিপোর্টে স্কুলস্তরে পরিকাঠামো উন্নয়নের স্বস্তির চিত্রই প্রকাশ পেয়েছে। ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য শৌচালয় ১০০ শতাংশ স্কুলেই রয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে সমগ্র শিক্ষা অভিযানের সাম্প্রতিকতম বার্ষিক রিপোর্টে। স্কুলে বিদ্যুতের সংযোগ, প্রতিবন্ধী পড়ুয়াদের জন্য র্যাম্প, লাইব্রেরি, পানীয় জল, খেলার মাঠের ক্ষেত্রেও প্রায় ৯৯ শতাংশ স্কুলে ব্যবস্থাপনা সম্পন্ন বলে দাবি করা হয়েছে সমগ্র শিক্ষা অভিযানের রিপোর্টে।
যদিও সমগ্র শিক্ষার এই রিপোর্ট ২০১৯-২০২০ অর্থবর্ষের। অর্থাৎ করোনাকালের একেবারে শুরুর দিকের রিপোর্ট। করোনা-পর্বে স্কুলে দীর্ঘ লকডাউনের প্রভাব কেমন, তা জানা যাবে আগামী বছরের রিপোর্টে। তবে শিক্ষামহলের একাংশের বক্তব্য, পানীয় জল, শৌচালয়, লাইব্রেরি, খেলার মাঠ স্থায়ী পরিকাঠামোর মধ্যে পড়ে। লকডাউনে মাঠে ঘাস, জঙ্গল জন্মাতে পারে, কিন্তু মাঠটা থাকবে। একই কথা খাটে শৌচালয় ও অন্যান্য পরিকাঠামোর ক্ষেত্রেও।
অন্য দিকে শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের সংগঠন 'শিক্ষা আলোচনা'র সমীক্ষা রিপোর্ট পড়ুয়াদের মান নিয়ে প্রবল উদ্বেগ তৈরি করেছে। ওই সংস্থার দাবি, পশ্চিমবঙ্গে প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণির ৭২০৪ জন ছাত্রছাত্রীকে নিয়ে সমীক্ষা করা হয়। তাতেই ধরা পড়েছে ভাষা ও অঙ্ক শিক্ষার করুণ চিত্রটি। তবে শুধু বাংলার নয়, সারা ভারতেই একই অবস্থা বলে জানানো হয়েছে ওই রিপোর্টে।
সমাজকর্মী জঁ দ্রেজের নেতৃত্বে দেশের পনেরোটি রাজ্যের ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে সমীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, অতিমারির আবহে গ্রামাঞ্চলে মাত্র ২৮ শতাংশ এবং শহরাঞ্চলে ৩৭ শতাংশ ছেলেমেয়ে লেখাপড়া করছে। এই রিপোর্ট প্রকাশ অনুষ্ঠানে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এমেরিটাস অধ্যাপক সুকান্ত চৌধুরী জানিয়েছেন, শিশুদের শিক্ষায় যে ঘাটতি তৈরি হয়েছে, প্রচলিত স্কুলব্যবস্থায় তা পূরণ করা সম্ভব হবে না। তার জন্য আলাদা ব্যবস্থা প্রয়োজন। শুধু শিক্ষকরা নন, এগিয়ে আসতে হবে সমাজের অন্যদেরও।
যদিও সমগ্র শিক্ষার এই রিপোর্ট ২০১৯-২০২০ অর্থবর্ষের। অর্থাৎ করোনাকালের একেবারে শুরুর দিকের রিপোর্ট। করোনা-পর্বে স্কুলে দীর্ঘ লকডাউনের প্রভাব কেমন, তা জানা যাবে আগামী বছরের রিপোর্টে। তবে শিক্ষামহলের একাংশের বক্তব্য, পানীয় জল, শৌচালয়, লাইব্রেরি, খেলার মাঠ স্থায়ী পরিকাঠামোর মধ্যে পড়ে। লকডাউনে মাঠে ঘাস, জঙ্গল জন্মাতে পারে, কিন্তু মাঠটা থাকবে। একই কথা খাটে শৌচালয় ও অন্যান্য পরিকাঠামোর ক্ষেত্রেও।
অন্য দিকে শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের সংগঠন 'শিক্ষা আলোচনা'র সমীক্ষা রিপোর্ট পড়ুয়াদের মান নিয়ে প্রবল উদ্বেগ তৈরি করেছে। ওই সংস্থার দাবি, পশ্চিমবঙ্গে প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণির ৭২০৪ জন ছাত্রছাত্রীকে নিয়ে সমীক্ষা করা হয়। তাতেই ধরা পড়েছে ভাষা ও অঙ্ক শিক্ষার করুণ চিত্রটি। তবে শুধু বাংলার নয়, সারা ভারতেই একই অবস্থা বলে জানানো হয়েছে ওই রিপোর্টে।
সমাজকর্মী জঁ দ্রেজের নেতৃত্বে দেশের পনেরোটি রাজ্যের ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে সমীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, অতিমারির আবহে গ্রামাঞ্চলে মাত্র ২৮ শতাংশ এবং শহরাঞ্চলে ৩৭ শতাংশ ছেলেমেয়ে লেখাপড়া করছে। এই রিপোর্ট প্রকাশ অনুষ্ঠানে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এমেরিটাস অধ্যাপক সুকান্ত চৌধুরী জানিয়েছেন, শিশুদের শিক্ষায় যে ঘাটতি তৈরি হয়েছে, প্রচলিত স্কুলব্যবস্থায় তা পূরণ করা সম্ভব হবে না। তার জন্য আলাদা ব্যবস্থা প্রয়োজন। শুধু শিক্ষকরা নন, এগিয়ে আসতে হবে সমাজের অন্যদেরও।