অ্যাপশহর

বার্তা

কংগ্রেসের পশ্চাদপসরণ, ভারতীয় জনতা পার্টির অগ্রগতি৷ দক্ষিণ, পূর্ব ও উত্তর-পূর্ব ভারতের পাঁচটি রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলের এটিই সারসংক্ষেপ৷

EiSamay.Com 24 May 2016, 12:23 pm
কংগ্রেসের পশ্চাদপসরণ, ভারতীয় জনতা পার্টির অগ্রগতি৷ দক্ষিণ, পূর্ব ও উত্তর-পূর্ব ভারতের পাঁচটি রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলের এটিই সারসংক্ষেপ৷ স্বাধীনতার পরে তিন দশক দেশের সর্বত্র কংগ্রেসই পরিগণিত হত একমাত্র সর্বভারতীয় দল হিসাবে৷ সে ছবি ধীরে ধীরে পরিবর্তিত হতে শুরু করে ১৯৮০-র দশক থেকেই৷ বিভিন্ন রাজ্যে দেখা যায় আঞ্চলিক দলগুলির উত্থান৷ এইবারের নির্বাচনে সেই পরিবর্তনে যুক্ত হল আরও একটি তাত্‍পর্যপূর্ণ মাত্রা - সর্বভারতীয় দল হিসাবে কংগ্রেসের জায়গায় বিজেপি-র উত্থান৷ নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহ বিজেপি-র লাগাম হাতে নেওয়ার পরেই দলের রাজনৈতিক লক্ষ্য স্থির করে স্লোগান তুলেছিলেন - কংগ্রেসমুক্ত ভারত৷ পাঁচ রাজ্যের নির্বাচনের ফল ঘোষণার পরেই বিজেপি-র সভাপতি দাবি করেছেন, কংগ্রেসমুক্ত ভারত এখন সময়ের অপেক্ষা মাত্র৷ এই দাবি সম্পূর্ণ সারবত্তাহীন নয়৷ কেরালা ও অসমে পর্যুদস্ত হওয়ার পর, কংগ্রেস ক্ষমতাসীন এমন সাতটি রাজ্যে যেগুলির মোট জনসংখ্যা দেশের মোট জনসংখ্যার সাত শতাংশ৷ অন্য দিকে অসমে জয়ের পর বিজেপির নিয়ন্ত্রণে ন’টি রাজ্য, যার মোট জনসংখ্যা দেশের মোট জনসংখ্যার ৩৫ শতাংশ৷ তা ছাড়া কেরালা এবং পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি পেয়েছে ১০ শতাংশ ভোট৷ সাফল্য দ্ব্যর্থহীন৷
EiSamay.Com editorial/edit/editorial
বার্তা


কিন্ত্ত এই সাফল্যের মধ্যেই নিহিত আছে কিছু জরুরি বার্তা৷ বিজয়ের আনন্দের কোলাহলে সেই বার্তাগুলি শুনতে না পেলে বিজেপি-র শীর্ষ নেতৃত্ব দূরদর্শিতার পরিচয় দেবেন না৷ এর মধ্যে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ অবশ্যই দলের মধ্যে উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের কঠোর হাতে লাগাম পরানো৷ একবিংশ শতকের উন্নয়নকামী বিপুল বৈচিত্রপূর্ণ ভারতবাসীর দীর্ঘমেয়াদি সমর্থন পেতে হলে প্রাচীন, পশ্চাদ্মুখী, বিভাজনমূলক হিন্দুত্ববাদী একমাত্রিক হুঙ্কার স্তব্ধ করতেই হবে৷ কাজটি যে সহজ হবে না তা মোদী সরকারের বিগত দুই বছরে বারংবার প্রমাণিত হয়েছে৷ প্রধানমন্ত্রীর সুস্পষ্ট আপত্তি সত্ত্বেও, তাঁরই মন্ত্রিসভার বিভিন্ন সদস্য থেকে আরম্ভ করে একাধিক সাংসদ ও রাজ্য-স্তরীয় দলীয় নেতৃত্বের মুখে ক্রমাগত এই হুঙ্কার শোনা গিয়েছে৷ অসমের অভূতপূর্ব সাফল্য প্রমাণ করেছে দলের এই অংশটিকে অপাঙ্ক্তেয় করে, প্রয়োজন মতো আঞ্চলিক দলগুলির হাত ধরে, সর্বস্তরের মানুষের সার্বিক উন্নয়নকে দলের রাজনৈতিক লক্ষ্য হিসাবে পাকাপাকি ভাবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারলেই একমাত্র বিজেপির পক্ষে নিজেকে জাতপাত, ধর্ম, আঞ্চলিকতা নির্বিশেষে সব পংক্তির মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য করে তোলা সম্ভব৷

পরের খবর

Editorialসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল