স্নেহাশিস নিয়োগী
২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে স্নাতকে কেন্দ্রীয়ভাবে একটি অনলাইন পোর্টালের মাধ্যমে ভর্তির ক্ষেত্রে আরও এক ধাপ এগোল উচ্চশিক্ষা দপ্তর। রাজ্যের সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারদের এক বিজ্ঞপ্তিতে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকে সাধারণ ডিগ্রি কোর্সে ভর্তির বিধি জানাতে বলেছেন দপ্তরের উপসচিব। এই বিধি ২ মার্চ দুপুরের মধ্যে জানাতে হবে।
বিকাশ ভবনের নিযুক্ত করা ১০ সদস্যের কমিটির একাংশের বক্তব্য, স্নাতকে কেন্দ্রীয়ভাবে ভর্তির মাপকাঠি তৈরির জন্যই বিশ্ববিদ্যালয়গুলির থেকে এই বিধি চাওয়া হয়েছে। কারণ যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতায় অনুমোদিত কলেজ আছে, সেখানে ভর্তির বিধি একেক রকম। সব খতিয়ে দেখে সম্ভবত মার্চের শুরুতেই এ ব্যাপারে কমিটি আবার বৈঠকে বসবে।
বিশ্ববিদ্যালয়গুলির বিধি বিবেচনা করে কলেজে-কলেজে ভর্তির আবেদনে যোগ্যতামান নির্ধারণ ও মেরিট ইনডেক্স ফর্মুলা নির্ধারণ হবে, যাতে উচ্চমাধ্যমিক বা সমতুল পরীক্ষা উত্তীর্ণ কোনও পড়ুয়ার স্নাতকে ভর্তির ক্ষেত্রে অসুবিধায় পড়তে না হয়। তবে কমিটির সদস্যদের একাংশ মানছেন, স্নাতকে ভর্তির আবেদন ও মেধাতালিকা তৈরির ক্ষেত্রে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিন্ন বিধি আছে ঠিকই।
কিন্তু কলকাতায় বেশকিছু 'নামীদামি' কলেজ রয়েছে, যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তির বিধিকে মান্যতা দিয়েই আবেদন ও মেধাতালিকা তৈরির ক্ষেত্রে পৃথক মাপকাঠি রয়েছে। যেমন লেডি ব্রেবোর্ন, বেথুন, সুরেন্দ্রনাথ, বঙ্গবাসী, আশুতোষ, শ্যামাপ্রসাদ, জয়পুরিয়া, গোয়েঙ্কা, মৌলান আজাদ, গোখেল এবং বিদ্যাসাগরের মতো কলেজ। সেই সব কলেজের ক্ষেত্রে কী হবে?
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি বিধি অনুযায়ী, কোনও পড়ুয়া ১০+২ স্তরে ন্যূনতম মোট ৫০% ও যে বিষয়ে অনার্স নেবে বা সম্পর্কিত বিষয়গুলোতে ৪৫% পেলেই স্নাতকে ভর্তির আবেদন করতে পারেন। কিন্তু ব্রেবোর্ন ও বেথুন এবং মৌলানা আজাদের মতো বহু কলেজেই নানা বিষয়ে স্নাতকে অনার্স নিতে গেলে, কলেজগুলো নিজস্ব কিছু মাপকাঠি চূড়ান্ত করে।
সেই কাট অফ মার্কস নির্ধারণ করা হয় ৬০-৭৫ শতাংশের মধ্যে। এই সব কলেজে গত কয়েক বছরের পড়ুয়াদের আবেদনের হিসাবে চোখ বোলালেই স্পষ্ট, স্নাতকে ১৫ থেকে ৬০ হাজার আবেদন জমা পড়ে। তারপরও গত কয়েক বছরের অভিজ্ঞতা বলছে, প্রথম কয়েক দফায় মেধা তালিকায় ৯০-৯৫% নম্বর থাকা পড়ুয়াদের নামই প্রকাশ হয়।
সে ক্ষেত্রে অভিন্ন পোর্টালের মাধ্যমে ভর্তির আবেদন ও মেধাতালিকা তৈরি হবে কীভাবে, সে প্রশ্ন থাকছেই। আবার শহরতলি ও গ্রামের অনেক কলেজ আসন ভরাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধির তুলনায় নম্বর কমাতে বাধ্য হয়। মহানগরের একাধিক বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ অধ্যক্ষদের মতে, উচ্চশিক্ষা দপ্তর বিশ্ববিদ্যালয়ের থেকে অভিন্ন ভর্তির বিধি চাইলেও একেকটি কলেজের একেক রকম ভর্তির মাপকাঠি থাকলে, অভিন্ন পোর্টালে মাধ্যমে ভর্তির ক্ষেত্রেও জটিলতা থাকবে।
মেধাতালিকা তৈরির ক্ষেত্রেও ভিন্ন কাট অফ মার্কসের অঙ্কে সমস্যা হবে। লেডি ব্রেবোর্নের অধ্যক্ষা শিউলি সরকার বলেন, 'তিন-চার দফার মেধাতালিকায় আমাদের সব আসন ভর্তি হয়ে যায়। স্নাতকে অভিন্ন ভর্তির পোর্টালে যাদবপুর ও প্রেসিডেন্সিতে ভর্তির দিনক্ষণও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজগুলোর সঙ্গে এক হতে হবে। তা হলেই কেন্দ্রীয় অনলাইন ভর্তি পদ্ধতি সার্থক হবে।'
২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে স্নাতকে কেন্দ্রীয়ভাবে একটি অনলাইন পোর্টালের মাধ্যমে ভর্তির ক্ষেত্রে আরও এক ধাপ এগোল উচ্চশিক্ষা দপ্তর। রাজ্যের সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারদের এক বিজ্ঞপ্তিতে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকে সাধারণ ডিগ্রি কোর্সে ভর্তির বিধি জানাতে বলেছেন দপ্তরের উপসচিব। এই বিধি ২ মার্চ দুপুরের মধ্যে জানাতে হবে।
বিকাশ ভবনের নিযুক্ত করা ১০ সদস্যের কমিটির একাংশের বক্তব্য, স্নাতকে কেন্দ্রীয়ভাবে ভর্তির মাপকাঠি তৈরির জন্যই বিশ্ববিদ্যালয়গুলির থেকে এই বিধি চাওয়া হয়েছে। কারণ যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতায় অনুমোদিত কলেজ আছে, সেখানে ভর্তির বিধি একেক রকম। সব খতিয়ে দেখে সম্ভবত মার্চের শুরুতেই এ ব্যাপারে কমিটি আবার বৈঠকে বসবে।
বিশ্ববিদ্যালয়গুলির বিধি বিবেচনা করে কলেজে-কলেজে ভর্তির আবেদনে যোগ্যতামান নির্ধারণ ও মেরিট ইনডেক্স ফর্মুলা নির্ধারণ হবে, যাতে উচ্চমাধ্যমিক বা সমতুল পরীক্ষা উত্তীর্ণ কোনও পড়ুয়ার স্নাতকে ভর্তির ক্ষেত্রে অসুবিধায় পড়তে না হয়। তবে কমিটির সদস্যদের একাংশ মানছেন, স্নাতকে ভর্তির আবেদন ও মেধাতালিকা তৈরির ক্ষেত্রে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিন্ন বিধি আছে ঠিকই।
কিন্তু কলকাতায় বেশকিছু 'নামীদামি' কলেজ রয়েছে, যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তির বিধিকে মান্যতা দিয়েই আবেদন ও মেধাতালিকা তৈরির ক্ষেত্রে পৃথক মাপকাঠি রয়েছে। যেমন লেডি ব্রেবোর্ন, বেথুন, সুরেন্দ্রনাথ, বঙ্গবাসী, আশুতোষ, শ্যামাপ্রসাদ, জয়পুরিয়া, গোয়েঙ্কা, মৌলান আজাদ, গোখেল এবং বিদ্যাসাগরের মতো কলেজ। সেই সব কলেজের ক্ষেত্রে কী হবে?
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি বিধি অনুযায়ী, কোনও পড়ুয়া ১০+২ স্তরে ন্যূনতম মোট ৫০% ও যে বিষয়ে অনার্স নেবে বা সম্পর্কিত বিষয়গুলোতে ৪৫% পেলেই স্নাতকে ভর্তির আবেদন করতে পারেন। কিন্তু ব্রেবোর্ন ও বেথুন এবং মৌলানা আজাদের মতো বহু কলেজেই নানা বিষয়ে স্নাতকে অনার্স নিতে গেলে, কলেজগুলো নিজস্ব কিছু মাপকাঠি চূড়ান্ত করে।
সেই কাট অফ মার্কস নির্ধারণ করা হয় ৬০-৭৫ শতাংশের মধ্যে। এই সব কলেজে গত কয়েক বছরের পড়ুয়াদের আবেদনের হিসাবে চোখ বোলালেই স্পষ্ট, স্নাতকে ১৫ থেকে ৬০ হাজার আবেদন জমা পড়ে। তারপরও গত কয়েক বছরের অভিজ্ঞতা বলছে, প্রথম কয়েক দফায় মেধা তালিকায় ৯০-৯৫% নম্বর থাকা পড়ুয়াদের নামই প্রকাশ হয়।
সে ক্ষেত্রে অভিন্ন পোর্টালের মাধ্যমে ভর্তির আবেদন ও মেধাতালিকা তৈরি হবে কীভাবে, সে প্রশ্ন থাকছেই। আবার শহরতলি ও গ্রামের অনেক কলেজ আসন ভরাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধির তুলনায় নম্বর কমাতে বাধ্য হয়। মহানগরের একাধিক বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ অধ্যক্ষদের মতে, উচ্চশিক্ষা দপ্তর বিশ্ববিদ্যালয়ের থেকে অভিন্ন ভর্তির বিধি চাইলেও একেকটি কলেজের একেক রকম ভর্তির মাপকাঠি থাকলে, অভিন্ন পোর্টালে মাধ্যমে ভর্তির ক্ষেত্রেও জটিলতা থাকবে।
মেধাতালিকা তৈরির ক্ষেত্রেও ভিন্ন কাট অফ মার্কসের অঙ্কে সমস্যা হবে। লেডি ব্রেবোর্নের অধ্যক্ষা শিউলি সরকার বলেন, 'তিন-চার দফার মেধাতালিকায় আমাদের সব আসন ভর্তি হয়ে যায়। স্নাতকে অভিন্ন ভর্তির পোর্টালে যাদবপুর ও প্রেসিডেন্সিতে ভর্তির দিনক্ষণও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজগুলোর সঙ্গে এক হতে হবে। তা হলেই কেন্দ্রীয় অনলাইন ভর্তি পদ্ধতি সার্থক হবে।'