শীতকালে বাঙালিকে চড়ুইভাতি থেকে বিরত রাখা অসম্ভব। এটি যদি তার প্রশংসনীয় গুণাবলীর তালিকার উপর দিকে পাকা জায়গা করে নিয়ে থাকে, তবে কাছাকাছিই আর একটি বৈশিষ্টের উপস্থিতিও সমান লক্ষণীয়। বাঙালি রোদে পিঠ দিয়ে শীত যতখানি উপভোগ করে, ঝঞ্ঝাটেও জড়াতে ভালোবাসে ততটাই। অর্থাৎ, নিরুপদ্রব বনভোজন তার নসিবে নেই, বিশৃঙ্খলা তৈরি হবেই, আমোদে প্রমাদ-যোগ তার ললাট-লিখন। সম্প্রতি কয়েকজন সপরিবারে শহরতলিতে নিতান্তই নিরামিষ আনন্দের জন্য বেড়াতে বেরিয়েও স্থানীয় অসাধু ব্যবসায়ীদের হাতে বেধড়ক মার খেয়ে ফিরলেন। দোষ কার সে বিষয়ে তর্কের নিষ্পত্তি সহজে সম্ভব নয়। আলোচ্য বিষয়ও খানিকটা আলাদা। এ ব্যারাম বাঙালির পিছু ছাড়ে না কেন সে প্রশ্নটিকে গুরুত্ব দেওয়া ছাড়াও, তার সদুত্তর পাওয়ার একটা চেষ্টা এই মুহূর্তে জরুরি। একাধিক বাঙালি একত্রে যে কোনও কাজে বা অকাজে মিলিত হলেই কি বিস্ফোরণের আশঙ্কা দেখা দেয়? যুগান্তকারী কর্মকাণ্ড যে এ রকম জোটের ফলে সম্ভব হয়নি তা নয়, বিশ্ববাসী তার নানা উদাহরণ দেখেছে। তা হলে একত্রে খানিকটা আমোদ-আহ্লাদের উদ্দেশ্যে এক-আধবেলা কাটিয়ে আসতে তার এমন লেজে গোবরে অবস্থা হয় কেন? কেনই বা সে মনে করে ওই ক্ষেত্রগুলি গোলমাল পাকানোর জায়গা? সময় থাকতে ভেবে দেখা দরকার।
বিশৃঙ্খলা
শীতকালে বাঙালিকে চড়ুইভাতি থেকে বিরত রাখা অসম্ভব। এটি যদি তার প্রশংসনীয় গুণাবলীর তালিকার উপর দিকে পাকা জায়গা করে নিয়ে থাকে, তবে কাছাকাছিই আর একটি বৈশিষ্টের উপস্থিতিও সমান লক্ষণীয়। বাঙালি রোদে পিঠ দিয়ে শীত যতখানি উপভোগ করে, ঝঞ্ঝাটেও জড়াতে ভালোবাসে ততটাই। অর্থাৎ, নিরুপদ্রব বনভোজন তার নসিবে নেই, বিশৃঙ্খলা তৈরি হবেই, আমোদে প্রমাদ-যোগ তার ললাট-লিখন।
EiSamay 31 Jan 2019, 11:15 am