অ্যাপশহর

বিলুপ্ত বাংলার জন্য শোক পালন করুক কলকাতা

তাঁর মতো করে দ্বিতীয় কোনও কৃতী বঙ্গসন্তানকে আমরা বাংলা ভাষার পক্ষে এত সোচ্চার , সক্রিয় ও স্বতঃস্ফূর্ত লড়াই করতে দেখিনি৷

EiSamay.Com 22 Feb 2017, 9:04 am
মাতৃভাষা পুজোর দিনটি এলে আমার বিশেষ করে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের কথা মনে পড়ে৷ এই যে আমাদের শহরের নামটি ‘ক্যালকাটা ’ থেকে কলকাতা হয়ে গেল (ঠিক হল না ভুল হল সেই বিতর্ক স্বতন্ত্র ) সেটা সুনীলবাবুর ব্যক্তিগত উদ্যম ছাড়া সম্ভব ছিল না , প্রধানত তিনিই তত্কালীন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের ওপর ব্যক্তিগত প্রভাব খাটিয়ে নাম বদলের প্রস্তাবে তাঁর সম্মতি আদায় করেছিলেন৷ তিনি চেয়েছিলেন রাজধানীর নামের সঙ্গে রাজ্যটির নামও বদল করা হোক , নানা কারণে আজ পর্যন্ত তা অবশ্য হয়ে ওঠেনি৷
EiSamay.Com sunil ganguly fight for his mother tongue
বিলুপ্ত বাংলার জন্য শোক পালন করুক কলকাতা




সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের কথা মনে পড়ে কেননা সাম্প্রতিক কালে তাঁর মতো করে দ্বিতীয় কোনও কৃতী বঙ্গসন্তানকে আমরা বাংলা ভাষার পক্ষে এত সোচ্চার , সক্রিয় ও স্বতঃস্ফূর্ত লড়াই করতে দেখিনি৷ তিনি চাইতেন রাজ্য সরকারের দৈনন্দিন কাজকর্মে বাংলা ভাষার প্রয়োগ ও ব্যবহার বাড়ুক , এমনকী কলকাতা শহরের দোকানিদেরও বাধ্য করা হোক ইংরেজি বা হিন্দির সঙ্গে বাংলা হরফও ব্যবহার করতে৷ এমনকী বাংলা ভাষার ব্যবহার নিয়ে সংবাদপত্রে প্রকাশিত একটি প্রবন্ধে তাঁর মতো ঠান্ডা মাথার মানুষও অবাধ্যের ‘ঝুঁটি নাড়িয়ে দেওয়ার ’ দাওয়াই বাতলেছিলেন বেশ একটা জঙ্গি ঢঙে৷ অতীতে খবরের কাগজের পাতায় বিষয়টি নিয়ে সুনীলবাবুর সঙ্গে আমার খোলাখুলি বিতর্ক হয়েছে৷ তবে এ কথা কোনও দিন অস্বীকার করিনি যে ভাষা -সুহৃদ হিসেবে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের তুলনা ছিলেন একমাত্র সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ই৷ কই তাঁর মৃত্যুর পরে আর কাউকে তো দেখি না মাতৃভাষার জন্য এমন নিরলস , নিঃস্বার্থ ভাবে গলা ফাটাতে !ফি বছর ২১ ফেব্রুয়ারি এলে আরও একটি কথা মনে উঁকি দেয়৷

বাংলাদেশ কিংবা বরাক উপত্যকায় দিনটি সগর্বে পালিত হবে এটাই স্বাভাবিক , কেননা ভাষার জন্য শহিদত্ব বরণ করেছিলেন তারাই৷ দু’টি ক্ষেত্রেই ভিন্ন ভাষা ওপর থেকে গায়ের জোরে চাপিয়ে দেওয়ার সরকারি সিদ্ধান্ত তৈরি করেছিল বিদ্রোহের প্রেক্ষাপট , সাবেক পূর্ব পাকিস্তানের ক্ষেত্রে উর্দু আর বরাকে অহমিয়া৷ পশ্চিমবঙ্গে কখনও সেই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়নি , ফলে ভাষার জন্য জান কুরবান করার প্রয়োজনও হয়নি এ তল্লাটে৷ দেহত্যাগ করার প্রয়োজন না থাক , মাতৃভাষার মর্যাদা রক্ষার পক্ষে কিংবা মাতৃভাষার অবজ্ঞার প্রতিবাদে একটি পদত্যাগের ঘটনাও কি কখনও ঘটেছে পশ্চিমবঙ্গে ? তা হলে ভাষা -পুজো করার কোনও নৈতিক অধিকার কি আমাদের সত্যিই রইল তেমন ভাবে ? আমার তো মনে হয় ২১ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় মহা সমারোহে ভাষা দিবস পালিত হচ্ছে হোক , আসুন কলকাতায় বরং আমরা মাতৃভাষার ক্রমবিলুপ্তির জন্য হাতে কালো ব্যাজ পরে শোকদিবস পালন করি৷

প্রশাসনের কথাটা গোড়াতে বলা যাক৷ আমলাতন্ত্রের একেবারে নীচের স্তরে , পঞ্চায়েত কিংবা পুরসভায় বাংলা ভাষার সামান্য ব্যবহার হলেও হয়ে থাকতে পারে , কিন্ত্ত মাঝারি বা উচ্চস্তরে সুনীলবাবুর আমলে ভাষাটির যে কদর ছিল তার চেয়ে এক ছটাক বেশি হয়েছে বলেও মনে হয় না৷ নব্বইয়ের দশকের গোড়ায় এই কলকাতায় যখন সুনীলবাবুদের নেতৃত্বে ভাষা -রক্ষার কলরব বেশ উচ্চগ্রামে পৌঁছেছিল , তার অনুরণন দেখা গিয়েছিল মহাকরণের অলিন্দেও৷ দীর্ঘ দিনের অভ্যাস ছেড়ে বড়ো বড়ো সরকারি অফিসারেরাও ফাইলে বাংলা লিখতে শুরু করেছিলেন , নিদেনপক্ষে স্বাক্ষর তো করতেনই৷ যেমন তত্কালীন অবাঙালি মুখ্যসচিব নারায়ণমূর্তিকে দেখেছি ফাইলে বাংলায় সই করতে৷ সেই উন্মাদনা কবেই থিতিয়ে গিয়েছে৷ ইংরেজ সাম্রাজ্যের প্রথম রাজধানী শহরে সরকারি কাজকর্মে ইংরেজি ভাষা ফিরে এসেছে প্রায় ঔপনিবেশিক সময়ের গুরুত্বে৷ আক্ষরিক অর্থেই বঙ্গীয় প্রশাসনে বাংলা আজ পিওন আর আর্দালিদের ভাষা৷

সরকারি কাজকর্মে মাতৃভাষার এমন করুণ দশা , এমন অতি -প্রান্তিক অবস্থান সম্ভবত ভারতবর্ষের আর কোনও রাজ্যে নেই৷ হিন্দিভাষী রাজ্যগুলিতে সরকারি কাজকর্ম হয় প্রধানত হিন্দিতে , তাদের পিছনে তথাকথিত রাষ্ট্রিক ভাষা হওয়ার কৌলীন্যবোধ কাজ করে৷ দক্ষিণের রাজ্যগুলি যে যার মাতৃভাষা সম্পর্কে কেবল সজাগ , সতর্ক নয় , প্রবল গর্বিত এবং ভাষার সম্মানের প্রশ্নে রীতিমতো আগ্রাসী৷ পশ্চিমে মহারাষ্ট্র কিংবা গুজরাটেও মাতৃভাষা বঙ্গভূমির তুলনায় অনেক বেশি সমাদৃত৷ নিয়মের ব্যতিক্রম কেবল ভঙ্গ হওয়া পশ্চিমবঙ্গ৷ এ রাজ্যে আমলাতন্ত্রের উচ্চকোটিতে আজ বঙ্গসন্তানকে খুঁজে বের করতে হয় হাতে দূরবিন নিয়ে , চাকরিসূত্রে যাঁরা কিছুটা বাংলা শিখতে বাধ্য হলেও ভাষার প্রতি যাঁদের আদৌ কোনও দুর্বলতা নেই৷ বঙ্গীয় প্রশাসনের লিঙ্গুয়া ফ্রাঙ্কা তাই ইংরেজি , ক্ষেত্রবিশেষে হিন্দি৷ এঁদের মাঝে বঙ্গসন্তানেরা নেহাতই হতভাগ্য সংখ্যালঘু৷

যে যে কারণে মাতৃভাষা তার রাজ্যে মাথা তুলে নিজের অস্তিত্ব জাহির করতে পারে তার প্রায় সব কয়টিই অনুপস্থিত পশ্চিমবঙ্গে৷ ব্যবসা -বাণিজ্যে বাঙালির কোনও দিন মতি ছিল না , আজও সে ভাবে নেই৷ সুখ আর নিশ্চয়তার খোঁজে থাকা বঙ্গসন্তান তাই হয় সরকারি নয় মাড়োয়ারি সেবাকেই জীবনের পরম সত্য বলে জ্ঞান করে এসেছে , আজও করছে৷ এ চিত্রও আর দেশের প্রায় অন্য কোনও রাজ্যে নেই৷ যেখানেই তাকাবেন দেখবেন ব্যবসা -বাণিজ্যে সে রাজ্যের ভূমিপুত্রদেরই রমরমা৷ রাজ্যে কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রগুলি ক্রমশই সঙ্কুচিত হতে থাকার কারণে চাকরির সন্ধানে বাঙালি যুবক হাজারে হাজারে দেশান্তরী হচ্ছে প্রতি বছর৷ মেধাবী ও উজ্জ্বল যুবা হলে পশ্চিমের কোনও না কোনও দেশে , তুলনায় খাটো যারা তারাও দেশের ভিন -রাজ্যে৷ স্ব-গৃহে থাকাটাই যেখানে শিক্ষিত বঙ্গসন্তানের কাছে নিরাপদ ঠেকছে না , সেখানে তার মাতৃভাষাটি নিয়ে চোখের জল ফেলবে কে ? তদুপরি এই শহর কলকাতাও যে আর বাঙালিদের শহর নেই , মুম্বইয়ে মারাঠিভাষীদের মতো এখানে বঙ্গভাষীরা সংখ্যালঘু এই তথ্যটা অনেক সময় আমাদের মনে থাকে না৷ বাংলার রাজধানীতে বাংলা ভাষাই আজ সর্বার্থে, সর্বত্র অপাংক্তেয় আর নির্বাসিত৷

এ দেশের প্রাদেশিক ভাষাগুলির মধ্যে বাংলা তুলনামূলক বিচারে অবশ্যই উন্নত৷ তার একটি যুক্তিগ্রাহ্য ঐতিহাসিক ব্যাখ্যাও আছে৷ সংস্কৃতির মতো ভাষার শ্রীবৃদ্ধিও আসলে সমাজের সেরা অংশের বা ‘এলিট ’-এর ওপর নির্ভরশীল৷ সাক্ষরতার বিকাশ কেবলই সামাজিক অথবা রাজনৈতিক সদিচ্ছার বহিঃপ্রকাশ মাত্র , তা দিয়ে ভাষা উন্নত মানের হয় না , তা দিয়ে উন্নত মানের সাহিত্য সৃষ্টি হওয়াটাও অসম্ভব৷ উত্কর্ষ বরাবরই মুষ্টিমেয়র দ্বারা , মুষ্টিমেয়র জন্যই হয়ে থাকে৷ পাশাপাশি , যে কোনও সংস্কৃতি বা ভাষার তত্ত্ব -তালাশ করতে গেলেই দেখা যায় অনিবার্য ভাবেই যশস্বী কয়েকজন মানুষ একজোট হয়ে এই সাধনায় নিজেদের নিয়োজিত করেছেন৷ তাঁদের কাজের মধ্যে দিয়েই ভাষা পেয়েছে তার প্রাপ্য শ্রদ্ধার আসন , ধীরে ধীরে সেই ভাষা সাধারণ্যেও জনপ্রিয় হয়েছে৷ তুলনামূলক ভাবে আমাদের কাছাকাছি সময়ের সত্যজিত্ রায়ের কথাই ধরা যাক৷ তাঁর অবিস্মরণীয় কিছু ছবি সত্যজিতের সমসাময়িক চলচ্চিত্রকারদের উদ্বুদ্ধ করেছে তাঁকে অনুসরণ করতে৷

তাঁরা হয়তো সকলেই সত্যজিত্বাবুর মতো ‘জিনিয়াস ’ ছিলেন না , কিন্ত্ত সমষ্টিগত ভাবে এঁদের প্রয়াস বাংলা ছবিকে উত্কর্ষের উচ্চতর বিন্দুতে পৌঁছে দিয়েছিল৷ সাহিত্য ও ভাষার ক্ষেত্রে একই ঘটনা ঘটেছে বিদ্যাসাগর , বঙ্কিমচন্দ্র , রবীন্দ্রনাথ , শরত্চন্দ্রের হাত ধরে৷ তাঁরা অনুপ্রাণিত করেছেন আরও অসংখ্য সাহিত্যকারকে , বাংলা ভাষা ক্রমান্বয়ে উন্নতি করেছে , বিস্ফোরণ হয়েছে উঁচু মানের সাহিত্যের , জন্ম হয়েছে ভালো জাতের পাঠকগোষ্ঠীরও৷ ভারতের বিভিন্ন আঞ্চলিক সাহিত্যের ইতিবৃত্তান্ত খুঁজলে দেখা যাবে , একসময় বাংলার বিভিন্ন রচনাকারের বিপুল অনুবাদ হয়েছে সে সব ভাষায়৷ শরত্চন্দ্রের নাম এ প্রসঙ্গে বিশেষ ভাবে স্মরণীয়৷ তেলুগুভাষীরা হয়তো আজও অনেকেই জানেন না যে ‘শরত্বাবু’ আসলে তাঁদের ভাষায় লেখেননি৷ সেই সব অনুবাদ অন্য নানা রাজ্যের সাহিত্যের ক্ষেত্রেও এক ধরনের আদর্শ-লিপির কাজ করেছে৷ বাঙালি লেখকদের রচিত ছাঁচেই দাগা বুলিয়ে তাঁরা যে যার নিজস্ব সাহিত্য রচনার কাজে মন দিয়েছেন৷

কথাটা হল , তদানীন্তন বাঙালি লেখকেরা সাহিত্যসৃষ্টির এই শিখরবিন্দুটিতে পৌঁছলেন কী ভাবে ? ব্যক্তিগত প্রতিভা একটি বিষয় নিশ্চয়ই , তবে বীজ থাকলেও তার বিকাশের জন্য অনুকূল আবহ দরকার৷ সাবেক কলকাতায় ইংরেজ সাম্রাজ্যের গোড়াপত্তনই কাজ করেছিল বঙ্গীয় সাংস্কৃতিক স্রোতের অন্যতম চালিকাশক্তি হিসেবে৷ ফলত সামাজিক সংস্কার ও নবজাগরণের যে ঐতিহাসিক পর্ব শুরু হয়েছিল তার সার কথাটাই ছিল পশ্চিমের জ্ঞান -বিজ্ঞানকে নিজের ভাষা -সংস্কৃতি -ব্যবহারে একাত্ম করে নেওয়া৷ এই পর্বে অতীতের দিকে দৃষ্টিপাত করার কৌতূহলেরও উন্মেষ হয়েছিল বিস্ময়কর ভাবেই৷ এর নিট ফল হয়েছিল দ্বিবিধ --- এক দিকে অতীতকে পুনরাবিষ্কার , অন্য দিকে অমোঘ ভবিষ্যতের একাত্মীকরণ৷ এই ঐতিহাসিক পর্বের শিক্ষিত বাঙালি সমাজ তাদের ভাষা -সংস্কৃতির জন্য ঠিক সেটাই করতে চেয়েছিলেন ইংরেজি ভাষায় তাঁদের সমকক্ষেরা যেটা নিজেদের ভাষার জন্য করেছেন৷ সেই নব -আবিষ্কৃত প্রত্যয় ও স্পর্ধাই মাইকেল মধুসূদনের সদম্ভ মন্তব্যে প্রতিফলিত হয়েছিল --- পেত্রার্ক যদি লাতিনে সনেট লিখতে পারেন তাহলে বাংলায় আমিই বা পারব না কেন ? অতএব বাংলায় এল চতুর্দশপদী , তার পর বাকি ভারতে৷

মাতৃভাষার সঙ্গে শিক্ষিত বাঙালির শ্রেষ্ঠ অংশের এমন আত্মিক সম্পর্কটা স্থায়ী হয়েছিল দীর্ঘ দিন৷ প্রায় আশির দশক পর্যন্ত৷ শিক্ষিত মধ্যবিত্ত বঙ্গসন্তান তখন নির্দ্বিধায় বাংলা মাধ্যম স্কুলে যেত , বাংলা এবং ইংরেজি দুটো ভাষাই রন্ত করত ,বাংলায় গদ্য লিখত , পদ্য লিখত , তর্ক করত , প্রেম করত , বাঙালি হিসেবে নিজের অস্তিত্বটা গর্বের সঙ্গে জাহির করতে তার আদৌ বাধো বাধো ঠেকত না৷ গত তিরিশ -পঁয়ত্রিশ বছরে ভাষার সঙ্গে উচ্চ ও মধ্যবিত্ত বঙ্গসন্তানের দূরত্ব বাড়তে বাড়তে এখন প্রায় অবিশ্বাস্য একটি বিন্দুতে এসে পৌঁছেছে৷ শহুরে বাঙালি বাড়িতে বাংলা পড়া , বাংলায় চর্চা করার পাটই উঠে গেছে প্রায়৷ এদের সকলের কাছেই মাতৃভাষাটি আজ অচল আধুলির মতো , পকেটে থাকে কিন্ত্ত ব্যবহার করা যায় না৷ শিক্ষিত বাঙালি বাংলায় থাকবে না , বাংলা পড়বে না , বাংলা জানবে না , অথচ ভাষাটি জীবন্ত থাকবে , সমাজে , প্রশাসনে তার প্রয়োজন অনুভূত হবে , ভাষাকে কেন্দ্র করে উচ্চমানের সাহিত্য -সংস্কৃতি -সিনেমা হবে , এমনটি আশা করাই তো হবে চরম আহাম্মকি৷

পরের খবর

Editorialসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল