অ্যাপশহর

ভারসাম্য

কয়লা ব্লক বণ্টন সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলায় সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতের সাম্প্রতিক রায় তাত্পর্যপূর্ণ৷

EiSamay.Com 25 May 2017, 5:14 pm
কয়লা ব্লক বণ্টন সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলায় সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতের সাম্প্রতিক রায় তাত্পর্যপূর্ণ৷ ভারতের কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেলের হিসেব অনুযায়ী এই কেলেঙ্কারিতে সরকারি কোষাগারের ক্ষতির পরিমাণ ছিল অন্তত ১.৮৬ লক্ষ কোটি টাকা৷ অডিটর জেনারেলের দন্তরের রিপোর্ট অনুযায়ী ২০০৪ সালের পর থেকে কয়লা ব্লকগুলির যে বণ্টন করা হয় তাতে স্বচ্ছতার গুরুতর অভাব ছিল৷ ২০১৪ সালে, সুপ্রিম কোর্ট ১৯৯৩ থেকে ২০১০ পর্যন্ত কয়লা বণ্টনের যাবতীয় সিদ্ধান্তকে বেআইনি বলে ঘোষণা করে৷ সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত এই বিপুল কেলেঙ্কারিরই অংশ হিসেবে একটি কয়লা ব্লক বেআইনি ভাবে একটি বিশেষ বেসরকারি কোম্পানিকে বণ্টিত করার অপরাধে কয়লা মন্ত্রকের প্রাক্তন সচিব এইচসি গুন্ত এবং তাঁর দুই সহকর্মীকে দু’ বছরের কারাদণ্ডের রায় দিয়েছে৷ যে কোম্পানি সুবিধা পেয়েছিল তার ম্যানেজিং ডিরেক্টরকেও দণ্ডিত করা হয়েছে তিন বছরের কারাদণ্ডে, যদিও প্রত্যেকেরই জামিনের এবং এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চতর আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার আবেদন মঞ্জুর করেছে সিবিআই আদালত৷ উচ্চতর আদালত এ বিষয়ে কী অবস্থান নেয় তা জানার জন্য অপেক্ষা করা ছাড়া গত্যন্তর নেই৷
EiSamay.Com editorial on cbi verdict on coal scam
ভারসাম্য


কিন্ত্ত সিবিআই আদালতের এই রায় সরকারি আমলাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগ ও সেগুলির বিচারসংক্রান্ত সমস্যাটি সামনে নিয়ে এল৷ সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে সরকারি আমলাদের দুর্নীতি কী ভাবে নির্মূল করা যায় তা নিয়ে বিতর্ক দীর্ঘকালীন৷ এ ক্ষেত্রে একটি বড়ো সমস্যা হল অসদুদ্দেশ্যেই কোনও সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে কি না, এ কথা দ্ব্যর্থহীন ভাবে প্রমাণ করা জটিল৷ এই বিশেষ ক্ষেত্রটিতে উচ্চপদস্থ আমলারা বিভিন্ন সুনির্দিষ্ট নির্দেশ অগ্রাহ্য করার ফলে জনস্বার্থের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে৷ কাজেই আইন লঙ্ঘনের সুস্পষ্ট অভিযোগ রয়েছে৷ কিন্ত্ত বহু ক্ষেত্রেই আমলাদের এমন সিদ্ধান্ত নিতে হয় , যার ফলে পরবর্তীকালে সরকারি কোষাগারের ক্ষতি হলেও তা বাজার-নির্ভর হওয়ায় বর্তমান দুর্নীতি দমন আইনে সংশ্লিষ্ট আমলাদের সে জন্য দায়ী করা কঠিন৷ তা করতে গেলে আমলারা এই ধরনের সিদ্ধান্তের সঙ্গে জড়িত থাকতে অস্বীকার করতে পারেন, ফলে প্রশাসনিক দীর্ঘসূত্রিতা প্রবল আশঙ্কা৷ সেই কারণেই বর্তমান দূর্নীতি দমন আইনটির আশু পরিবর্তন প্রয়োজন৷ নির্দোষ আধিকারিকদের যেমন কোনও পরিস্থিতিতেই অন্যায় হেনস্থার শিকার হওয়া কাম্য নয়, তেমনই প্রশাসনিক অচলাবস্থার আশঙ্কায় সরকারি অর্থের নয়ছয়ও চলতে দেওয়া যেতে পারে না৷

পরের খবর

Editorialসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল