অ্যাপশহর

সম্পর্ক

কিন্তু এই বিশেষ সভাটি ভিন্ন মাত্রা পেয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সে সভায় যোগ দিয়ে ভারতীদের সামনে বক্তব্য পেশ করার কথা ঘোষণা করায়। এই সভায় একই মঞ্চে ট্রাম্প ও মোদীর উপস্থিতি যতটা গুরুত্বপূর্ণ, ততটাই তাৎপর্যপূর্ণ যে সময়ে এই দুই শীর্ষ নেতাকে একত্রে মঞ্চে দেখা যাবে সেই সময়টিও।

EiSamay.Com 19 Sep 2019, 1:32 pm
আগামী ২২ সেপ্টেম্বর হিউস্টনে আয়োজিত ‘হাওডি মোদী’ সভাটি কোনও ব্যতিক্রমী অনুষ্ঠান নয়। প্রধানমন্ত্রী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এর আগে একাধিক বার অনুরূপ সভা করেছেন। কিন্তু এই বিশেষ সভাটি ভিন্ন মাত্রা পেয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সে সভায় যোগ দিয়ে ভারতীদের সামনে বক্তব্য পেশ করার কথা ঘোষণা করায়। এই সভায় একই মঞ্চে ট্রাম্প ও মোদীর উপস্থিতি যতটা গুরুত্বপূর্ণ, ততটাই তাৎপর্যপূর্ণ যে সময়ে এই দুই শীর্ষ নেতাকে একত্রে মঞ্চে দেখা যাবে সেই সময়টিও। ট্রাম্প তাঁর তীক্ষ্ণ ব্যবসায়িক বিচারবুদ্ধির জন্য পরিচিত, যার মূলে রয়েছে লেনদেনে লাভ-লোকসানের তুল্যমূল্য বিচারের ক্ষমতা। কাজেই ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্ত নেহাতই সৌজন্য-তাড়িত মনে করার বিশেষ কারণ নেই। তিনি যদি এই মুহূর্তে নিজেকে ভারতের বিশেষ বন্ধু হিসেবে উপস্থাপিত করতে এই বাড়তি কদমটি হেঁটে থাকেন, এ সিদ্ধান্তে পৌঁছনো অসঙ্গত হবে না যে তার পিছনে কিছু সুনির্দিষ্ট কারণ রয়েছে। সে তালিকায় প্রথমেই উল্লিখিত হতে পারে, আগামী বছর মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের সমর্থন সুনিশ্চিত করা। পরম্পরাগত ভাবে মার্কিন-নিবাসী ভারতীয়দের অধিকাংশই ডেমোক্র্যাট পার্টির ভোটার, কিন্তু তাঁদের মধ্যে মোদীর বিপুল জনপ্রিয়তাও অনস্বীকার্য, এবং সেটিকে পাথেয় করেই ট্রাম্প ভারতীয়দের সমর্থন লাভের আশা করছেন বলে ধরে নেওয়া যেতেই পারে।
EiSamay.Com relation


কারণ যা-ই হোক না কেন, ঠিক যে মুহূর্তে পাকিস্তান চিনকে পাশে নিয়ে আন্তর্জাতিক নানা মঞ্চে কাশ্মীর ইস্যুতে ভারতকে কোণঠাসা করতে উদ্যোগী, সেই মুহূর্তে ট্রাম্পের এই উচ্চকিত ভারত-নৈকট্য নয়া দিল্লির জন্য এক বড় জয়। কাশ্মীরে মধ্যস্থতার ইচ্ছা প্রকাশ করে ট্রাম্প সম্প্রতি ভারতকে আন্তর্জাতিক মহলে যে অস্বস্তিতে ফেলেছিলেন, এর ফলে তারও সমাপ্তি ঘটবে। প্রশ্ন হল, বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে ভারতকে এতাবৎ দেওয়া বিশেষ সুযোগ-সুবিধা বাতিল করা সহ বিভিন্ন পদক্ষেপে সম্প্রতি মার্কিন প্রশাসন সম্প্রতি দু’দেশের মধ্যে যে বাণিজ্যিক দূরত্ব সৃষ্টি করেছে তা দূর করার ক্ষেত্রেও ভারতের প্রতি ট্রাম্পের এই সহমর্মিতা কার্যকর হবে কি? ভারত-মার্কিন সম্পর্ক অবশ্যই বহুমাত্রিক, কিন্তু বাণিজ্যিক সংঘাত শেষ পর্যন্ত অন্যান্য ক্ষেত্রগুলিতে নঞর্থক ছায়া যাতে না ফেলে, উভয় দেশকেই সে বিষয়ে সজাগ থাকতে হবে।

পরের খবর

Editorialসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল