আদালতের মধ্যে বিভিন্ন মামলার শুনানি কী ভাবে চলছে তার পুঙ্খানুপুঙ্খ চিত্রের উপর নাগরিকদের অধিকার রয়েছে কি না , এ বিতর্ক দীর্ঘকালীন এবং বিশ্বজোড়া৷ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ১৯৯০ -এর দশক থেকে বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষার পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে বিচারপতির বিশেষ অনুমতি সাপেক্ষে কিছু বিশেষ ধরনের মামলার শর্তাধীন সম্প্রচার করা যেতে পারে৷ ব্রিটেনে ২০০৪ সালে কিছু কিছু মামলার শর্তাধীন পরীক্ষামূলক সম্প্রচারের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়৷ আদালতের ক্রিয়াকলাপে স্বচ্ছতা আনার উদ্দেশ্যে এজলাসে সিসিটিভি বসানোর আবেদন জানিয়ে আনা একটি পিটিশনের প্রেক্ষিতে ভারতীয় সুপ্রিম কোর্ট সম্প্রতি প্রত্যেক রাজ্যের অন্তত দু’টি জেলা আদালতে আগামী তিন মাসের মধ্যে সিসিটিভি বসানোর নির্দেশ দিল হাইকোর্টগুলিকে৷ একই সঙ্গে অবশ্য দেশের শীর্ষ আদালত এ কথাও স্পষ্ট করে দেয় যে তথ্যের অধিকার আইনের মাধ্যমে বা অন্য কোনও ভাবে কোনও নাগরিককে হাইকোর্টের অনুমতি ছাড়া এই সব সিসিটিভি -র ফুটেজের কপি দেওয়া যাবে না৷ এ ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টের মধ্যবর্তী অবস্থান সঠিক৷ এই অভূতপূর্ব সিদ্ধান্তের মাধ্যমে আদালতের ক্রিয়াকলাপে স্বচ্ছতা আনার পথে প্রথম পরীক্ষামূলক পদক্ষেপটি গৃহিত হল৷ যাঁরা আদালতের শুনানির সম্প্রচারের দাবিদার তাঁদের যুক্তি , দেশের উচ্চতম আইনসভা সংসদের অধিবেশন যদি সম্প্রচারিত হতে পারে , তা হলে আদালতের মামলার সম্প্রচারই বা হবে না কেন ?
মনে রাখা প্রয়োজন যে বিবাদমান বিভিন্ন পক্ষের অবস্থান অনুধাবন করে সত্য নিরূপণের পর চূড়ান্ত রায়ে উপনীত হওয়া এক জটিল প্রক্রিয়া , যা বিভিন্ন বিষয়ের উপর নির্ভরশীল৷ উদাহরণস্বরূপ মার্কিন আদালতে এ সংক্রান্ত পরীক্ষার সময় দেখা গিয়েছে যে, বক্তব্য সম্প্রচারিত হচ্ছে , এই তথ্য সাক্ষীদের উপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলে , বিশেষত ফৌজদারি মামলায়৷ তা ছাড়া তা সক্ষীদের জনসমক্ষে হাজির না হওয়ার অধিকারকেও লঙ্ঘিত করতে পারে , যার ফলে কোনও ব্যক্তি সাক্ষ্য দিতে অস্বীকার করতে পারেন৷ শেষ পর্যন্ত যার ফলে স্বাভাবিক বিচারপ্রক্রিয়া বিঘ্নিত হতে পারে৷ ইত্যাকার বহুবিধ অতি স্পর্শকাতর জটিলতা মাথায় রাখলে এ ক্ষেত্রে অগ্রসর হওয়ার পথে সুপ্রিম কোর্টের সাবধানতার কারণগুলি অনুধাবন করা কঠিন নয়৷ এতদ্সত্বেও যে দেশের শীর্ষ আদালত গোটা প্রক্রিয়াটির মধ্যে স্বচ্ছতা আনার প্রচেষ্টায় একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ করল সে জন্য আদালত অবশ্যই ধন্যবাদার্হ৷ এই বিশেষ ক্ষেত্রটিতে অগ্রসর হওয়া যেমন জরুরি , ধীরে অগ্রসর হওয়া তেমনি বিচক্ষণতা৷ ৷
মনে রাখা প্রয়োজন যে বিবাদমান বিভিন্ন পক্ষের অবস্থান অনুধাবন করে সত্য নিরূপণের পর চূড়ান্ত রায়ে উপনীত হওয়া এক জটিল প্রক্রিয়া , যা বিভিন্ন বিষয়ের উপর নির্ভরশীল৷ উদাহরণস্বরূপ মার্কিন আদালতে এ সংক্রান্ত পরীক্ষার সময় দেখা গিয়েছে যে, বক্তব্য সম্প্রচারিত হচ্ছে , এই তথ্য সাক্ষীদের উপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলে , বিশেষত ফৌজদারি মামলায়৷ তা ছাড়া তা সক্ষীদের জনসমক্ষে হাজির না হওয়ার অধিকারকেও লঙ্ঘিত করতে পারে , যার ফলে কোনও ব্যক্তি সাক্ষ্য দিতে অস্বীকার করতে পারেন৷ শেষ পর্যন্ত যার ফলে স্বাভাবিক বিচারপ্রক্রিয়া বিঘ্নিত হতে পারে৷ ইত্যাকার বহুবিধ অতি স্পর্শকাতর জটিলতা মাথায় রাখলে এ ক্ষেত্রে অগ্রসর হওয়ার পথে সুপ্রিম কোর্টের সাবধানতার কারণগুলি অনুধাবন করা কঠিন নয়৷ এতদ্সত্বেও যে দেশের শীর্ষ আদালত গোটা প্রক্রিয়াটির মধ্যে স্বচ্ছতা আনার প্রচেষ্টায় একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ করল সে জন্য আদালত অবশ্যই ধন্যবাদার্হ৷ এই বিশেষ ক্ষেত্রটিতে অগ্রসর হওয়া যেমন জরুরি , ধীরে অগ্রসর হওয়া তেমনি বিচক্ষণতা৷ ৷