অ্যাপশহর

দু'বার UPSC পাশ করে চমক পুলিশকর্মীর ছেলের, জানালেন IAS-এ সাফল্যের মন্ত্র

2018 সালে প্রথমবার এই পরীক্ষায় বসেন প্রিয়াঙ্ক। র‍্যাঙ্ক করেন 274। কিন্তু IAS হওয়ার স্বপ্ন তাঁকে তাড়া করে বেড়াচ্ছিল। 2019-এ ফের পরীক্ষায় বসেন তিনি। পান 61 তম র‍্যাঙ্ক।

EiSamay.Com 22 Sep 2021, 4:16 pm
এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: ইউপিএসসি সিভিল সার্ভিস পরীক্ষাকে দেশের অন্যতম চ্যালেঞ্জিং পরীক্ষা বলে মনে করা হয়। তার পেছনে অনেক কারণ রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম, এই পরীক্ষা নিয়ে নিয়ে তরুণদের মধ্যে আলাদা উৎসাহ এবং আবেগ। আজ আমরা এমন একজন ব্যক্তির কথা আলোচনা করব, যিনি তার প্রথম প্রচেষ্টায় ইউপিএসসি পাস করেছিলেন, কিন্তু ভালো র‍্যাঙ্ক না পাওয়ার জন্য ফের একবার নিজের শৈশবের ইচ্ছে পূরণ করার জন্য দ্বিতীয়বার এই পরীক্ষা দিতে উপস্থিত হন। অবশেষে এই দ্বিতীয় প্রচেষ্টায় তার স্বপ্ন সত্যি হয়। IAS অফিসার হিসেবে এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন তিনি। তিনি প্রিয়াঙ্ক কিশোর। 2019 সালের ইউপিএসসি পরীক্ষায় 61 তম র‍্যাঙ্ক অর্জন করে IAS হন তিনি।
EiSamay.Com Priyank Kishore
ছবি সৌজন্য: প্রিয়াঙ্কের ইনস্টাগ্রাম


প্রিয়াঙ্ককে যখন সিভিল সার্ভিসে যোগদানের কারণ জিজ্ঞাসা করা হয়, তিনি বলেন, "আমি বিহারের পটনার ছেলে, কিন্তু আমার বেশিরভাগ পড়াশোনা ঝাড়খণ্ডে হয়েছে।" এছাড়াও একটি সাধারণ পরিবার থেকে উঠে এসেছেন বলে দাবি করেন প্রিয়াঙ্ক। বিহার ও ঝাড়খণ্ডে মানুষ সিভিল সার্ভিসকে ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে দেখে বলে তাঁর মত। তিনি বলেন, “আমার বাবাও ঝাড়খণ্ড স্টেট পুলিশ সার্ভিসে আছেন, তাই তাঁকে দেখার পরেই ইউপিএসসি ক্লিয়ার করার আইডিয়া আমার মাথায় এসেছিল।”

মহাকাশের প্রতি বাড়বে পড়ুয়াদের আগ্রহ, সৌজন্যে ভারতীয় বিজ্ঞানী
স্কুলের পড়া শেষ করে দিল্লিতে চলে আসেন প্রিয়ঙ্ক। সেখানে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের রামজাস কলেজে উচ্চশিক্ষার জন্য ভর্তি হন তিনি। তিনি বলেন, “আমি রামজাস কলেজের অন্তিম বছর ইউপিএসসির প্রস্তুতি শুরু করি। আমার প্রথম প্রচেষ্টা ছিল 2018 সালে। আমি জানতাম না এত তাড়াতাড়ি এই পরীক্ষায় সাফল্য পাবো। আমি প্রথম প্রচেষ্টায় 274 র‍্যাঙ্ক অর্জন করতে সক্ষম হই এবং IRS-এর জন্য নির্বাচিত হই। আমি ফের চেষ্টা করার সিদ্ধান্ত নিই, কারণ আমি জানতাম আমার কোথায় ঘাটতি রয়েছে।”

প্রিয়ঙ্ক বলেন, “দ্বিতীয়বারের পরীক্ষায় বেশ কিছু জিনিস পরিবর্তন করি আমি। তার মধ্যে অন্যতম আমার কৌশল। দ্বিতীয় প্রচেষ্টায় ভাগ্য আমার সহায় হয় এবং আমি ইউপিএসসি 2019-এ 61 তম স্থান অর্জন করি। এভাবেই আমি আমার ছোটবেলার স্বপ্ন পূরণে সফল হয়েছিলাম। আমি শুধু এতটুকুই বলতে পারি, এই পরীক্ষার ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল প্রস্তুতি। যতটা সম্ভব প্রস্তুতি নেওয়া উচিৎ প্রার্থীদের।” এছাড়াও, নোট তৈরি করাও তাঁর সাফল্যের অন্যতম বড় কারণ বলে দাবি করেন প্রিয়াঙ্ক।

CA-তে টপ করে এবার MBA, বিদেশে চাকরির লক্ষ্য মুম্বইের প্রীতির
প্রিয়াঙ্ক মনে করেন, প্রিলিমিনারি পরীক্ষাকে কখনোই হালকাভাবে নেওয়া উচিত নয়। কারণ প্রিলিম ক্লিয়ার না করতে পারলে অনেক সময়ই হতাশা গ্রাস করে পরীক্ষার্থীকে। এই পরীক্ষার ক্ষেত্রে সংবাদপত্রগুলি একটি বড় ভূমিকা পালন করে ঠিকই,কিন্তু শুধুমাত্র সংবাদপত্রের উপর ভিত্তি করে এই পরীক্ষায় সফলতা পাওয়া যাবে না বলেই তাঁর মত।

পরের খবর

Education newsসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল