অ্যাপশহর

সংযত

প্রত্যাঘাত শব্দটি বহুমাত্রিক, বিশেষত সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ক্ষেত্রে। পুলওয়ামায় সিআরপিএফ জওয়ানদের উপর পাকিস্তান আশ্রিত জৈশ-ই-মহম্মদ পরিকল্পিত হামলার পরে পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে ওই সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীর শিবিরগুলিতে মঙ্গলবার ভারতীয় বায়ুসেনার সুপরিকল্পিত প্রত্যাঘাতটি জরুরি ছিল।

EiSamay 28 Feb 2019, 1:09 pm
প্রত্যাঘাত শব্দটি বহুমাত্রিক, বিশেষত সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ক্ষেত্রে। পুলওয়ামায় সিআরপিএফ জওয়ানদের উপর পাকিস্তান আশ্রিত জৈশ-ই-মহম্মদ পরিকল্পিত হামলার পরে পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে ওই সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীর শিবিরগুলিতে মঙ্গলবার ভারতীয় বায়ুসেনার সুপরিকল্পিত প্রত্যাঘাতটি জরুরি ছিল। অতঃপর পাকিস্তানের ভারতের আকাশ-সীমানা লঙ্ঘন এবং ভারত সাফল্যের সঙ্গে তারও মোকাবিলা করেছে। বায়ুসেনার এই সাফল্য যেমন এক দিকে সীমান্তপার থেকে সন্ত্রাসবাদী ষড়যন্ত্রকে অন্তত সাময়িক ভাবে স্তিমিত করবে, তেমনই সমগ্র বিশ্ব নেতৃত্বকে এ বার্তাও দেবে যে দক্ষিণ এশিয়ার দুই পারমাণবিক শক্তিধর দেশের মধ্যে বিপজ্জনক সংঘাত এড়াতে হলে সর্বাগ্রে পাকিস্তান মারফৎ সন্ত্রাসবাদীদের সাহায্যপ্রাপ্তি বন্ধ হওয়া প্রয়োজন। এবং পুলওয়ামা-উত্তর পর্যায়ে এই ক্ষেত্রেই নয়াদিল্লির বিশেষ সাফল্য, যার প্রধান হাতিয়ার কূটনৈতিক। তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ পাকিস্তানের দুই ঘনিষ্ঠ শরিক চিন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিক্রিয়া। চিনের বিদেশমন্ত্রক অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে যে শুধু ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে পারস্পরিক তর্জায় পাকিস্তানের পক্ষ নিতে অস্বীকার করেছে তাই নয়, ভারতীয় বায়ু সেনার জঙ্গি শিবির ধ্বংস প্রসঙ্গে চিনের মন্তব্য ‘সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই একটি আন্তর্জাতিক রীতি’, যা পরোক্ষে ভারতের অবস্থানেরই সমর্থন। অন্য দিকে পাকিস্তানের আর এক পরম্পরাগত বন্ধু-দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানকেই সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ‘অর্থপূর্ণ পদক্ষেপ’ করার আহ্বান জানিয়েছে।
EiSamay.Com mirage_jets.


এই ক্রান্তিমুহূর্তে চিনের অবস্থান পাকিস্তানের নেতৃত্বকে সচেতন করবে বলে আশা করা যায়। সে দেশের নেতৃত্বের স্মরণে রাখা উচিত, ভারতের বিপুল বাজার এবং নাগরিকদের ক্রমবর্ধমান ক্রয়ক্ষমতা, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও সামরিক শক্তির ফলে শরিক হিসেবে যে কোনও দেশের কাছেই ভারত পাকিস্তানের থেকে অধিকতর আকর্ষণীয়। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে এপ্রিলে চিনের উচ্চাভিলাষী অর্থনৈতিক করিডোর প্রকল্পের দ্বিতীয় বৈঠক। ভারতই একমাত্র গুরুত্বপূর্ণ দেশ যা এর প্রথম বৈঠকে যোগ দিতে অস্বীকার করে। দ্বিতীয় দফার বৈঠকে ভারতে উপস্থিতি সুনিশ্চিত করতে চিন বিশেষ আগ্রহী। এমতাবস্থায় ভারত-পাকিস্তান সংঘাতের প্রেক্ষিতে চিন যে পাকিস্তানের পক্ষ নিতে অপারগ, তা সুস্পষ্ট করেছে চিনের বিদেশ মন্ত্রক। চিনা ও মার্কিন অবস্থান নিঃসন্দেহে ভারতীয় বিদেশনীতির তাৎপর্যপূর্ণ জয়।

পরের খবর

Editorialসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল