অ্যাপশহর

নিছক ভ্রমণ নয়, গভীরে বিদেশনীতির চাল

প্রশান্ত মহাসাগরে প্রভাব বিস্তারে উদ্যোগী ভারত, রাষ্ট্রপতির পাপুয়া-নিউ গিনি সফরে সেই উচ্চাশারই ছায়া

EiSamay.Com 4 May 2016, 9:36 am
গত বুধবার রাতে তাঁর বিশেষ বিমান পালাম বিমানবন্দর ছেড়ে ‘এয়ারবোর্ন’ হওয়ার কয়েক মিনিট পরেই রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায় কেবিনের পিছনের দরজা দিয়ে বেরিয়ে এলেন সঙ্গী সাংবাদিককুলের সঙ্গে সৌজন্য বিনিময়ের জন্য৷ বত্রিশ বছর ধরে দেখে আসছি ভিভিআইপি বিমানের এটাই রীতি৷ প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরে নরেন্দ্র মোদী অবশ্য তাঁর নিজস্ব কায়দায় এই নিয়মে অভূতপূর্ব সব রদবদল ঘটিয়ে দিয়েছেন৷ তিনি বিদেশে যান নিয়মিত , শত্রুপক্ষ বলে থাকে প্রয়োজনের তুলনায় কিঞ্চিত্ বেশিই যান , কিন্ত্ত তিনিই স্বাধীন ভারতবর্ষের প্রথম প্রধানমন্ত্রী যিনি সঙ্গে সাংবাদিকদের নিয়ে যান না৷ প্রণব মুখোপাধ্যায় অবশ্য প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টান্ত অনুসরণ করার কোনও তাগিদ অনুভব করেননি , সে দায়ও তাঁর নেই৷ ফলে তিনি চলছেন সনাতন ঐতিহ্য অনুসরণ করেই , তাঁর সফরে , স্বদেশে কিংবা বিদেশে , সাংবাদিকেরা মোটেই ব্রাত্য নন , সম্মাননীয় অতিথি৷
EiSamay.Com the president met top leaders of the two countries and inked a few important deals as part of indias act east policy during his visit
নিছক ভ্রমণ নয়, গভীরে বিদেশনীতির চাল

সাংবাদিকদের মধ্যে এলে রাজীব গান্ধী হাসিমুখে দু’দণ্ড দাঁড়িয়ে থেকে গপ্পো -গুজব করতেন , ঠাট্টা -মস্করাও হত৷নরসিংহ রাওয়ের স্পিকটি নট স্বভাবে কোনও ব্যত্যয় হত না , দ্রুত নমস্কার বিনিময়ের পালা সেরেই তিনি হারিয়ে যেতেন নিজের কক্ষে৷ প্রণববাবু স্বভাবে আড্ডাবাজ , অতএব একটি নমস্কারে দায়িত্ব না সেরে তিনি বসেই পড়লেন আমাদের সঙ্গে আলোচনার মধ্যমণি হয়ে৷ ‘আচ্ছা , আপনাদের মধ্যে কতজন এর আগে পাপুয়া নিউগিনিতে গিয়েছেন হাত তুলুন৷ ’ হেড মাস্টারের স্টাইলে রাষ্ট্রপতির প্রশ্ন৷আমরা একে অন্যের দিকে চাওয়া -চাওয়ি করলাম , কিন্ত্ত একটি হাতও উঠল না৷ মনে মনে ভাবলাম , এর পরে যদি প্রশ্ন ওঠে পাপুয়া নিউগিনি গোলার্ধের কোন অংশে অবস্থিত সেটা বলুন , তা হলে কয়টা হাত উঠবে৷ কিংবা সাংবাদিকদের সততার পরীক্ষা নিতে প্রণববাবু যদি জিজ্ঞেস করে বসেন এই সফরে আসার আগে আপনারা কতজন দেশটির নাম শুনেছেন , তা হলেই বা হাত উঠবে কয়টি৷

বিচক্ষণ রাষ্ট্রপতি অবশ্য আমাদের আর অপ্রত্যাশিত বিড়ম্বনার মধ্যে ফেললেন না৷ নিজেই হাসতে হাসতে জবাব দিলেন , ‘আমি জানতাম , আপনাদের মধ্যে একজনও হাত তুলবেন না৷ আরে বাবা , ১৯৪৭ সালের পর থেকে এ পর্যন্ত একজন ডেপুটি মিনিস্টারও পাপুয়া নিউগিনিতে যায়নি , আপনারা যেতে যাবেন কোন দুঃখে ?’ সঙ্গী সাংবাদিকেরা সকলে যে যার মতো করে গোপনে স্বস্তির নিশ্বাস ছাড়লেন , অনুলোম -বিলোমের কায়দায়৷প্রশান্ত মহাসাগরের এক্কেবারে শেষ প্রান্তে পান্ডব -বর্জিত একটি দেশে যেখানে সত্যিই কোনও কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী পর্যন্ত পা ফেলার তাগিদ অনুভব করেননি , সেখানে সোজা ভারতের রাষ্ট্রপতি যাচ্ছেন কোন দুঃখে ? কী ঠেকা পড়ল তাঁর ?ঝানু রাজনীতিক প্রণব মুখোপাধ্যায় এ প্রশ্নের যে জবাবটুকু দিলেন সেটা গ্লাস অর্ধেক ভর্তি বলার মতো ব্যাপার৷ ‘আমার স্ত্রীর মৃত্যুর পরে প্রথম যে দিন আমি কাজে যোগ দিলাম , পাপুয়া নিউগিনির প্রধানমন্ত্রী আমার সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন৷

তখনই তাঁকে কথা দিয়েছিলাম , প্রথম সুযোগেই তাঁর আমন্ত্রণ রক্ষার চেষ্টা করব৷ তাই যাচ্ছি৷’এটা যদি কলকাতার অথবা পশ্চিমবঙ্গের কোনও অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার প্রশ্ন হত , রাষ্ট্রপতির এই যুক্তি বিনা দ্বিধায় মেনে নিতে কোনও অসুবিধে থাকত না৷ বিদেশ সফরের ক্ষেত্রে তাঁর ব্যক্তিগত ইচ্ছা -অনিচ্ছা তুলনায় গৌণ , কেন্দ্রীয় সরকারের , বিশেষ করে বিদেশ দফতরের পরামর্শ ও সিদ্ধান্তই এ ক্ষেত্রে প্রধান নির্ণায়ক৷ তাঁর পূর্বসূরিদের মতো প্রণব মুখোপাধ্যায়ের কথায় কথায় , কারণে -অকারণে বিদেশ সফরের রোগ নেই৷ গেলেও তিনি কোথাও প্রয়োজনের বাইরে একটি মিনিটও বিদেশে ব্যয় করাটা পছন্দ করেন না৷ তাঁর সফরে বিশ্রাম বলে কিছু থাকে না , সাইট -সিয়িং তো দূরস্থান৷ এই যেমন দিল্লি থেকে সাড়ে দশ ঘণ্টা উড়ে আসার পরে তিনি পাপুয়া -নিউগিনির রাজধানী পোর্ট মর্সবিতে থাকলেন সাকুল্যে ছত্রিশ ঘণ্টার মতো৷ নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ডে আটচল্লিশ ঘণ্টা৷ যতটা সময় মাটিতে থাকলেন তার প্রায় অর্ধেক সময় থাকতে হল আকাশে , প্রেসারাইজড কেবিনের অন্দরে৷ এ হেন প্রণব মুখোপাধ্যায় ফালতু কাজে এত দূর গিয়ে শুধুই মুখ দেখিয়ে আর সৌজন্য বিনিময় করে ফিরে আসার বান্দা নন৷ অতএব কূটনীতির পরিভাষায় যাকে বলে ‘হিডন অ্যাজেন্ডা ’ বা অঘোষিত প্রকৃত উদ্দেশ্য কিছু একটা ছিলই৷

কিংবা অঘোষিতই বা বলছি কেন ? ফিজি ছাড়া প্রশান্ত মহাসাগরের যে সব ছোটো-ছোটো দ্বীপভূমি নিয়ে নয়াদিল্লি এ তাবত্ আদৌ কোনও আগ্রহ দেখায়নি , সাধারণ ভারতীয় নাগরিকের মনে কিংবা চেতনায় যাদের কোনও অস্তিত্বই নেই , ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরে নরেন্দ্র মোদী তাদের দিকে হঠাত্ বন্ধুত্বের হাত বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নতুন নীতি ঘোষণার মাধ্যমে৷ প্রধানত নয়াদিল্লির নয়া জমানার উদ্যোগেই এ তল্লাটের ১৪টি ছোটো দ্বীপ -রাষ্ট্রকে নিয়ে তৈরি হয়েছে ইন্ডিয়া প্যাসিফিক আইল্যান্ডস কো-অপারেশন , সংক্ষেপে ফিপিক৷ তাদের মধ্যে ফিজি বা পাপুয়া নিউগিনির নাম যদিবা আবছা হলেও পরিচিত বাকিরা আরও অপরিচিত৷ যেমন কুক আইল্যান্ডস , কিরিবাটি , মার্শাল আইল্যান্ডস , টঙ্গা, টুভালু, পালাও , সামোয়া , সলমন আইল্যান্ডস , মাইক্রোনেশিয়া ইত্যাদি৷ ফিপিক -এর প্রথম সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল ফিজিতে ২০১৪ -এ , দ্বিতীয়টি হয় গত বছর জয়পুরে৷ সেখানে দাঁড়িয়ে নরেন্দ্র মোদী স্বভাবসুলভ ‘হাইপারবোল ’ ভঙ্গিতে ঘোষণা করেছিলেন , ‘দ্য সেন্টার অব গ্র্যাভিটি অব গ্লোবাল অপরচুনিটিজ অ্যান্ড চ্যালেঞ্জেস আর শিফটিং টুওয়ার্ডস দ্য প্যাসিফিক অ্যান্ড ইন্ডিয়ান ওশেন রিজিয়নস ’৷ এই দ্বীপগুলি আকারে ক্ষুদ্র হলেও ভারতের কাছে তাদের স্বতন্ত্র ও সম্মিলিত গুরুত্ব অপরিসীম৷

এই দেশগুলির মধ্যে একমাত্র ফিজির সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক দীর্ঘকালের৷ তার একমাত্র কারণ দেশটির অর্ধেক জনসংখ্যাই ভারতীয় বংশোদ্ভূত৷ সে দেশে সামরিক অভ্যুত্থানের পরে , বিশেষ করে এই অভ্যুত্থানের লক্ষ্য ভারতীয় বংশোদ্ভূতরা হয়ে দাঁড়ানোয় নয়াদিল্লি ফিজির সঙ্গে যাবতীয় কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে৷ কিন্ত্ত তাতে যে আখেরে কোনও লাভ হচ্ছে না বরং চিন এই বৈরিতার সুযোগ নিচ্ছে বুঝতে পেরে ভারত আবার ফিরে এসেছে বন্ধুত্বের লাইনে৷ দশ বছর আগে ফিজিতে সর্বশেষ সামরিক অভ্যুত্থান হওয়ার পরে নয়াদিল্লি আর সমালোচনা করেনি , ফিপিক -এর মাধ্যমে দু’দেশের সম্পর্ক অনেকটাই স্বাভাবিক হয়ে উঠেছে৷ তুলনায় বাকি দ্বীপভূমিগুলির সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক ছিল নেহাতই নামমাত্র এবং প্রাতিষ্ঠানিক৷

এ তল্লাটে ঠিক কী করতে চায় নয়াদিল্লি ? প্রধানত তিনটি বিষয়৷ এক ) রাষ্ট্রপুঞ্জের সংস্কার ও নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হিসেবে ভারতের অন্তর্ভুক্তির সমর্থন , দুই ) নৌ -বহর নোঙর করার জন্য উপযুক্ত একটি ঘাঁটি এবং তিন ) একটি উন্নত মানের স্যাটেলাইট মনিটরিং হাব৷ মোদ্দা কথায় বিশ্বশক্তি হওয়ার স্বপ্নে প্রশান্ত মহাসাগরেও চিনের সমান্তরাল শক্তি হিসেবে ভারত উঠে আসতে চায় , নয়াদিল্লি হতে চায় সোজা কথায় বেজিংয়ের প্রতিদ্বন্দ্বী৷

ভারতের এই উদ্যোগে আমেরিকার ইন্ধন ও সমর্থন পরিষ্কার৷ বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার ভারত সফরের সময় দু’দেশ একত্রে এশিয়া , ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগরে যৌথ সামরিক সম্ভাবনা নিয়ে একটি দলিল প্রকাশ করেছিল৷ প্রশান্ত মহাসাগরের দ্বীপগুলিতে ভারতের এই উচ্চাশা অনুমোদন করে এ অঞ্চলের দু’টি বৃহত্ ও উন্নত দেশ অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডও৷ তার মানে চিনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব রুখতে প্রধানত ওয়াশিংটনের মদতে যে নতুন আন্তর্জাতিক উদ্যোগ শুরু হয়েছে নয়াদিল্লি তার নতুন , গুরুত্বপূর্ণ শরিক৷ ভারতের উচ্চাশা তাই একেবারে মাঠে মারা যাওয়ার সম্ভাবনা কম৷

তবে চাইলেই অভীষ্ট সিদ্ধ হওয়া সম্ভব কি ? বিশেষ করে চিন যেখানে অনেক আগে থেকে এই অঞ্চলে প্রবেশ করে তাদের প্রভাবের শিকড় মাটির অনেক তলা পর্যন্ত প্রসারিত করে ফেলেছে ইতিমধ্যেই ? ফিপিক -এর সদস্য প্রতিটি প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপভূমিতেই বেজিংয়ের সরব উপস্থিতি , সাহায্য ও সমর্থনের প্রশ্নেও চিন অনেক বেশি উদারহস্ত , কেননা অর্থনৈতিক ভাবে তাদের কোমরের জোরটাও তুলনামূলক ভাবে অনেক বেশি৷ অস্ট্রেলিয়ার ঔপনিবেশিক শাসনের অত্যাচারের বিরুদ্ধে এ অঞ্চলের কৃষ্ণাঙ্গ মানুষের মনে ক্ষোভ আর অসন্ত্তষ্টির যে ফল্গুধারা রয়েছে চিন তারও সুযোগ নিচ্ছে পুরোদমে৷ এ দিক থেকে দেখতে গেলেও ভারতের কাজটা তুলনামূলক ভাবে অনেক কঠিন৷ কেননা প্রাক্তন ঔপনিবেশিক ও শ্বেতাঙ্গদের বন্ধু হিসেবে ভারত এ তল্লাটে কতটা অগ্রসর হতে পারবে তা নিয়ে একটা প্রশ্নচিহ্ন থেকেই যাচ্ছে৷ সাদা -কালোর লড়াইয়ে ভারতের ঐতিহাসিক অবস্থান একেবারে না বদলে নয়াদিল্লিকে এই অসাধ্য সাধনটি করতে হবে৷ ইজিয়ার সেড দ্যান ডান৷

চিনের অর্থনীতি যে শক্তপোক্ত বুনিয়াদের ওপর দাঁড়িয়ে আছে ভারতের তা নেই৷ ফলে যে রকম উদার হাতে বেজিং প্রশান্ত মহাসাগরের এই দ্বীপগুলিকে নানা ভাবে সাহায্য করতে পারে ভারতের ক্ষেত্রে তা সাধ্যের অতীত৷ যেমন পাপুয়া নিউগিনির কথাই ধরা যাক৷ আমেরিকা , ইংল্যান্ড , অস্ট্রেলিয়া সহ যে দেশগুলি তার প্রধান বাণিজ্য সহযোগী সেই তালিকায় চিন আছে , ভারত নেই৷ নিকেল এবং কোবাল্ট খনিতে চিন সম্প্রতি বিপুল টাকা বিনিয়োগ করেছে , যার সমতুল্য কিছু ভারতের নেই৷ পাপুয়া নিউ গিনির বাত্সরিক বিদেশি সাহায্যের একটা বড়ো অংশ আসে বেজিং থেকেই৷ দুনিয়ার আরও অসংখ্য দেশের মতো এখানেও হাজার হাজার চিনা বসতি গেড়েছে , ব্যবসা বাণিজ্য করেছে৷ সেই তুলনায় ভারতীয়দের সংখ্যা সাকুল্যে হাজার তিনেক৷ মোদ্দা কথায় আঞ্চলিক প্রভাব বিস্তারের ম্যারাথন রেসে চিন ভারতের তুলনায় এগিয়ে আছে বেশ কয়েক ল্যাপ৷

তবে একটা নির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে শুরু একটা হয়েছে অবশ্যই , তার কৃতিত্বটুকু অবশ্যই নরেন্দ্র মোদীর প্রাপ্য৷ প্রণব মুখোপাধ্যায়ের কাছে ব্যক্তিগত ভাবে যেটা সবচেয়ে বড়ো শ্লাঘার বিষয় তা হল এই উদ্যোগকে বলবত্ করার গুরুদায়িত্বটি প্রধানমন্ত্রী তাঁর সরকারের বিদেশ দফতরকে দেওয়ার আগে রাষ্ট্রপতির ওপর ন্যস্ত করেছেন৷ একাধিকবার বিদেশ দফতরের দায়িত্ব সামলানো প্রণববাবু দেখলাম সেই কাজটি সাঙ্গ করলেন সম্পূর্ণ পেশাদারি দক্ষতা দিয়েই৷ নামে রাষ্ট্রপতি , কিন্ত্ত গত চার দিনে পাপুয়া নিউ গিনি ও নিউজিল্যান্ডে তাঁর ভূমিকাটি ছিল ষোলো আনা বিদেশমন্ত্রীরই৷

পরের খবর

Editorialসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল