অ্যাপশহর

ব্যক্তিগত

আন্তর্জাতিক ভূ-রাজনীতিতে দুই বা অধিকতর সংখ্যক দেশের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্কের জটিল কাহিনিতে বিদেশনীতি এক দীর্ঘ এবং সম্ভবত জটিলতম অধ্যায়৷

EiSamay.Com 16 Sep 2017, 10:40 am
আন্তর্জাতিক ভূ-রাজনীতিতে দুই বা অধিকতর সংখ্যক দেশের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্কের জটিল কাহিনিতে বিদেশনীতি এক দীর্ঘ এবং সম্ভবত জটিলতম অধ্যায়৷ সে কাহিনির কুশীলবদের সিংহভাগ জনসমক্ষে আসেন না , সংবাদ শিরোনামে তো নয়ই৷ শীর্ষ নেতৃত্বখচিত আন্তর্জাতিক মঞ্চই হোক কিংবা কোনও একটি বিশেষ দেশে অন্য আর একটি দেশের শীর্ষ নেতৃত্বের বিপুল সমারোহে আয়োজিত সফর --- যা দৃশ্যমান তা ঘটমানের অতি কিঞ্চিত্ একাংশ মাত্র৷ ভূ-রাজনীতির হিমবাহটির দুই-তৃতীয়াংশই গণচক্ষুর আড়ালে নিমজ্জিত৷ প্রধানন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিদেশনৈতিক দৃষ্টিকোণ অবশ্য এই কেতাবি সমীকরণের থেকে কিছুটা পৃথক৷
EiSamay.Com editorial on pm modis glorious initiative
ব্যক্তিগত


ক্ষমতাসীন হওয়ার প্রথম দিনটি থেকেই তিনি বারংবার প্রমাণ করেছেন যে দুই দেশের সম্পর্কের চালিকা শক্তি অর্জনের ক্ষেত্রে শীর্ষ নেতৃত্বের ব্যক্তিগত আস্থা বিনিয়োগে তিনি গভীর ভাবে আস্থাশীল৷ তা যে কী পরিমাণ ফলপ্রসূ হতে পারে জাপানি প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের সাম্প্রতিক সফর তার উদাহরণ৷ প্রযুক্তি ও পূঁজি বিনিয়োগ , আন্তর্জাতিক স্তরে পাকিস্তানের কড়া সমালোচনা সহ এ সফরের সাফল্য একাধিক৷ সে কৃতিত্বের ন্যায্য দাবিদার হতেই পারেন স্বয়ং মোদী৷ বিমানবন্দরে ব্যক্তিগত ভাবে আবেকে স্বাগত জানানো থেকে শুরু করে নৈশভোজের স্থান নির্ধারণ পর্যন্ত প্রত্যেক স্তরে প্রধানমন্ত্রী ব্যক্তিগত আগ্রহ নিয়ে গোটা সফরটি যাতে ন্যূনতম সমস্যা থেকেও মুক্ত হতে পারে , তা সুনিশ্চিত করেছিলেন৷ তাঁর এই উদ্যোগকে সম্মান দিয়ে নিজস্ব কর্তব্য সাঙ্গ করেছেন আবে৷ অন্য দিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ওবামার আমলের সাফল্য ট্রাম্পের জমানায় পরিপূর্ণ মাত্রায় প্রতিফলিত হয়নি , মোদীর সঙ্গে উভয়েরই ব্যক্তিগত সৌহার্দ্য সত্বেও৷

প্রশ্ন হল প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত উদ্যোগ -নির্ভর এই বিদেশনীতি দীর্ঘমেয়াদে কতদূর স্থায়ী হতে পারে ? বাস্তব এটাই যে , নীরব বিদেশনীতির নিরন্তর সহায়তা ছাড়া এ ধরনের উদ্যোগ ব্যর্থ হওয়ার একটা সম্ভাবনা থেকেই যায়৷ ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীকেও সে ব্যর্থতার তিক্ত স্বাদ গ্রহণ করতে হয়েছে পাকিস্তান এবং চিনের ক্ষেত্রে৷ স্মর্তব্য , আবের মতোই চিনা প্রেসিডেন্টকেও সরাসরি আহমেদাবাদে স্বাগত জানিয়েছিলেন মোদী৷ প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের সঙ্গে সৌহার্দ্য স্থাপনে মোদীর ঐকান্তিক চেষ্টার কথাও অনেকেই স্মরণে রাখবেন৷ মূলধারার প্রথাগত কূটনীতিতে সাফল্যের অভাবই এই সাময়িক উচ্চকিত সদ্ভাবকে দীর্ঘমেয়াদি করতে পারেনি৷ আশা করা যাক জাপানের ক্ষেত্রে আবের সফরজাত সাফল্যগুলি দীর্ঘস্থায়ী হবে৷

পরের খবর

Editorialসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল