অ্যাপশহর

স্কুল ব্যাগ ভারী হচ্ছে, ট্যাব বিলোলেই মুক্তি?

অগ্রপশ্চাত্‍ বিবেচনা না করে ট্যাব বিতরণের অবিমৃষ্যকারী সিদ্ধান্ত স্কুল ব্যাগের ভার লাঘবের পরিবর্তে ডেকে আনতে পারে নানা প্রাণঘাতী সমস্যা৷ লিখছেন মৃন্ময় চন্দ

EiSamay.Com 31 Aug 2017, 1:30 pm
অগ্রপশ্চাত্‍ বিবেচনা না করে ট্যাব বিতরণের অবিমৃষ্যকারী সিদ্ধান্ত স্কুল ব্যাগের ভার লাঘবের পরিবর্তে ডেকে আনতে পারে নানা প্রাণঘাতী সমস্যা৷ লিখছেন মৃন্ময় চন্দ
EiSamay.Com post editorial on goverments decision to distribute tabz between school students
স্কুল ব্যাগ ভারী হচ্ছে, ট্যাব বিলোলেই মুক্তি?


‘কাঁটা দিয়ে কাঁটা তুলতে উঠে আসছে বুক/ কন্ট্রাসেপটিভের ফুটো দিয়ে জন্মাচ্ছেন/ ভবিষ্যত্‍ নেতা, অর্থাত্‍ আগামী বাজিকর/ ভেবে ক্লাউন পাপেটের চোখে জল আর/ পারাবার জুড়ে জমছে- মেঘ ও বাতাস/ অর্থাত্‍ রাডার বললো আর একটি ঝড় আসবে৷’… রাডার, তুষার রায়৷

ঝড় আসছে৷ যদিও মেকি৷ তবুও এ ঝড় দরকারি৷ স্কুল ব্যাগের ভার লাঘবে ঝড় তুলেছেন কেন্দ্রীয় সরকার৷ সদ্য প্রয়াত হলেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ যশপাল৷ ১৯৯২-র মার্চে ব্যাগের ভার কমাতে যশপালের নেতৃত্বে তৈরি হয়েছিল ন্যাশনাল অ্যাডভাইসরি কমিটি৷ ১৯৯৩-র জুলাইতে যশপাল কমিটির রিপোর্ট জমা পড়ছিল৷ ব্যাগের ভার কমানোর ‘প্রসাধনী’প্রচেষ্টা শুরু হয়েছিল তখন থেকেই, ভার কমেনি কেবলই বেড়েছে৷ এনসিপিসিআর বা জাতীয় শিশু অধিকার সুরক্ষা সর্বেক্ষণ কমিশন বর্তমানে ব্যস্ত ব্যাগের ভার কমানোর মত‘অপাংক্তেয়’বিষয়ে৷ কারণ ব্যাগের অসহনীয় ভারে অসুস্থ হয়ে পড়ছে ছাত্রছাত্রীরা, পঠনপাঠন ব্যাহত হয়ে নষ্ট হচ্ছে স্কুল-দিবস৷ ভারি ব্যাগ বহনের বিপজ্জনক কুফল সম্পর্কে সরকার বা এনসিপিসিআর-এর বহু আগে থেকেই চেতাবনি দিয়ে আসছেন বিজ্ঞানী/ চিকিত্‍সক মহল৷ পরিস্থিতি আয়ত্তের বাইরে চলে যাওয়ার উপক্রম হওয়ায় টনক নড়েছে সরকার বা এনসিপিসিআর-এর৷

ছেলেদের স্কুল ব্যাগের ওজন হওয়া উচিত তার শরীরের ১০%, মেয়েদের ৫%৷ ভারি স্কুল ব্যাগ অকালেই ডেকে আনছে নানা রকম ‘মাস্কুলোস্কেলিটাল ডিসকমফর্ট’বা এমএসডি৷ ডেকে আনছে ‘রাকস্যাক পালসি’৷ মেরুদণ্ডের ভার বহনের সর্বোচ্চ সীমা কী হবে তা ক্রেনিয়ো হরাইজন্টাল অ্যাঙ্গেল, ক্রেনিয়ো ভার্টিব্রাল অ্যাঙ্গেল ও সারভাইকাল স্পাইনের শেষ ভার্টিব্রা সি সেভেন-এর সঙ্গে তার নিক্তি-মাপা অবস্থানের নিরিখে নির্ভুল ভাবে বলা সম্ভব৷ ব্যাগের ভারে হাত-কাঁধ-পিঠ-কোমরের নাছোড় যন্ত্রণা থেকে শুরু করে কাইফোসিস-স্কোলিয়োসিস-লর্ডোসিসের মতো মেরুদণ্ডের চিরস্থায়ী বিকৃতিও অসম্ভব নয়৷ চলাফেরায় অক্ষমতা সহ নানা বিকলাঙ্গতা গ্রাস করতে থাকে একটি ফুলের মতো তরতাজা কিশোর/ কিশোরীকে৷ ব্যাগের বোঝা ১৫% বৃদ্ধি পেলেই এই ধরনের অসুস্থতার অভিষেক ঘটতে পারে৷ ৮৭% ছাত্রছাত্রী, ভারতে, পিঠে ব্যথায় কাতর হয়ে বিভিন্ন সময়ে অভিযোগ জানায়৷ ১৬ বছর বয়স পর্যন্ত শিশুর শিরদাঁড়ার স্বাভাবিক বৃদ্ধি চলে৷ সুতরাং শৈশব থেকে বয়ঃসন্ধিকালের অতীব গুরুত্বপূর্ণ বৃদ্ধি-বিকাশের এই সময়টাতে করাল থাবা বসাতে পারে ভারি স্কুল ব্যাগ৷

ব্যাগ কেন ভারি?

ব্যাগ ভারি হওয়ার কারণ নিঃসন্দেহে অপ্রয়োজনীয় বইয়ের বোঝা৷ জ্ঞান বাড়াতে গিয়ে তথ্যের প্রাচুর্যে কেবলই পুথির পাতা খসখস-গজগজ করছে স্কুল ব্যাগে৷ জ্ঞানের বদলে অনাবশ্যক তথ্যের সমাবেশে চক্রবৃদ্ধি হারে বাড়ছে বইয়ের পৃষ্ঠাসংখ্যা ও কলেবর৷ প্রাথমিক থেকে স্নাতকোত্তর পর্যন্ত সিলেবাস আক্ষরিক অর্থেই বস্তাপচা; জীবন-সমাজ-অর্থনীতি থেকে কয়েক আলোকবর্ষ দূরে৷ নীতি-কৈবল্যে সরকারি স্কুলে পঠনপাঠনে গ্রহণ লেগেছে৷ ব্যাঙের ছাতার মতো বেসরকারি স্কুলে উপচে ওঠা ভিড়৷ প্রাগৈতিহাসিক সিলেবাসে গাদা গুচ্ছের অপ্রয়োজনীয় বইয়ের দৌলতে অভিভাবকের পকেট সাফা করে ব্যবসা জমে ওঠে; সর্বনাশের জাঁতাকলে নিষ্পেষিত ছাত্রছাত্রী৷ সিলেবাসকে পরিমার্জন-পরিবর্ধনে যুগোপযোগী করতে ইচ্ছুক নয় কোনও সরকারই৷ গত শিক্ষাবর্ষ থেকে বাংলা-ইংরেজি ব্যতিরেকে প্রতিটা বিষয়ে মাধ্যমিকে চালু হয়েছে ৩৬ নম্বরের ‘মাল্টিপল চয়েস টাইপ কোয়েশ্চেনস’,প্রতিটা বিষয়ে বাজারে লভ্য ২০-৩৬টি বই৷ প্রয়োজন একটি বই৷ বইয়ের গন্ধমাদন যে স্কুল পর্যন্ত বয়ে নিয়েই ক্ষান্তি তা-ও নয়, প্রাইভেট টিউশনেও আবশ্যক বস্তা ভরতি বই৷ পর্বতপ্রমাণ বইয়ের ভারে নূব্জ্যদেহ-কুব্জ-পৃষ্ঠ ছাত্রছাত্রীরা আর অসহায়-কিংকর্তব্যবিমূঢ়-দিশাহারা অভিভাবককুল-শিক্ষকসমাজ৷ পোয়া বারো প্রকাশকদের৷ বইছে বে-লাগাম কমিশনের বন্যা৷ স্কুলে কোন বই পাঠ্য হবে তার নির্দেশ আসছে এমনকী ‘ডি-আই অফিস’ থেকেও৷

বিদ্যালয়ে ৪টে কম্পিউটার দিয়ে মোদীজি ডিজিটাল ইন্ডিয়ার স্বপ্ন ফেরি করছেন৷ বইয়ের ভার লাঘব করতে‘ট্যাব’বিতরণের কাণ্ডজ্ঞানহীন প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন৷ উন্নত দুনিয়ায় বইখাতা থেকে শ্রেণিকক্ষের পঠনপাঠন-গোটা শিক্ষা-ব্যবস্থাটাই ডিজিটাল! পাঠ্যপুস্তক সেখানে ব্রাত্য নয় কিন্ত্ত ডিজিটাল পরিবেশে বিশালকায় বই বহনের প্রয়োজন ফুরিয়েছে৷ গোটা পঠনপাঠনটাই মধুর, আনন্দঘন হয়ে উঠছে ডিজিটাল প্রযুক্তির কল্যাণে৷ রয়েছে সারা পৃথিবীর অমিত জ্ঞান ভাণ্ডারের অতি সহজ ব্যবহার্য ক্ষুদ্র ডিজিটাল সংস্করণ: ই-লাইব্রেরি৷ দিনরাত নিরবচ্ছিন্ন ‘নেট’ মেলে মুফতে৷ একই সঙ্গে রয়েছে প্রয়োজনীয় নজরদারি, সতর্কতা ও ডিজিটাল প্রযুক্তির খুল্লমখুল্লা ব্যবহারে বিধিসম্মত নিষেধাজ্ঞা (ট্যাব/ল্যাপটপ বিতরণেই দায়িত্ব শেষ নয়)৷ ছাত্রছাত্রীদের স্বাচ্ছন্দ্য ও অনায়াস পঠনপাঠনে সতত নিয়োজিত স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও সরকার৷ পঠনপাঠন থেকে পরীক্ষা, সবটাই বিশুদ্ধ জ্ঞানান্বেষণ৷ বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকারের দূরদৃষ্টির অভাবই পরিস্ফুট ভারি ব্যাগের বিকল্পে ‘ট্যাব’প্রদানের আলঙ্কারিক-আত্মঘাতী প্রয়াসে৷ ট্যাব ভারি বইয়ের বিকল্প নয়, বরঞ্চ বিকৃত‘স্ক্রিন টাইমে’র আবাহক৷

ভারি ব্যাগের বিকল্প কখনই ট্যাব নয়

ট্যাব-টিভি-ল্যাপটপ-মোবাইলের পর্দা জুড়ে সব সময়ই দৃশ্য-শ্রাব্য ঘটনার ঘনঘটা; নীল আলোর মায়া-মোহজালে নিবিষ্ট-ভাবে মজে থাকার সময়টাই ‘স্ক্রিন টাইম’বা এস-টি নামে পরিচিত৷ নিজেকে বিচ্ছিন্ন করে শিশু-কিশোর-কিশোরীর ঘরের কোণে একলাটি ‘এসটি’তে নিমজ্জিত থাকার বদভ্যাসে উদ্বিগ্ন পৃথিবীর সমস্ত উন্নত দেশ৷ আমেরিকান অ্যাকাডেমি অফ চাইল্ড অ্যান্ড অ্যাডোলেসেন্ট সাইকিয়াট্রির গবেষণায়: শিশুরা স্কুলে যতটা সময় কাটায় তার বেশি সময় তারা কাটায় ‘এস-টি’তে৷ ইউরোপিয়ান পার্লামেন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের করা সমীক্ষা জানাচ্ছে ১৮ বছরের একটি কিশোর/ কিশোরীর ৩ বছর নষ্ট হচ্ছে ‘এসটি’তে৷ অর্থাত্‍ ৮০ বছরে পৌঁছে তার ১৭.৬ বছর কাটবে নিষ্ফলা ‘এসটি’তে৷ ব্রিটেনে ‘স্ক্রিন টাইম’-এ অল্পবয়সীদের মজে থাকার সময় দৈনিক ৬.১ ঘণ্টা, কানাডায় ৭.৮ ঘণ্টা, আমেরিকায় ৭.৫ ঘণ্টা৷ ভারতের কোনও হিসেব নেই৷ উন্নত দুনিয়ায় বাধ্যতামূলক স্কুলে খেলাধুলা বা এসিএস (অ্যাকটিভ কমিউটিং টু স্কুল), বিনোদনেও রয়েছে বয়ঃভিত্তিক বিধিনিষেধ৷ ভারতে শিশু থেকে বয়ঃসন্ধির কিশোর/ কিশোরী সকলে মজে বিরামহীন-বল্গাহীন ‘স্ক্রিন টাইমে’৷ কারণ অবসৃত মাঠে নেই খেলাধুলার প্রশ্ন৷ নেই প্রশ্ন স্ক্রিন টাইমের সু-নিয়ন্ত্রণের৷ একটি ‘ট্যাব’কে নিয়ে ‘থ্রি পেরেন্টস ফ্যামিলিতে’সুখী গৃহকোণে ভারতীয় বাবা-মাও হবেন নিশ্চিন্ত-শোভিত!

আমেরিকার ‘ডিপার্টমেন্ট অফ হেলথ অ্যান্ড হিউম্যান সার্ভিসেস’তাদের আগামী ১০ বছরের‘কি হেলথ ইমপ্রুভমেন্ট প্রায়োরিটিস’-এ সব থেকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন‘এস-টি’র প্রভাব কিভাবে কতটা কমানো সম্ভব তার উপায় অন্বেষণে৷ আমেরিকান অ্যাকাডেমি অফ পেডিয়াট্রিক্স ২ বছরের কম বয়সের শিশুর ক্ষেত্রে ‘এসটি’কে পুরোপুরি নিষিদ্ধ করেছে৷ কানাডিয়ান পেডিয়াট্রিক সোসাইটি এক ধাপ এগিয়ে শয়নকক্ষে ‘এসটি’কে পুরোপুরি নিষিদ্ধ করেছে৷ ফরমান না মানলে আছে শাস্তির বিধান৷ ফরাসি সরকার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ, শিশুদের শিক্ষামূলক কোনও অনুষ্ঠানও ‘এসটি’র মাধ্যমে প্রচার করা যাবে না৷ ভারত কেবল ঘুমায়ে রয়৷

‘এসটি’র ভয়ঙ্কর কুপ্রভাব

গবেষণায় প্রমাণিত শৈশবে ১ ঘণ্টা অতিরিক্ত‘এসটি’তে ডুবে থাকলে পরবর্তী জীবনে ৬% বাড়তে পারে কার্ডিয়োভ্যাস্কুলার ডিজিজের সম্ভাবনা আর ৮% বাড়তে পারে করোনারি হার্ট ডিজিজের সম্ভাবনা৷ ১ ঘণ্টার ভিডিয়ো গেম দৈনিক ১৬৩ কিলো ক্যালরি অতিরিক্ত শক্তির সঞ্চয় করছে শরীরে, বছর শেষে মোট জমা শক্তি ৬০০০০ কিলো ক্যালরি৷ ফলে একটি বিকচোন্মুখ কিশোর/ কিশোরীর বছরে অতিরিক্ত ফ্যাট জমে ওজন বাড়ছে ৮ কেজি৷ বিএমআই বেড়ে ঊর্ধ্বগামী রক্তচাপ, কোলেস্টেরল ও রক্তে ইনসুলিনের মাত্রা৷ ৯ মিনিটের উচ্চ-গতিবেগ সম্পন্ন একটি ভিডিয়ো গেম বা কার্টুন শো ৪ বছরের শিশুর ‘এক্সিকিউটিভ ফাংশনিং’নষ্ট করে দিতে পারে৷ ফলে শিশুটি তার জুতোর ফিতে বাঁধতে বা জামার বোতাম আটকাতে পারবে না৷

স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটির শোরগোল ফেলা ‘ডিসপ্লেসমেন্ট থিওরি’বলছে: ১ ঘণ্টার ইন্টারনেট নাড়াঘাঁটা পরিবারের সঙ্গে ‘মুখোমুখি বসিবার’ সময় ২৪ মিনিট কমিয়ে দিচ্ছে৷ শিশু বহু গুণ ভালো শিখতে পারে ‘লাইভ ডেমনস্ট্রেশনে’; ভিডিয়ো ডেমনস্ট্রেশনে নয়৷ যে অভাব পরিচিত ‘ভিডিও ডেফিসিট’নামে৷ মস্তিষ্কের ডরসাল অ্যান্টিরিয়র সিংগুলেট কর্টেক্স পেন রিজিয়ন নামে পরিচিত৷ দুঃখ-কষ্টে প্রাণ কাঁদার জন্য দায়ী এই পেন রিজিয়ন৷ নানা রকম ভিডিও ‘সুইসাইডাল গেম’যেমন ‘ব্লু হোয়েল’খেলতে গিয়ে সদ্য মৃত ১৪ বছরের মুম্বইয়ের ক্লাস নাইনের প্রাণবন্ত ছাত্র মনপ্রীত সিং৷ বিভিন্ন নিয়ন্ত্রণহীন অনলাইন ভিডিও গেমসের দৌলতে ক্রমশ হ্রাস পেতে থাকে নিউরোপ্লাসটিসিটি, ভারসাম্য হারিয়ে ফেলতে থাকে মস্তিষ্কের ‘অ্যালোস্ট্যাটিক লোড’৷ গুলিয়ে যায় ‘রিয়েল’আর ‘ভার্চুয়াল’-এর ফারাক৷ বিভিন্ন কিশোর অপরাধীর মস্তিষ্কের ফাংশনাল ম্যাগনেটিক রেজোন্যান্স ইমেজিং-এই এ তথ্য স্পষ্ট৷ কলকাতার ১২ বছরের আলালের ঘরের দুলাল ট্যাবে ‘রেপ গেম’খেলছে বিনোদনে মত্ত হয়ে আর দিল্লির ‘নির্ভয়া’কিশোর সত্যিটাকেই বিনোদন ভেবে ফেলেছিল!

ইউনিসেফ ও হু-র বয়ানে প্রতি ১০০টি শিশুর মধ্যে ২০টি শিশু জন্মায় ‘স্পেশাল নিডস’বা বিশেষ চাহিদা নিয়ে৷ ২০১১-র জনগণনা অনুযায়ী ভারতে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুর সংখ্যা ২০.৪২ লাখ৷ বিশেষ চাহিদার শিশুদের ক্ষেত্রে ট্যাব আরও ক্ষতিকর৷ স্কুলে সরকারের নির্বিচারে আয়রন গেলানোর মতো৷ আয়রন ওভার-লোড হয়ে শিশুটি যে কোনও সময় মারা যেতে পারে৷ অগ্রপশ্চাত্‍ বিবেচনা না করে ট্যাব বিতরণের অবিমৃষ্যকারী সিদ্ধান্ত স্কুল ব্যাগের ভার লাঘবের পরিবর্তে ডেকে আনতে পারে নানা প্রাণঘাতী সমস্যা৷ কারণ শিশুর ‘সহজ কোনও প্রতিরক্ষা নেই/ চুরি হয়ে যায় সব বাক্স বই সামঞ্জস্য/ অথবা শুচিতা৷’

লেখক বিজ্ঞান-গবেষক

পরের খবর

Editorialসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল