সম্বৃতা দাস ব্রিটেনে প্রবাসী বাঙালি সমাজে অত্যন্ত জনপ্রিয় লন্ডন শারদোৎসব নিত্যনতুন পরিকল্পনার জন্য সুখ্যাতি কুড়িয়েছে গত কয়েক বছরে। মজিউলার দুর্গা ও বাংলার তাঁতশিল্প নিয়ে অতীতে কাজ হলেও এ বছর সবুজায়নে জোর দিয়েছেন উদ্যোক্তারা। এবারের পুজোর থিম তাই 'গোয়িং গ্রিন', এক কথায় 'সবুজ দুর্গা পুজো'। লন্ডনের মেয়র এবং ব্রিটিশ সরকারের সবুজ অভিযানকে সমরথন জানিয়ে সমগ্র অনুষ্ঠানে পরিবেশবান্ধব সামগ্রী কাজে লাগানোর লক্ষ্য রাখা হয়েছে।
শারদোৎসবে সবুজায়নের এই নীতি বাস্তবায়িত করার ভার পড়েছে নবীন প্রজন্মের উপর, এবারের পুজোয় তাঁরাই সংগঠনের পুরোধা। তবে প্রকল্পের সামগ্রিক তত্ত্বাবধানের বিষয়ে নজর রয়েছে বয়স্ক সভ্যদেরও। ৪ থেকে ৭ অক্টোবর লন্ডনের ইলিং টাউনহলে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এবারের দেবী আরাধনা। তার জন্য কয়েক মাস আগেই কোমরবেঁধে প্রস্তুতিতে নেমে পড়েছে জেন এক্স। মণ্ডপে শোভা পাচ্ছে তাদেরই আঁকা সবুজায়নের বার্তাবাহী একাধিক পোস্টার ও ছবি।
মাত্র দশটি পরিবার নিয়ে শুরু হয়েছিল এই সারদবন্দনার আয়োজন। ক্রমে সদস্য সংখ্যা বেড়ে বর্তমানে মোট ৫০টি পরিবার পুজো কমিটিতে জড়িত রয়েছে। পুজোর পাশাপাশি বিভিন্ন খেলাধুলো, সাংস্কৃতিক ও সামাজিক কাজে যুক্ত রয়েছে এই সংগঠন। নবীনরা অধিকাংশই সংগঠনের বয়স্ক সদস্যদের সন্তানসন্ততি। ধরা যাক বছর ষোলোর আকাঙ্ক্ষা সোমের কথা। বাবা সুরঞ্জন সোম এবং মা সুদেষ্ণা সোম গোড়া থেকেই কমিটিতে সক্রিয়। জন্মসূত্রে ব্রিটিশ নাগরিক হওয়ার সুবাদে কখনও কলকাতার পুজোর স্বাদ পাননি তিনি। তাঁর কথায়, 'ছোট থেকেই দেখে আসছি কী অপরিসীম যত্নে এখানে দুর্গা পুজো আয়োজিত হয়। পুজোর কয়েক মাস আগে থেকে কঠোর পরিশ্রমে প্রস্তুতি পর্বের যাবতীয় খুঁটিনাটি কাজ সারা হয়। নজর রাখা হয় যাতে সবকিছু নিখুঁত ভাবে সম্পন্ন হয়। ছোট থেকেই পুজোর কয়েকটা দিন সাবেকি পোশাক পরা, ভোগ খাওয়া আর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করার অভ্যেস গড়ে উঠেছে আমাদের। এবারের পুজোয় জেন এক্স দলে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার জন্য নিজেকে ভাগ্যবতী মনে করছি।'
আর এক খুদে সদস্য বছর চোদ্দোর আরিয়ান ভদ্রের বাবা-মা কৌশিক ভদ্র ও ঝুমা ভদ্রও লন্ডন শারদোৎসব কমিটির পুরনো সদস্য। আরিয়ানের কথায়, 'যখন সবে হাঁটতে শিখেছি, তখনই প্রথম এলএসইউ-এর পুজো দেখার অভিজ্ঞতা হয়। পুজোর ঘরের বাহারি রং আর রকমারি শব্দে সে সময় থেকেই চোখ-কান আচ্ছন্ন। গত ১০ বছরে পুজোর সঙ্গে আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে পড়েছি আর উৎসবের দিনগুলোর জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করি। সাবেকী পোশাক পরা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করার আনন্দই আলাদা। তবে সবচেয়ে আকর্ষণীয় অনুষ্ঠানের মহড়া। এ বছর জেন এক্স দলে ডাক পেয়ে দারুণ উত্তজনা হচ্ছে। বাবা-কাকাদের থেকে দায়িত্ব পেয়ে সবকিছু সুষ্ঠু ভাবে সম্পূর্ণ করাই আমাদের চ্যালেঞ্জ।'
এবার আসা যাক থিম প্রসঙ্গে। ২০১৪ সালের এক সমীক্ষা রিপোর্ট বলছে, ৬০টি দেশের ৫৫% গ্রাহক পরিবেশবান্ধব সামগ্রী কিনতে বেশি দাম দিতে প্রস্তুত। এর থেকে স্পষ্ট যে, সবুজায়নের প্রতি বিশ্বজোড়া সচেতনতা গড়ে উঠেছে এবং সেই উদ্যোগে শামিল হওয়ার পরিকল্পনা সব অর্থেই সময়োপযোগী। এবারের দুর্গা পুজোয় প্লাস্টিকের তৈরি জিনিসপত্র যতটা সম্ভব বাদ দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে এলএসইউ। বদলে পরিবেশবান্ধব সামগ্রী ব্যবহারের উপর জোর দেওয়া হয়েছে। সঙ্গত কারণেই অনুষ্ঠান থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে প্লাস্টিকের কাপ-প্লেটে ভোগ পরিবেশনের রীতি। পরিবর্তে ব্যবহার করা হচ্ছে শালপাতার তৈরি বাসন। এছাড়া কাচের পাত্র, পাটের ব্যাগ এবং অন্যান্য পুনর্ব্যবহারযোগ্য কাজে লাগানো হয়েছে। এভাবেই এবারের দুর্গা পুজোয় বর্তমান ও আগামী নবীন প্রজন্মকে সবুজায়নের পাঠ দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে লন্ডন সারদোৎসব কমিটি।
শারদোৎসবে সবুজায়নের এই নীতি বাস্তবায়িত করার ভার পড়েছে নবীন প্রজন্মের উপর, এবারের পুজোয় তাঁরাই সংগঠনের পুরোধা। তবে প্রকল্পের সামগ্রিক তত্ত্বাবধানের বিষয়ে নজর রয়েছে বয়স্ক সভ্যদেরও। ৪ থেকে ৭ অক্টোবর লন্ডনের ইলিং টাউনহলে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এবারের দেবী আরাধনা। তার জন্য কয়েক মাস আগেই কোমরবেঁধে প্রস্তুতিতে নেমে পড়েছে জেন এক্স। মণ্ডপে শোভা পাচ্ছে তাদেরই আঁকা সবুজায়নের বার্তাবাহী একাধিক পোস্টার ও ছবি।
মাত্র দশটি পরিবার নিয়ে শুরু হয়েছিল এই সারদবন্দনার আয়োজন। ক্রমে সদস্য সংখ্যা বেড়ে বর্তমানে মোট ৫০টি পরিবার পুজো কমিটিতে জড়িত রয়েছে। পুজোর পাশাপাশি বিভিন্ন খেলাধুলো, সাংস্কৃতিক ও সামাজিক কাজে যুক্ত রয়েছে এই সংগঠন। নবীনরা অধিকাংশই সংগঠনের বয়স্ক সদস্যদের সন্তানসন্ততি। ধরা যাক বছর ষোলোর আকাঙ্ক্ষা সোমের কথা। বাবা সুরঞ্জন সোম এবং মা সুদেষ্ণা সোম গোড়া থেকেই কমিটিতে সক্রিয়। জন্মসূত্রে ব্রিটিশ নাগরিক হওয়ার সুবাদে কখনও কলকাতার পুজোর স্বাদ পাননি তিনি। তাঁর কথায়, 'ছোট থেকেই দেখে আসছি কী অপরিসীম যত্নে এখানে দুর্গা পুজো আয়োজিত হয়। পুজোর কয়েক মাস আগে থেকে কঠোর পরিশ্রমে প্রস্তুতি পর্বের যাবতীয় খুঁটিনাটি কাজ সারা হয়। নজর রাখা হয় যাতে সবকিছু নিখুঁত ভাবে সম্পন্ন হয়। ছোট থেকেই পুজোর কয়েকটা দিন সাবেকি পোশাক পরা, ভোগ খাওয়া আর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করার অভ্যেস গড়ে উঠেছে আমাদের। এবারের পুজোয় জেন এক্স দলে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার জন্য নিজেকে ভাগ্যবতী মনে করছি।'
আর এক খুদে সদস্য বছর চোদ্দোর আরিয়ান ভদ্রের বাবা-মা কৌশিক ভদ্র ও ঝুমা ভদ্রও লন্ডন শারদোৎসব কমিটির পুরনো সদস্য। আরিয়ানের কথায়, 'যখন সবে হাঁটতে শিখেছি, তখনই প্রথম এলএসইউ-এর পুজো দেখার অভিজ্ঞতা হয়। পুজোর ঘরের বাহারি রং আর রকমারি শব্দে সে সময় থেকেই চোখ-কান আচ্ছন্ন। গত ১০ বছরে পুজোর সঙ্গে আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে পড়েছি আর উৎসবের দিনগুলোর জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করি। সাবেকী পোশাক পরা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করার আনন্দই আলাদা। তবে সবচেয়ে আকর্ষণীয় অনুষ্ঠানের মহড়া। এ বছর জেন এক্স দলে ডাক পেয়ে দারুণ উত্তজনা হচ্ছে। বাবা-কাকাদের থেকে দায়িত্ব পেয়ে সবকিছু সুষ্ঠু ভাবে সম্পূর্ণ করাই আমাদের চ্যালেঞ্জ।'
এবার আসা যাক থিম প্রসঙ্গে। ২০১৪ সালের এক সমীক্ষা রিপোর্ট বলছে, ৬০টি দেশের ৫৫% গ্রাহক পরিবেশবান্ধব সামগ্রী কিনতে বেশি দাম দিতে প্রস্তুত। এর থেকে স্পষ্ট যে, সবুজায়নের প্রতি বিশ্বজোড়া সচেতনতা গড়ে উঠেছে এবং সেই উদ্যোগে শামিল হওয়ার পরিকল্পনা সব অর্থেই সময়োপযোগী। এবারের দুর্গা পুজোয় প্লাস্টিকের তৈরি জিনিসপত্র যতটা সম্ভব বাদ দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে এলএসইউ। বদলে পরিবেশবান্ধব সামগ্রী ব্যবহারের উপর জোর দেওয়া হয়েছে। সঙ্গত কারণেই অনুষ্ঠান থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে প্লাস্টিকের কাপ-প্লেটে ভোগ পরিবেশনের রীতি। পরিবর্তে ব্যবহার করা হচ্ছে শালপাতার তৈরি বাসন। এছাড়া কাচের পাত্র, পাটের ব্যাগ এবং অন্যান্য পুনর্ব্যবহারযোগ্য কাজে লাগানো হয়েছে। এভাবেই এবারের দুর্গা পুজোয় বর্তমান ও আগামী নবীন প্রজন্মকে সবুজায়নের পাঠ দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে লন্ডন সারদোৎসব কমিটি।