অ্যাপশহর

ফর্ম পূরণে ভুল হলে অধরাই ভর্তির স্বপ্ন

প্রেসিডেন্সিতে ভুল সংশোধনের সুযোগ থেকে পড়ুয়ারা বঞ্চিত হলেও শহরের অন্যান্য কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে তা রয়েছে। যাদবপুরে নতুন করে ফর্ম পূরণ করা যায়। স্কটিশ চার্চ কলেজে ভুল সংশোধনের জন্য ৩৬ ঘণ্টা সময় দেওয়া হয়েছে। লেডি ব্রেবোর্নেও সেই সুযোগ আছে। তাহলে প্রেসিডেন্সিতে নেই কেন? সে প্রশ্নের সদুত্তর মেলেনি।

Ei Samay 26 Aug 2020, 7:46 am
এই সময়: স্নাতক স্তরের ফর্ম পূরণে সামান্য ত্রুটি হলেও ভর্তির সুযোগ হাতছাড়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠল প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে। কারণ ফর্মে ভুল হয়ে গেলে তা সংশোধনের উপায় নেই। আবার, নতুন করে আবেদনও জানানো যাচ্ছে না। ভুলগুলি সব সময় পড়ুয়াদের দিক থেকে হচ্ছে, এমনটাও নয়। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনলাইন ভর্তি ব্যবস্থার নানা ত্রুটিপূর্ণ দিক সামনে এনেছেন পড়ুয়ারা।
EiSamay.Com faulty online admission procedure of presidency university leading to discontent among students
প্রেসিডেন্সির অনলাইন ভর্তি


যেমন মানিকতলার বাসিন্দা ভর্তিপ্রার্থী এক পড়ুয়ার বক্তব্য, 'আমি রাশিবিজ্ঞান নিয়ে পড়ব বলে আবেদন করতে যাই। প্রথমে নাম, বাবার নাম নেওয়া হয়। তারপর মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিকের নম্বর নেওয়া হয়। এরপর বিষয় নির্বাচনের পেজটি আসার কথা, কিন্তু তা না খুলে জানানো হয়, আমি নাকি বাংলা ও ইংরেজি নিয়ে পড়ার আবেদন জানিয়েছি।' দক্ষিণ কলকাতার বাসিন্দা আর এক আবেদনকারীর বক্তব্য, 'আমি সমাজতত্ত্বে আবেদন করতে চেয়েছিলাম। ফর্মপূরণের পর দেখাচ্ছে, আমি বাংলায় আবেদন জানিয়েছি। এটা তো পুরোপুরি বিশ্ববিদ্যালয়ের গলদ।' উদ্বিগ্ন পড়ুয়ারা এ জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের দেওয়া ইমেল আইডিতে অভিযোগ জানিয়েছেন। হেল্পলাইনে যোগাযোগ করে সাহায্য চেয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, ভুল সংশোধন করতে চেয়ে এমন গুচ্ছ মেল ও ফোন এসেছে। কিন্তু প্রতি ক্ষেত্রেই মেল মারফত জবাব গিয়েছে - একবার ফর্মপূরণ হয়ে গেলে আর কিছু করা যাবে না। আবেদনকারী এক পড়ুয়ার অভিযোগ, 'হেল্পলাইনে সাহায্য তো দূর। দুর্ব্যবহার করে রেখে দিচ্ছে।'

এ নিয়ে বারবার কর্তৃপক্ষের দ্বারস্থ হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংগঠনগুলি। ইমেলে আবেদনকারীদের সমস্যার কথা জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদও। ছাত্র সংসদের তরফে দেবনীল পাল বলেন, 'উদ্বিগ্ন পড়ুয়ারা সাহায্য না পেয়ে অস্থির হয়ে উঠছেন। অথচ কর্তৃপক্ষের হেলদোল নেই।' এ ব্যাপারে ভর্তি কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্ত অধ্যাপক অরবিন্দ নায়ককে ফোন এবং এসএমএসে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও জবাব মেলেনি। হেল্পলাইনে ফোন করলে বলা হয়, 'একবার ফর্ম পূরণ হয়ে গেলে আর কিছু করা যাবে না। কারণ পুরোটাই যন্ত্র করছে।' পড়ুয়াদের প্রশ্ন, যিনি কথা বলছেন, তিনি তো যন্ত্র নন। যদি সহায়তাই না করা যায় তা হলে ঘটা করে হেল্পলাইন রাখার দরকার কী?


পরের খবর

Education newsসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল