অ্যাপশহর

পরীক্ষা নিয়ে অধ্যক্ষদের প্রশ্নবাণের মুখে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়

বিভিন্ন বিষয়ের নানা পেপারে পূর্ণমান এক এক রকম। তা হলে সব ক্ষেত্রেই পরীক্ষার জন্য কী করে দু'ঘণ্টা সময় বরাদ্দ করছে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়! জানুন বিস্তারিত...

EiSamay.Com 22 Sep 2020, 7:43 am
এই সময়: বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) নির্দেশিকা মেনে ২৪ ঘণ্টার বদলে ২ ঘণ্টায় পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে। অথচ একই বিজ্ঞপ্তি মেনে মাল্টিপিল চয়েস কোশ্চেয়নস (এমসিকিউ) এবং ওএমআর শিটে পরীক্ষা হবে না কেন? ইউজিসির সুপারিশ মেনে বেশি নম্বরের পরীক্ষার জন্য তিন ঘণ্টা নয় কেন? সুন্দরবনের প্রত্যন্ত এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগের অবস্থা ভালো নয়। ইন্টারনেটের গতিও তথৈবচ। তা হলে পড়ুয়াদের বাড়ি বসে নয়, কলেজে এসে পরীক্ষার অনুমতি দিক বিশ্ববিদ্যালয়!
EiSamay.Com calcutta university facing wrath regarding the method of exam
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা


ইউজিসির ১৬ সেপ্টেম্বরের নির্দেশিকা মেনে স্নাতকে কলা ও বিজ্ঞান বিভাগে চূড়ান্ত বর্ষ এবং বি-কমে ফাইনাল সেমেস্টার পরীক্ষা পদ্ধতি নিয়ে কলেজে অধ্যক্ষদের সঙ্গে মুখোমুখি বৈঠকে সোমবার এমনই নানা 'কঠিন' প্রশ্নের মুখে পড়লেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ উপাচার্য (শিক্ষা) আশিস চট্টোপাধ্যায়। পাটুলির কে কে দাস কলেজের অধ্যক্ষ রামকৃষ্ণ প্রসাদ চক্রবর্তী সহ উপাচার্যর কাছে জানতে চান, 'আপনারা ইউজিসির যে নির্দেশিকা দেখিয়ে পরীক্ষার জন্য ২৪ ঘণ্টার পরিবর্তে মাত্র দু'ঘণ্টার সময় দিচ্ছেন, আর প্রশ্নপত্র ডাউনলোড ও উত্তরপত্র আপলোডে আধঘণ্টা সময় বরাদ্দ করছেন। তাতেই এমসিকিউ-ওএমআর শিটে ফাইনাল বর্ষ ও সেমেস্টার পরীক্ষা গ্রহণের কথা জানানো হয়েছে। সেটা কার্যকর করছেন না কেন! এতে পরীক্ষার্থীদের অনেক সুবিধা হত।' তাঁর কথার রেশ ধরেই একাধিক কলেজ অধ্যক্ষ বলে ওঠেন, যে সব পড়ুয়া শহর থেকে অনেক দূরে থাকে, সেখানে ইন্টারনেট সংযোগ থাকলেও, তার গতি কম। পরপর পাতাগুলি স্ক্যান করে পিডিএফ করে পাঠাতে হবে। সেটা অনেক সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। গ্রাম ও প্রত্যন্ত অঞ্চলের পড়ুয়ারা বিপাকে পড়তে পারে। বেহালা কলেজের অধ্যক্ষ শর্মিলা মিত্রও দূরের ছেলেমেয়েরা কী ভাবে পরীক্ষার পর খাতা জমা দেবে, তা জানতে চান। অধ্যক্ষ পরিষদের এক শহুরে নেতাও পড়ুয়াদের প্রশ্নর উত্তর লিখে আধঘণ্টার মধ্যে ফোনে পিডিএফের মাধ্যমে উত্তরপত্র পাঠানোর ক্ষেত্রে নানা সমস্যার কথা জানান।

সুন্দরবনের হাজি দেশরথ কলেজের অধ্যক্ষ তরুণ মণ্ডল বৈঠকে কলেজ প্রতিনিধির মাধ্যমে জানিয়েছেন, এলাকায় বহু পড়ুয়ার কম্পিউটার, ল্যাপটপ ও স্মার্টফোন নেই। বিদ্যুৎ সংযোগের অবস্থাও ভালো নয়। ইন্টারনেট সংযোগের অবস্থাও তথৈবচ। কলেজের ৬৫ বিঘার ক্যাম্পাস। দূরত্ব বিধি মেনে কলেজে পরীক্ষার আয়োজন সম্ভব। এখন বিশ্ববিদ্যালয় কী নোটিস দেয়, তার অপেক্ষায়। অবশ্য অনেক অধ্যক্ষই এ দিনের বৈঠক এড়িয়ে গিয়েছেন। তাঁদের কথায়, তাঁদের কলেজে শহরতলি ও গ্রামাঞ্চলের বহু পড়ুয়া। প্রথমে জানানো হল পরীক্ষাই হবে না। তারপর জানানো হল, বাড়িতে বসে ২৪ ঘণ্টার পরীক্ষা। এখন বলছে দু'ঘন্টার পরীক্ষা, আধঘণ্টার মধ্যে খাতা জমা দিতে হবে। এতে সমস্যায় পড়বে পড়ুয়ারা।

বৈঠক শেষে আশিস চট্টোপাধ্যায়কে একাধিকবার ফোন করেও কথা বলা যায়নি। উপস্থিত অধ্যক্ষদের কথায়, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কলেজের ঘাড় দিয়ে যেনতেন প্রকারেণ পরীক্ষা গ্রহণ ও খাতা দেখিয়ে নম্বর সংগ্রহ করে নিতে চাইছে। যাতে ৩১ অক্টোবরের মধ্যে ফলপ্রকাশ করা যায়!

পরের খবর

Education newsসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল